Deepwater Space Station: বিশ্বে প্রথম সমুদ্রের ৬৫৬০ ফুট নিচে 'স্পেস স্টেশন' বানাবে চিন, কী নিয়ে গবেষণা হবে ?
First Deep Water Space Station: এই 'কোল্ড সিপ' ইকোসিস্টেম রিসার্চের সুযোগ বা সুবিধে সমুদ্রতলের ৬৫৬০ ফুট গভীরে বিশ্বের অন্যতম সম্পদ-সমৃদ্ধ এলাকায় এই স্পেস স্টেশন গড়ে তোলা হবে।

Space Station: চিনে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন পেয়েছে সমুদ্রের গভীরে গবেষণাকেন্দ্র নির্মাণের জন্য। দক্ষিণ চিন সাগরের অতলে এই গবেষণাকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সমুদ্রের অতলের জগৎ সম্পর্কে গবেষণায় (Deepwater Space Station) অগ্রগতি আসবে এবং একইসঙ্গে এই অঞ্চলে বেজিংয়ের ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব আরও সুদৃঢ় হবে। বহু বছর ধরেই এই পরিকল্পনা চলছে, এবারে তা বাস্তুবায়িত হতে চলেছে। সমুদ্রের গভীরে বিজ্ঞান গবেষণায় এবার বিপ্লব আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে চিনের এই ডিপ সি স্পেস স্টেশনের দরুণ কপালে কি চিন্তার ভাঁজ পড়ল আমেরিকার ?
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট সংবাদপত্র অনুসারে এই 'কোল্ড সিপ' ইকোসিস্টেম রিসার্চের সুযোগ বা সুবিধে সমুদ্রতলের ৬৫৬০ ফুট গভীরে বিশ্বের অন্যতম সম্পদ-সমৃদ্ধ এলাকায় এই স্পেস স্টেশন গড়ে তোলা হবে। এই গবেষণাকেন্দ্র এমনভাবেই ডিজাইন করা হয়েছে যাতে ৬ জন বিজ্ঞানী টানা এক মাস ধরে এখানে গবেষণা করতে পারেন অনায়াসে। সমুদ্রের গভীরে (Deepwater Space Station) অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সামাল দেওয়ার জন্য এখানে রাখা হয়েছে অত্যাধুনিক লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম। এই গবেষণাকেন্দ্রে থাকবে চতুর্মাত্রিক সার্ভেইল্যান্স গ্রিড যা নজর রাখবে জলের উপর দিয়ে চলা জাহাজ, মানবহীন সাবমার্সিবল এবং সমুদ্রের ধারের সমস্ত অবজারভেটরিগুলির উপরে যাতে তথ্য সংগ্রহ এবং অনুসন্ধান কার্য আরও উন্নত হয়ে ওঠে।
এই গবেষণাকেন্দ্রটি একটি বিশালাকার পরিকাঠামো নেটওয়ার্কের অংশবিশেষ, যেখানে বিরাট ফাইবার অপটিকস কমিউনিকেশন সিস্টেম থাকছে সমুদ্রের উপকূলে। আর রয়েছে একটি ড্রিলিং শিপ মেনজিয়াং যা পৃথিবীর ম্যান্টলে এবং সমুদ্রের গভীরে অনুসন্ধান চালাবে। এটি এখনও পর্যন্ত গভীরতম এবং প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত আন্ডারওয়াটার ইনস্টলেশনগুলির মধ্যে অন্যতম যা ২০৩০ সাল থেকে পুরোপুরি চালু হতে চলেছে।
গবেষণাকেন্দ্রের মূল উদ্দেশ্য
এই পরিকল্পিত ডিপ-সি স্পেস স্টেশনের মূল উদ্দেশ্য কোল্ড সিপ ইকোসিস্টেম (Deepwater Space Station) নিয়ে গবেষণা করা, দাহ্য বরফ বা মিথেন হাইড্রেট নিয়ে অনুসন্ধান চালানো। এছাড়া অন্যান্য সামুদ্রিক গবেষণা ক্ষেত্রেও এটি কাজ করবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করবে। এর মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হবে, রিয়েল টাইম ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জটিল পরিবেশ বদলের বিষয়ে ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব থাকবে মানুষের হাতে।























