PM Modi: ‘বাংলায় আমাদের কর্মীরা খুন হচ্ছেন', এবার মোদির মুখেও 'বাংলার সন্ত্রাস'!
বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের সমাপ্তি ভাষণে এবার প্রধানমন্ত্রী মোদির মুখেও শোনা গিয়েছে, 'বাংলার সন্ত্রাস’। বিস্তারিত আসছে।
দিল্লিঃ এবার মোদির মুখেও 'বাংলার সন্ত্রাস' (Bengal Violence)। বিজেপির (BJP) জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের সমাপ্তি ভাষণে এবার প্রধানমন্ত্রী মোদির মুখেও শোনা গিয়েছে, 'বাংলার সন্ত্রাস’। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘বাংলায় আমাদের কর্মীরা খুন হচ্ছেন। তারপরেও দেশের স্বার্থে দলের পতাকা হাতে এগিয়ে চলেছেন।' হায়দরাবাদে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের সমাপ্তি ভাষণে এমনটাই মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi)।
আরও পড়ুন, ফের ধাক্কা উদ্ধবের, অধ্যক্ষ নির্বাচনে জয়ী বিজেপি প্রার্থী
প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসায় (Post Poll Violenece) বাংলায় একের পর এক বিজেপি কর্মীর উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। দলীয় অফিস তো বটেই, বিজেপি কর্মীর পরিবারের উপরেও হামলা চলে বলে অভিযোগ উঠে আসে। কাঁকুড়গাছির বাসিন্দা বিজেপির কার্যকর্তা অভিজিৎ সরকারের হত্যাকাণ্ড থেকে মগরাহাট পশ্চিমের বিজেপি পার্থী মানস সাহার উপর আক্রমণ, একের পর এক অভিযোগ উঠে আসে। মূলত শুধুই ভোট পরবর্তী হিংসা নয়, একুশের ভোট শুরুর আগের সপ্তাহেও বাংলার বুকে বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। বিজেপির অভিযোগ, 'খুন করে দড়িতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার রূপ দিতে চাইছে ওরা।' তবে এই অভিযোগ মূলত শাসকদলের দিকেই উঠেছে। রবিবার বিজেপির (BJP) জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের সমাপ্তি ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘বাংলায় আমাদের কর্মীরা খুন হচ্ছেন। তারপরেও দেশের স্বার্থে দলের পতাকা হাতে এগিয়ে চলেছেন।'
তবে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ নিয়ে বাংলায় এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও উল্লেখ করেন। তবে যারা খুন হয়েছেন, তাঁদের পরিবার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে বলে অভিযোগ আসে। বাংলার, একাধিক বিজেপি কর্মী, ভোটের ফল বেরোনোর পর ঘর ছাড়া হন। মূলত ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠতেই প্রথমে জাতীয় মানবধিকার কমিশন বাংলায় আসে। শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও আক্রান্তদের বাড়িতে পরিদর্শন করতে যান। কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়তেই মামলা ওঠে হাইকোর্টে। কলকাতা হাইকোর্ট , কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-কে তদন্তের নির্দেশ দেয়। ইতিমধ্যেই রাজ্যে অভিজিৎ সরকারের হত্যাকাণ্ডে বিস্তর জল গড়িয়েছে। সিবিআই এই মামলায় একাধিক জনকে গ্রেফতার করেছে। যদিও এখনও বহু বিজেপি কর্মী এখনও ঘর ছাড়া বলে অভিযোগ। একুশের বিধানসভা ভোট, কলকাতা পুরভোট, জেলা ভোট, একাধিক উপনির্বাচনে অর্থাৎ একুশের মার্চ থেকে বাইশের এই সময় অবধি বিপুল ভোটে জয়ী তৃণমূল। আর এই জয়ই কি' ক্ষমতার অপ্রয়োগ বা ভোট পরবর্তী হিংসা তৈরি করছে', বলে চাপান-উতোর রাজনৈতিক মহলে।
বিস্তারিত আসছে..