Viral News: অদম্য জেদের কাছে হার দারিদ্রের, 'নিট' পাশ সবজি বিক্রেতা ও দিনমজুরের পুত্রকন্যার
NEET Exam: বাধা ছিল অজস্র। সম্বল শুধু অদম্য ইচ্ছা। তাতে ভর করেই মেডিক্যাল এন্ট্রান্স পরীক্ষা 'নিট' পাশ করলেন ওঁরা। তার সঙ্গে কিস্তিমাত করলেন দারিদ্রকে।
ভুবনেশ্বর: বাধা ছিল অজস্র। সম্বল শুধু অদম্য ইচ্ছা (Will)। তাতে ভর করেই মেডিক্যাল এন্ট্রান্স পরীক্ষা 'নিট' (NEET) পাশ করলেন ওঁরা। তার সঙ্গে কিস্তিমাত করলেন দারিদ্রকে (poverty)। ওঁরা মানে ইশরিতা পন্ডা ও শান্তনু দলাই। ওড়িশার (odisha) বাসিন্দা ইশরিতা ও শান্তনুর বাবাদের এক জন সবজি বিক্রেতা, অন্য জন দিনমজুর। তীব্র আর্থিক অনটন নিত্যসঙ্গী দুই পড়ুয়ারই। তা সত্ত্বেও ডাক্তারির প্রবেশিকায় তাঁদের সাফল্য তাক লাগিয়েছে বহু মানুষকে।
যুদ্ধজয় দুই কৃতীর...
গজপতি জেলার অদবা গ্রামের বাসিন্দা ইশরিতা পন্ডা ৭২০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন ৬২২। সর্বভারতীয় স্তরে তাঁর rank ১১,৮৯৫। শান্তনু থাকেন গঞ্জাম জেলার পোলসারা ব্লকে। সর্বভারতীয় স্তরে তাঁর rank ১৯,৬৭৮। প্রথম চেষ্টায় অবশ্য দুজনের কেউই নিট পাশ করতে পারেননি। কিন্তু হাল ছেড়ে দেওয়া ইশরিতা বা শান্তনু-কারওরই স্বভাবে নেই। তাই দ্বিতীয় বার পরীক্ষার আগে মনপ্রাণ দিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন দুজন। ফলও মিলেছে। শান্তনুর বাবা বললেন, 'আর্থিক অনটন সত্ত্বেও ওঁর লেখাপড়ায় প্রভাব পড়তে দিইনি। ' তবে তাঁর কৃতী ছেলে যে প্রাইভেট ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তাদের অবদানও স্বীকার করলেন বাবা। জানালেন, সেখানকার প্রশিক্ষক বিনা পারিশ্রমিকে পড়িয়েছেন শান্তনুকে। ইশরিতার বাবা আবার জানাচ্ছেন , কোভিড অতিমারীতে তাঁর সবজি বিক্রির ব্যবসা ভয়ঙ্কর ধাক্কা খেয়েছিল। কিন্তু মেয়ের প্রশিক্ষণ বন্ধ হতে দেননি। গর্বিত বাবার কথায়, 'মনেপ্রাণে চেয়েছিলাম ও ডাক্তার হোক। সে জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।' নিজের ফলাফলে খুশি ইশরিতাও।
এবার কী?
বড় যুদ্ধজয়ের পর ওড়িশার কোনও সরকারি ডাক্তারি কলেজে ভর্তি হতে চান দুই কৃতী। ইশরিতার ইচ্ছা, কটক বা বেরহামপুরের কোনও সরকারি ডাক্তারি কলেজে ভর্তি হবেন। শান্তনুও চান, রাজ্যের কোনও কলেজে লেখাপড়া করতে। ডাক্তারি পড়ার ও জনসেবার স্বপ্নপূরণে আরও অনেকটা পথ চলা বাকি, আরও বেশ কিছু লড়াই বাকি। তবে তাঁদের অদম্য জেদের কাছে আগেই হার মেনেছে দারিদ্র। ভবিষ্যতেও সব বাধা হারিয়ে এগোবেন ওঁরা, আশা পাড়া-পড়শি ও পরিজনদের। প্রসঙ্গত, সর্বভারতীয় নিট এবারও সাফল্যের ধারা ধরে রেখেছে পশ্চিমবঙ্গ। পরীক্ষায় ২২তম স্থান দখল করে শিরোনামে মহিষাদলের দেবাঙ্কিতা বেরা। রাজ্য়ের নিরিখে তাঁর rank তৃতীয়। দেবাঙ্কিতার এই সাফল্যে খুশির হাওয়া স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে।
আরও পড়ুন:অতীতেও হামলা ছাত্রনেতা আনিস খানের ভাইয়ের উপর, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ পরিবারের