IT Employee: ১৫ হাজার বেতনে কাজ শুরু, কীভাবে তিরিশের আগেই ১ কোটির ফান্ড গড়লেন ? কীভাবে তরতরিয়ে বাড়ল বেতন ? আইটি কর্মীর পোস্ট ভাইরাল
Bengaluru Techie Post Viral: পোস্টের শুরুতেই এই ব্যক্তি লেখেন যে এটি কোনও গল্প নয়, এটি আদপে তাঁরই নিজের সত্যি কাহিনি। তাঁর বাবা মাসে ৭-৮ হাজার টাকা উপার্জন করতেন আর তাঁর মা ৫-৭ হাজার টাকা আয় করতেন।

Viral News: ২৩ বছর বয়সে মাত্র ১৫ হাজার টাকা বেতনে কাজ শুরু। আর এইভাবেই ৩০ বছর বয়স হওয়ার আগেই ১ কোটি টাকা জমিয়ে ফেলেছেন এই ব্যক্তি। আর এই বার্তা দিয়ে পোস্ট করেছেন এক আইটি কর্মী, মুহূর্তের মধ্যে সেই পোস্ট ভাইরাল। এই ইঞ্জিনিয়ার ব্যক্তি রেডিটে লিখেছিলেন যে অন্যান্য সাধারণ ব্যক্তিদের মতই ২০১৮ সালে বার্ষিক ২.৪ লক্ষ টাকার প্যাকেজে আইটি সেক্টরে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। আর আজ নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এলেও আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন করেছেন তিনি এবং জমিয়ে ফেলেছেন ১ কোটি টাকা।
পোস্টের শুরুতেই এই ইঞ্জিনিয়ার ব্যক্তি লেখেন যে এটি কোনও গল্প নয়, এটি আদপে তাঁরই নিজের সত্যি কাহিনি। তাঁর বাবা মাসে ৭-৮ হাজার টাকা উপার্জন করতেন আর তাঁর মা ৫-৭ হাজার টাকা আয় করতেন। ফলে সংসারে আর্থিক অবস্থা মোটেও ভাল ছিল না। এরপরেও মাসে ১২০০ টাকা বেতনের একটি বেসরকারি স্কুল থেকে পড়াশোনা করেছেন তিনি। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ৮৯ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করেন তিনি। তারপর জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় পাশ করে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে ভর্তি হন তিনি। কলেজের ফি দেওয়ার জন্য ঋণও পাওয়া যায়নি ব্যাঙ্ক থেকে। আত্মীয়দের সাহায্যে এই সমস্যার সমাধান হয়।
তারপর ক্যাম্পাসিংয়ে চাকরি পেলেন বেঙ্গালুরুর একটি সংস্থায়। ২.৪ লক্ষ টাকা বার্ষিক প্যাকেজে যোগ দিলেন কাজে। এই সময় সপ্তাহে ৬ দিন কাজ করতেন তিনি আর মাসে কষ্টে-সৃষ্টে ২ হাজার টাকা জমাতে পারতেন। তারপর কোভিডের সময় একটি সংস্থা থেকে ১২ লক্ষ টাকার চাকরির অফার আসে তাঁর কাছে। ২০২২ সালে আরও ১৩টি চাকরির অফার আসে তাঁর কাছে। এগুলির মধ্যে থেকে একটি প্রোডাক্ট ভিত্তিক সংস্থায় কাজের অফার নেন তিনি আর সেখানে তাঁর বেতন এক লাফে বেড়ে হয় বার্ষিক ৩২ লক্ষ টাকা।
আর ২০২২ সালে চাকরির বাজারে ব্যাপক গতি আসে। তাঁর ভাগ্যও বদলে যায়। তাঁর সেই সময়কার বেতন বার্ষিক ৩২ লক্ষ টাকা থেকে খুব বেশি না বাড়লেও সংস্থার স্টক থাকার সুবাদে তাঁর আয় বছরে ৫০ লক্ষের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। তবে এত টাকা বেতন পেলেও তাঁর জীবনযাপনের ধরন একই রেখেছিলেন তিনি। সেই ব্যক্তি লেখেন, 'আমি মোটেও মেটিরিয়ালিস্টিক নই। আমি এখনও ২০১৯ সালে কেনা সেই ফোন ব্যবহার করি। আমার ওয়ার্ডরোবে পড়ে রয়েছে অফিসের দেওয়া ফ্রি টিশার্ট, জামা আর কয়েকটা নিজে কেনা জুডিওর ড্রেস বা প্যান্ট। ২৫০ টাকায় কেনা জুতোর ভিতরে আমি ১০০০ টাকার সোল লাগিয়ে এখনও পড়ি। আমার কখনও বিলাসবহুল জীবন বেছে নেওয়ার ইচ্ছে হয়নি। আমার এখনকার আর্থিক অবস্থায় ৩৫-৪০ পর্যন্ত কাজ করার পরে আর আমার কাজ করার দরকারও পড়বে না।' তিনি আরও জানান যে মাসে ৭১ হাজার টাকা করে এসআইপি করেন নিয়মিত আর তাঁর পোর্টফোলিও ২০২৩ সালে ছিল ৩১.৬ লক্ষের যা ২০২৫-এ বেড়ে হয়েছে ১০০.৭৭ লক্ষ টাকা।

এই ব্যক্তি পোস্টে লিখেছেন যে ৪৫ বছর বয়সেই তিনি কাজ থেকে অবসর নেবেন। তাঁর কথায়, 'যেখানে প্রয়োজন সেখানে মিতব্যয়ী হোন, যেখানে দরকার সেখানে ব্যয় করুন। আর কম্পাউন্ডিংয়ের ক্ষমতাকে কখনও অবহেলা করবেন না। বিনয়ী থাকুন। কারণ আপনার ২৫০ টাকা জুতো আজ মাটিতেই পা রেখে চলতে সাহায্য করবে আপনাকে যেখানে আপনার স্টকের পোর্টফোলিও ১ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে।'






















