Russia Ukraine War: যুদ্ধ পেরোল তিন সপ্তাহ, ইউক্রেন ছাড়া ৩২ লক্ষ, ইউরোপ জুড়ে শরণার্থী সঙ্কট
Russia Ukraine War: সীমান্ত পেরিয়ে মূলত পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া এবং মলদোভাতেই আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা
কিভ: নয় নয় করে তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও, যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত নেই। তাতে যত সময় যাচ্ছে, ততই বিরাট আকার ধারণ করছে শরণার্থী সঙ্কট (Refugee Crisis)। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে (Russia Ukraine War) এখনও পর্যন্ত ৩২ লক্ষ মানুষ ইউক্রেন ছেড়েছেন। তবে এখানেই শেষ নয়। ইউক্রেনের মধ্যেই ঘরছাড়া ২০ লক্ষের বেশি মানুষ। তাই আগামী দিনে সংখ্যাটি আরও বাড়বে বলে মনে করছে রাষ্ট্রপুঞ্জ (United NAtions)।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে যে, এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৩২ লক্ষ মানুষ ইউক্রেন ছেড়েছেন। সীমান্ত পেরিয়ে মূলত পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া এবং মলদোভাতেই আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। আগামী সপ্তাহে হাঙ্গেরিতে শরণার্থী প্রবেশ আরও বাড়তে চলেছে বলে জানিয়েছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান।
ভিক্টর জানিয়েছেন, যুদ্ধ স্তিমিত হওয়ার কোনও লক্ষণ নেই এখনও পর্যন্ত। বরং যত সময় যাচ্ছে, ততই বেড়ে চলেছে যুদ্ধের ভয়াবহতা। আগামী সপ্তাহের হাঙ্গেরিতে আরও মানুষ প্রবেশ করতে চলেছেন। তাই শরণার্থী সঙ্কট নিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে সব দেশকেই। শুধু যুদ্ধ কবলিত এলাকা থেকে নয়, যুদ্ধের ঝুঁকি রয়েছে এমন এলাকা থেকেও দলে দলে মানুষ অন্যত্র সরছেন বলে জানা গিয়েছে।
I got my nieces out of Ukraine. They have never been on a airplane before … here is one of them flying the Ukrainian flag in front of passport control before embarking on new life #ukraine #refugees pic.twitter.com/7MSCkdMGBe
— Vladislav Davidzon (@VladDavidzon) March 12, 2022
এখনও পর্যন্ত মূলত ইউক্রেন সংলগ্ন দেশগুলিতেও আশ্রয় নিয়েছেন শরণার্থীরা। ইতালি এবং আমেরিকাতেও চলে গিয়েছেন বহু মানুষ। কিন্তু আমেরিকার ইউক্রেনীয় শরণার্থী গ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে ইউরোপীয় দেশগুলির উপরই সঙ্কট বাড়ছে। এর মধ্যে জার্মানিতে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২ লক্ষ শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন। তবে এখনই হাত তুলে নিতে নারাজ সে দেশের সরকার। বরং আগামী দিনে আরও শরণার্থী গ্রহণে প্রস্তুত তারা। বিশেষ করে রাই নদীতে নৌকোয় আশ্রয় নেওয়া এক শরণার্থী তরুণী ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর, শরণার্থীদের নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দিচ্ছে সে দেশের সরকার।
অন্য দিকে, শরণার্থীদের বিনামূল্যে রেল পরিষেবা দেওয়ার ঘোষণা করেছে ওয়েলস। পাসপোর্ট দেখালেই গোটা দেশের যে কোনও প্রান্তে ট্রেনে চেপে যাত্রা করতে পারবেন ইউক্রেনীয় নাগরিকরা। দলে দলে শরণার্থী ভিড় করায় মলদোভার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে জি-৭ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলি।ব্রিটিশ সরকার ইউক্রেনীয় সরকারের জন্য নিখরচায় স্বাস্থ্য পরিষেবার ঘোষণা করেছে।