![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Edward Snowden: নাগালে পেতে মরিয়া আমেরিকা, কিন্তু ঢাল হয়েই রইলেন পুতিন, হুইসেলব্লোয়ার স্নোডেন রুশ নাগরিক হলেন
US-Russia Relations: আমেরিকার ন্যাশনাল সিকিওরিটি এজেন্সির গোপন ফাইল সংক্রান্ত বিভাগে কর্মরত ছিলেন স্নোডেন। ২০১৩ সালে আমেরিকা থেকে পালিয়ে প্রথমে হংকং পৌঁছন।
![Edward Snowden: নাগালে পেতে মরিয়া আমেরিকা, কিন্তু ঢাল হয়েই রইলেন পুতিন, হুইসেলব্লোয়ার স্নোডেন রুশ নাগরিক হলেন Vladimir Putin Grants Russian Citizenship To US Whistleblower Edward Snowden amid increasing tension with US amid Ukraine War Edward Snowden: নাগালে পেতে মরিয়া আমেরিকা, কিন্তু ঢাল হয়েই রইলেন পুতিন, হুইসেলব্লোয়ার স্নোডেন রুশ নাগরিক হলেন](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/09/27/e0e7ae800ccdcda53cd1c1aa67f03c141664249736515338_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
মস্কো: চোখরাঙানি এড়িয়েই ইউক্রেনে এখনও যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া (Russia-Ukraine War)। এ বার আমেরিকার কাটা ঘায়ে আক্ষরিক অর্থেই নুনের ছিটে দিল তারা। আমেরিকার বিরুদ্ধে গোপনে নজরদারি চালানোর অভিযোগ তুলে খবরে আসা এডওয়ার্ড স্নোডেনকে (Edward Snowden) নিজেদের দেশের নাগরিকত্ব দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। বিগত কয়েক বছর ধরে রাশিয়াতেই আত্মগোপন করে ছিলেন স্নোডেন। এ বার পাকাপাকি ভাবে সে দেশের নাগরিকত্ব পেলেন তিনি।
হুইসেলব্লোয়ার এডওয়ার্ড স্নোডেন রাশিয়ার নাগরিকত্ব পেলেন
আমেরিকার ন্য়াশনাল সিকিওরিটি এজেন্সির গোপন ফাইল সংক্রান্ত বিভাগে কর্মরত ছিলেন স্নোডেন। ২০১৩ সালে আমেরিকা থেকে পালিয়ে প্রথমে হংকং পৌঁছন। সেখানে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া গোপন সাক্ষাৎকারে কার্যত বোমা ফাটান তিনি। দেশের অন্দরে এবং অন্য দেশের উপর বেআইনি ভাবে আমেরিকা নজরদারি চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
স্নোডেন সেই সময় জানান, কাজে যোগ দিয়ে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন এবং প্রতিবাদও জানান। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি, প্রাণ হাতে করে পালিয়ে গোটা বিশ্বের সামনে আমেরিকার মুখোশ খুলে দিতে চান বলে জানিয়েছিলেন। প্রকাশ করেছিলেন বহু গোপন ফাইল। তার পর থেকে আমেরিকার মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় স্নোডেন। কিন্তু তাদের হাত ফস্কে রাশিয়ায় পৌঁছে যান স্নোডেন। সেই থেকে পুতিনের আশ্রয়েই ছিলেন এতদিন।
এই কয়েক বছরে বার বার স্নোডেনকে হাতে পাওয়ার চেষ্টা করেছে আমেরিকা। রাশিয়ার হয়ে তিনি চরবৃত্তি করছিলেন বলে অভিযোগ করে তারা। দেশে ফিরে স্নোডেনকে আইনি পথে সাজাপ্রদানই লক্ষ্য ছিল আমেরিকার। কিন্তু আমেরিকায় ফেরার কোনও ইঙ্গিতই দেননি স্নোডেন। বরং রাশিয়াতেই রয়ে গিয়েছেন। এ বার সে দেশের নাগরিকত্বও পেয়ে গেলেন।
স্নোডেনকে নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়ে ক্রেমলিনের তরফে সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। কিন্তু শনিবার যে ৭২ জন বিদেশে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তির নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছেন পুতিন, তাতে নাম রয়েছে স্নোডেনের।
স্নোডেনের রুশ নাগরিকত্ব পাওয়া নিয়ে দুই দেশের মধ্যে তিক্ততা আরও বাড়বে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। কিন্তু রাশিয়ায় এ নিয়ে রঙ্গ-রসিকতাও শুরু হয়েছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রুশ নাগরিক হিসেবে স্নোডেনও সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন কি না, প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। তবে স্নোডেনের আইনজীবী আন্তলি কুচেরেনা জানিয়েছেন, স্নোডেনকে যুদ্ধে পাঠানো হবে না। কারণ রুশ সেনায় দায়িত্ব পালনের কোনও অভিজ্ঞতা নেই তাঁর। স্নোডেনের আইনজীবী আরও জানিয়েছেন, স্নোডেনের স্ত্রী লিনজি মিলস ২০২০ সালে পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তিনিও আগামী দিনে রাশিয়ার নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানাবেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে সংঘাতের মধ্যেই সিদ্ধান্ত পুতিনের
এর আগে, ২০২০ সালে রাশিয়ায় স্থায়ী ভাবে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয় স্নোজডেনকে। নাগরিকত্ব পাওয়ার সেটাই প্রথম ধাপ ছিল বলে মনে করা হয়েছিল তখনই। সে বছরই স্নোডেন মিথ্যে অভিযোগ এনেছেন বলে জানিয়ে দেয় আমেরিকার এক আদালত। স্নোডেন গোপন তথ্য ফাঁস করে ঠিক করেননি বলে মন্তব্য করেছিলেন পুতিনও। কিন্তু স্নোডেন বিশ্বাসঘাতক নন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)