Sleeping Prince: আর ভাঙবে না ঘুম ! ২০ বছর কোমায় থাকার পর ‘চিরঘুমের দেশে’ সৌদির ‘ঘুমন্ত রাজপুত্র’
Prince Alwaleed bin Khaled: গ্লোবাল ইমামস কাউন্সিল রাজপুত্রের মৃত্যুর খবর জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে তাদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডলে।

সৌদি আরব: সৌদি আরবের ‘ঘুমন্ত রাজপুত্র’ নামেই তাঁকে চিনত সারা পৃথিবী। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে কোমায় ছিলেন তিনি। এবার যাত্রা স্তব্ধ। আর ভাঙবে না ঘুম ! চিরঘুমের দেশেই (Sleeping Prince) পাড়ি দিলেন সৌদির প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন খালিদ বিল তালাল বিন আবদুলাজিজ আল সৌদ। ১৯ জুলাই শনিবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ৩৬ বছর বয়সী রাজপুত্রের ২০টা বছর কেটেছিল কোমাতেই। গভীর ঘুমেই বেঁচে ছিলেন তিনি, এবার অনন্তের পথে। চিরঘুমের দেশে যাত্রা।
গ্লোবাল ইমামস কাউন্সিল রাজপুত্রের মৃত্যুর খবর জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে তাদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডলে। এই বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘গ্লোবাল ইমামস কাউন্সিল যুবরাজ আলওয়ালিদ বিন খালেদ বিন তালাল আল সৌদের মৃত্যুতে রাজকীয় মহামান্য ক্রাউন প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমন (Sleeping Prince) এবং সম্মানীয় রাজপরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছে। একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরে টানা ২০ বছর ধরে তিনি দীর্ঘ সংগ্রাম চালিয়ে গিয়েছেন এবং তারপরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
যুবরাজের বাবা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘আল্লাহর নিয়তি ও ভাগ্যের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস এবং গভীর দুঃখ ও বেদনার সঙ্গে আমরা আমাদের প্রিয় পুত্র প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন খালেদ বিন তালাল বিন আবদুলাজিজ আল সৌদের জন্য শোক প্রকাশ করছি যিনি আজ আল্লাহর আশীর্বাদে মৃত্যুবরণ করেছেন।’
যুক্তরাজ্যের একটি সামরিক কলেজে পড়াকালীন সময়েই এক ভয়াবহ দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন প্রিন্স আলওয়ালিদ যখন তাঁর বয়স মাত্র ১৫ বছর। এই দুর্ঘটনায় (Sleeping Prince) মস্তিষ্কে গুরুতর আঘাত ও আভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের হয়, আর এর ফলেই তিনি সম্পূর্ণ কোমায় চলে যান। পরে তাঁকে রিয়াধের কিং আবদুল আজিজ মেডিকেল সিটিতে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে লাইফসাপোর্টে ছিলেন। বছরের পর বছর ধরে কোমায় ছিলেন প্রিন্স আলওয়ালিদ। মাঝে মাঝে তাঁর আঙুল নড়েচড়ে উঠত আর সেটা ঘিরেই আশার আলো জাগত। মার্কিন ও স্পেনীয় বিশেষজ্ঞরা এসেও তাঁর চিকিৎসা করেছেন, কিন্তু কিছুতেই জ্ঞান ফিরে পাননি যুবরাজ।
তাঁর বাবা প্রিন্স খালেদ বিন তালাল ছেলের জীবন বাঁচাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন। বারবার তাঁকে বলা হয়েছে যেন তিনি লাইফ সাপোর্ট প্রত্যাহার করে নেন। কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব অস্বীকার করেন। তাঁর ধারণা ও বিশ্বাস ছিল যে মৃত্যুর মুহূর্ত ঠিক করবেন স্বয়ং আল্লাহ। ২০ জুলাই রবিবার নমাজের পরে রিয়াধের ইমাম তুর্কি বিন আবদুল্লাহ মসজিদে প্রিন্স আলওয়ালিদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।






















