আজ থেকেই শুরু হয়েছে কাজ। রুদ্রনীল জানাচ্ছেন, এখন ৬ মাসের পরিকল্পনা রয়েছে। আপাতত নিজেরাই অর্থসংগ্রহ করে কাজ চালাচ্ছেন তাঁরা। তবে প্রয়োজন আরও সাহায্যের। কোভিড পরিস্থিতিতে দাঁড়িতে স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে রুদ্রনীল বলছেন, ‘এবারের স্বাধীনতা দিবসে সব মানুষ স্বাস্থ্যের স্বাধীনতা পান’।
2/6
সুরক্ষা সামগ্রীর সঙ্গে চাই সচেতনতার পাঠও। সেই ব্যবস্থাও করেছেন রুদ্রনীল। জানালেন, ‘বস্তিবাসীর মধ্যেই যারা শিক্ষিত তাঁদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবকদের দল। সবাইকে সমস্ত সামগ্রীর সঠিক ব্যবহার বুঝিয়ে দেবেন তাঁরাই। আর প্রয়োজনে হাসপাতালে নিয়ে যআওয়ার জন্য জননী-র সঙ্গে যোগাযোগ করার গুরুভারও তাঁদেরই ওপর।’
3/6
আজ থেকে শুরু হয়েছে অভিনেতার এই কর্মযজ্ঞ। কিন্তু কোথা থেকে এল এই প্রান্তিক মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর ভাবনা? রুদ্রনীল বলছেন, ‘ গোটা সিস্টেমটা যদি একটা বাস হয়, তবে তার চালক সরকার, আমরা যাত্রী। কিন্তু ওই দরিদ্র মানুষেরাই বাসের চাকা। তাঁদের ছাড়া আমাদের একদিনও চলা অসম্ভব। তাই তাঁদের মধ্যেই আগে ছড়িয়ে দিতে হবে সচেতনতা। আমরা যেমন মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করছি তা কেনবার মতো ক্ষমতা নেই অনেকেরই। তাই তাঁদের কাছে সুরক্ষার জিনিসগুলি পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদেরই।’
4/6
ঠিক কি করবে এই ‘জননী’। রুদ্রনীল বলছেন, ‘ আমরা সমস্ত বস্তিবাসী পরিবারের কাছে পৌঁছে দেব একটি করে কিট ব্যাগ। সাধারণত স্বাস্থ্যসম্মত জিনিস যেমন - মাস্ক, স্যানিটাইজার, গ্লাভস, জ্বরের ওষুধ, ব্লিচিং পাউডার থেকে শুরু করে প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রী থাকবে এই ব্যাগে।’ করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে মাথায় রেখেও কাজ করছেন তিনি।
5/6
গ্রাম নয়, ঘন জনবসতির জন্য করোনা মূলত ছড়িয়ে পড়ছে শহর থেকেই। এই কথা একাধিকবার শোনা গেছে বিশেষজ্ঞদের থেকে। বারবার সতর্কীকরণ সত্ত্বেও প্রায় রোজই সামনে আসছে অসতর্কতার ছবি। আর সচেতনতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বস্তি অঞ্চলের মানুষদের। এমনটাই মনে করেন অভিনেতা। তাই কলকাতা পৌরসভার অন্তর্ভূক্ত ৩,৫০০ বস্তিতে সচেতনতা গড়ে তোলার দায়িত্ব নিলেন তিনি নিজেই।’ প্রকল্পের নাম ‘জননী’। নতুন প্রকল্প নিয়ে এবিপি আনন্দের সঙ্গে কথা বললেন রুদ্রনীল ঘোষ।
6/6
সুরক্ষার জন্য প্রয়োজন পরীক্ষা, বারবার বলছেন চিকিৎসরাই। এই সমস্ত বস্তি অঞ্চলের মানুষদের জন্য মাসে ১ বার করে স্বাস্থ্যপরীক্ষা শিবির করা হবে বলেও জানিয়েছেন রুদ্রনীল। সেই সঙ্গে বস্তির কেউ কোভিড আক্রান্ত হলে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হবে। এই বিষয়ে ‘জননী’-র সঙ্গে হাত মিলিয়েছে সঞ্জীবনী হাসপাতাল ও এইচ আর সোসাইটি নামের এর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মাসে ২০-২৫ জন কোভিড আক্রান্তের স্টেজ ২ ও ৩-এর চিকিৎসার বিনামূল্যে ব্যবস্থা করে হয়েছে সঞ্জীবনী হাসপাতালেই।