Russia-Ukraine War : ভালবাসার রাইফেল! বিয়ে সেরে দেশের জন্য বন্দুক জোগাড়ে নামলেন ইউক্রেনের নবদম্পতি
দেশকে বাঁচানোর শপথ নিয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে ভালবাসার সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে অবশ্য হাসিমুখে তাঁদের প্রত্যাশা, 'আশা রাখি সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।'
কিভ (ইউক্রেন) : চলছিল প্রস্তুতি। আগামী মে মাসে নতুন জীবন শুরু তথা যৌথযাপন শুরু করবেন ভেবে রেখেছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল জীবনে বয়ে এনেছে অনিশ্চিত এক ভবিষ্যৎ। রুশ সেনাবাহিনীর (Russian Troop) আক্রমণের জেরে বিধ্বস্ত মাতৃভূমি। তাই ভালবাসার মানুষকে সঙ্গী করেই কার্যত যুদ্ধে নামলেন ইউক্রেনের এই নবদম্পতি (Ukraine Newly Wed Couple)। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছে খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে সোজা চার্চে ছোটেন কিভের ইরয়ানা আরিয়েভা ও সাভিৎসলোভ ফুরসিন। বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন কিভের (Kyiv) এই তরুণ-তরুণী। কিন্তু আর পাঁচটা নবদম্পতির মতো নয়, বিয়ের পরের গল্পটা একেবারেই ভিন্ন আরিয়েভা-ফুরসিনের। বিয়ে সেরে উঠে নবদম্পতি সারাদিন ধরে জোগাড় করে বেড়িয়েছেন রাইফেল! যুদ্ধবিধ্বস্ত মাতৃভূমিকে বাঁচাতে ভালবাসার সঙ্গীর সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে বন্দুকের জোগানে নেমেছেন ইউক্রেনের এই নবদম্পতি।
আরিয়েভা-ফুরসিন দু'জনেই ইউক্রেনের টেরিটোরিয়াল ডিফেন্স ফোর্সের সদস্য হিসেবে নাম লিখিয়েছেন। ইউক্রেন সেনাবাহিনীর যে বিভাগে মূলত স্বেচ্ছাসেবকরা নাম লেখান। বিয়ের পর তাঁরা নিজেদের দল ইউরোপীয়ান সলিডিয়ারির দফতরেও ছোটেন। যার পর ভালবাসার মানুষের হাত ধরে রাইফেল জোগাড় করতে বেরিয়ে পড়েন তারা। রাইফেল হাতে হাসিমুখে দু'জনের ছবি এই মুহূর্তে ভাইরাল। আরিয়েভা বলেছেন, 'এই মুহূর্তে আমাদের একটাই লক্ষ্য, দেশের জন্য যা যা করা সম্ভব, সবটা করার। এখনও অনেক কাজ বাকি।' যুদ্ধের পরিস্থিতির মাঝে সেনার পাশাপাশি ইউক্রেনের জনসাধারণের হাতেও বন্দুক তুলে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তারা। দেশকে বাঁচানোর শপথ নিয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে ভালবাসার সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে অবশ্য হাসিমুখে তাঁদের প্রত্যাশা, 'আশা রাখি সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।'
একাধিক শহরের পাশাপাশি ইউক্রেনের রাজধানী কিভ পুরোপুরি দখল করতে মরিয়া রুশ বাহিনী। কিভের বাইরে রাস্তা দিয়ে ছুটে আসছে একের পর এক রুশ সাঁজোয়া গাড়ি। সেখানে সামনে এসেছে একটি ভিডিওটি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, রুশ বাহিনীর ট্যাঙ্কার ও সাঁজোয়া গাড়ির পথ আটকানোর চেষ্টা করছেন এক ব্যক্তি। বাধার মুখে পড়ে ওই ব্যক্তিকে এড়িয়ে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যায় রুশ বাহিনীর গাড়ি। যে ছবি মনে করায় ৩২ বছর আগের ‘ট্যাঙ্ক ম্যানে’র স্মৃতি। ১৯৮৯-এর ৫ জুন, আজকের রাশিরার বন্ধু দেশ চিনের তিয়েনআনমেন স্কোয়ার। কমিউনিস্ট সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে ট্যাঙ্কের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ান সাদা জামা, কালো প্যান্ট এক প্রতিবাদী যুবক। থমকে যায় ট্যাঙ্ক।
আরও পড়ুন- দেশ বাঁচাতে চরম আত্মত্যাগ, শরীরে বোমা বেঁধে ব্রিজ ওড়ালেন ইউক্রেন সৈনিক