Russia Ukraine War: 'স্বাধীনতা এবং দাসত্বের মাঝে নতুন দেওয়াল, ভেঙে গুঁড়িয়ে দিন', যুদ্ধের ২১তম দিনে আবেগঘন বার্তা জেলেনস্কির
Russia Ukraine War: বৃহস্পতিবার ২১ দিনে পূর্ণ করেছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। এ দিন খারকিভের কাছে একটি স্কুল এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে রাশিয়ার ছোড়া বোমা আছড়ে পড়েছে বলে খবর মিলেছে।
বার্লিন: লাগাতার চেষ্টা চালিয়েও যুদ্ধ থেকে বিরত রাখা যায়নি রাশিয়াকে (Russia Ukraine War)। তার জেরে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে গোটা ইউক্রেন। সেই নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelensky)। বার্লিন দেওয়ালের (Berlin Wall) মতো রাশিয়া ইউরোপে নতুন দেওয়াল গড়ে তুলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে সকলের সাহায্য প্রার্থনা করেন।
বৃহস্পতিবার ২১ দিনে পূর্ণ করেছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। এ দিন খারকিভের কাছে একটি স্কুল এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে রাশিয়ার ছোড়া বোমা আছড়ে পড়েছে বলে খবর মিলেছে। তাতে দু’বছরে শিশু-সহ ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২৫ জন জখম হয়েছেন বলে জানিয়েছে কিভ।
সেই পরিস্থিতিতেই এ দিন ভিডিও কনফারেন্সে জার্মান সংসদে ভাষণ দেন জেলেনস্কি। সেখানেই তাঁর গলায় আবেগঘন আর্তি শোনা যায়। জেলেনস্কি বলেন, “একটি নতুন দেওয়াল গড়ে তুলেছে রাশিয়া। সকলে মিলে সেটিকে ভাঙতে হবে। এই দেওয়াল বার্নিন দেওয়াল নয়। মধ্য ইউরোপেস্বাধীনতা এবং দাসত্বের মাঝামাঝি এই দেওয়াল গড়ে তোলা হয়েছে। প্রত্যেক বোমা আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই দেওয়ালের উচ্চতা বেড়ে চলেছে।”
আরও পড়ুন: Russia Ukraine War: যুদ্ধ পেরোল তিন সপ্তাহ, ইউক্রেন ছাড়া ৩২ লক্ষ, ইউরোপ জুড়ে শরণার্থী সঙ্কট
রুশ সাংসদরা এ দিন হাততালি এবং জয়ধ্বনি দিয়ে জেলেনস্কিকে স্বাগত জানান। কিন্তু জলপাই রংয়ের টিশার্ট পরিহিত, চোখের নীচে কালি পড়ে যাওয়া জেলেন্সকি বুঝিয়ে দেন, যুদ্ধ সামাল দিতে দিতে পরিশ্রান্ত তিনি। ঠান্ডা যুদ্ধের স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলৎসকে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানান জেলেনস্কি। ১৯৮৭ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগানের সুরেই বলেন, “মিস্টার স্কোলৎজ, ভেঙে গুঁড়িয়ে দিন এই দেওয়াল। জার্মানবাসীকর সামনে তাঁদের যোগ্য নেতাকে তুলে ধরুন।”
তবে জার্মানিকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি জেলেনস্কি। তিনি জানান, বছরের পর বছর ধরে জার্মানির সামনে অনুনয় বিনয় করে আসছিল ইউক্রেন। নর্ড স্ট্রিম গ্যাস পাইপলাইন যে যুদ্ধের প্রস্তুতির অঙ্গ, তা নিয়ে বার বার সতর্ক করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও জার্মানি শুধু নিজেদের অর্থনীতিকেই গুরুত্ব দিয়ে এসেছে।