Viral News: বসকে হোয়াটসঅ্যাপ সম্ভাষণে 'হেয়', তোলপাড় নেটদুনিয়া
WhatsApp Greeting Causing Rebuke: হোয়াটসঅ্যাপে তাঁকে হে (hey) সম্ভাষণ করায় কর্মীকে পেশাদারিত্বের কথা মনে করালেন বস। দুপক্ষের কথোপকথনের স্ক্রিনশট ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
নয়াদিল্লি: নমস্কার নাকি হ্যালো (hello) নাকি হে ডুড (hey dude)? পরিচিত কারও সঙ্গে হঠাৎ দেখা হলে কী ভাবে কথা শুরু করেন? আগে যদি এ নিয়ে ভেবে না থাকেন তা হলে এবার ভাবুন। কারণ নামে না হলেও সম্ভাষণে অনেক কিছু এসে যায়। অন্তত তেমনই অভিজ্ঞতা শ্রেয়সের।
কে শ্রেয়স? সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলে বুঝতে পারবেন, ইনি আদতে একজন ছাপোষা চাকুরিজীবী। তবে তাঁর একটি হোয়াটসঅ্যাপ (whatsapp) স্ক্রিনশট ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। বসের (boss) সঙ্গে কথোপকথনের (whatsapp chat) একটি স্ক্রিনশট দিয়েছেন শ্রেয়স। সেখান থেকেই শোরগোল।
কী করেছেন শ্রেয়স?
আসলে বস হোয়াটসঅ্যাপে শ্রেয়সকে একটি প্রশ্ন করেছিলেন। জবাবে তিনি বলেন, 'না, এখনও হয়নি।'আপাতভাবে সাধারণ কথাবার্তা। কিন্তু 'দোষের মধ্যে দোষ' বলতে একটাই শ্রেয়সের। বসকে তিনি 'hey' বলে কথা শুরু করেছিলেন। এই'hey'-তেই হেয় অনুভব করেন বস। পেশাদার কথাবার্তায় কীরকম সম্ভাষণ ব্যবহার হওয়া উচিত সেই নিয়েও বড়সড় বক্তব্য রাখেন তিনি। dude, man, এই সব কথা নৈব নৈব চ! বড়জোর 'হ্যালো', 'হাই দেয়ার'(hi there) ব্যবহার করা যেতে পারে।
শ্রেয়সও ছাড়েননি। বলেছেন, হোয়াটসঅ্যাপে কথাবার্তাকে তিনি পেশাদার কথা বলে ধরতে চাননি। তাই সম্বোধনেও সেই আঁটোসাঁটো ব্যাপারটি রাখেননি। বসের পাল্টা, 'হোয়াটঅ্যাপ এখন আর ব্যক্তিগত পরিসর নয়। তবে আপনার উপর আমার ব্যক্তিগত ধ্যানধারণা চাপাচ্ছি না। আপনি বুঝলে ভালো, না হলে কখনও না কখনও বুঝেই যাবেন।'
কথাবার্তার এই স্ক্রিনশটটিই রেডিট-এ পোস্ট করেন শ্রেয়স। তার পর থেকে তীব্র আলোচনা সোশ্যাল মিডিয়ায়। কোন সম্ভাষণে কতটা পেশাদারিত্ব বোঝা যায়, 'hey' ব্যবহারে আপত্তি কেন, যুক্তি-পাল্টা যুক্তিতে তুফান ওঠে। শ্রেয়সের পক্ষে অনেকেই অনেক কিছু লেখেন, কারও কারও আবার বক্তব্য পেশাদারিত্বের দুনিয়ায় কিছু কথা না ব্যবহার করাই শ্রেয়। অনেকে আবার এর মাঝামাঝি একটা রাস্তা বেছে নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন। সব মিলিয়ে ভাইরাল পোস্ট, তর্কও তুঙ্গে।
'কুল স্যর'-এ শাস্তিমূলক পোস্টিং
দেখেশুনে আর্টিকল-ফিফটিন ছবিতে আয়ুষ্মান খুরানার সেই সংলাপ মনে পড়েছে কারও কারও। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রশ্নের জবাবে, 'কুল স্যর' বলেছিলেন ছবির নায়ক। ধারণা ছিল, আমলাসুলভ মেজাজের বাইরে শব্দবন্ধের ব্যবহার করাতেই তাঁকে পানিশমেন্ট পোস্টিং দেওয়া হয় গ্রামে।
বাস্তবের শ্রেয়সের কী হল? জানা যায়নি।
আরও পড়ুন:বাংলায় আমাদের কর্মীরা খুন হচ্ছেন', এবার মোদির মুখেও 'বাংলার সন্ত্রাস'!