Bhagar: মুক্তি পেল 'ভাগাড়', প্রিমিয়ারে হাজির কলাকুশলীরা, দেখে নিন ছবি

Bhagar Update: এই সিরিজে অভিনয়ে দেখা গিয়েছে, সব‍্যসাচী চৌধুরী, রজতাভ দত্ত, ঐন্দ্রিলা শর্মা, অম্লান মজুমদার, বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রীতম দাস, পূজা সরকার, মৌ ভট্টাচার্য ও সুমন্ত মুখোপাধ্যায়কে।

মুক্তি পেল 'ভাগাড়', প্রিমিয়ারে হাজির কলাকুশলীরা, দেখে নিন ছবি

মুক্তি পেল ওয়েব সিরিজ 'ভাগাড়'। ক্লিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাওয়া এই সিরিজের গল্পের প্রেক্ষাপট ২০১৮ সালের ভাগাড়কাণ্ড।

এই সিরিজে অভিনয়ে দেখা গিয়েছে, সব‍্যসাচী চৌধুরী, রজতাভ দত্ত, ঐন্দ্রিলা শর্মা, অম্লান মজুমদার, বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রীতম দাস, পূজা সরকার, শক্তি দে, মৌ ভট্টাচার্য ও সুমন্ত মুখোপাধ্যায়কে।

এই ওয়েব সিরিজটি পরিচালনা করছেন রাজদীপ ঘোষ। কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন অম্লান মজুমদার।

গল্পের ঝলক কিছুটা এমন, ২০১৮ সালে ভাগাড় কাণ্ডে কেঁপে উঠেছিল সারা বাংলা। সেই ভাগাড় কাণ্ডের শিকার হয়েছিল নোনাডাঙার পরেশও। বিরিয়ানিতে থাকা পচা বিড়ালের মাংস কেড়ে নিয়েছিল তার একমাত্র সন্তানের জীবন। তারপর থেকেই কার্যত ভীতু, মেরুদণ্ডহীন, গোবেচারা নিম্নবিত্ত মানুষটাকে আর সহ্য করতে পারে না তার স্ত্রী পুষ্প।

পুরুষত্বে যে বড় অভাব পরেশের মধ্যে। তাই স্বামীর সামনেই পাড়ার কানা বাপির সঙ্গে শারীরিক মিলনে দ্বিধাবোধ করে না সে। ঘটনায় ভিতরে ভিতরে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় পরেশ। সব জ্বালা জুড়োতে একদিন তাই সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। কিন্তু সে যে বড় ভীতু। একাধিকবার চেষ্টা করে আত্মহত্যা করার। আর তার সমস্ত চেষ্টা পর-পর ব্যর্থ হতে থাকে।

সেই সময়ই তার চোখে পড়ে খবরের কাগজের একটি প্রতিবেদন। এক ব্যক্তি সুপারি কিলার দিয়ে নিজেই নিজেকে খুন করার সুপারি দিয়েছে। ৫০ হাজার টাকার বিনিমনে বেছে নিয়েছে 'সহজ মৃত্যুর রাস্তা'। সে খোঁজ করতে থাকে সুপারি কিলারের। অন্যদিকে, জনপ্রিয় ইউটিউবার অনির্বাণ তার নিজস্ব চ্যানেলের জন্য ভিডিও বানাতে গিয়ে খোঁজ পায় এক জাল বেবিফুড কারখানার।

সেই কারখানার মালিক ইকবাল শাহেরিয়াকে দেখেই চমকে ওঠে সে। মনে পড়ে যায় তার, এই ইকবাল শাহেরিয়া তো আসলে নোনাডাঙা ভাগাড় কাণ্ডে পচা মাংসের কারবারে গ্রেফতার হওয়া কুখ্যাত সমাজবিরোধী ইদ্রিস আলি। সে একদিকে যেমন সুপারি কিলার। তেমনই গোপনে চলে তার জাল বেবিফুডের ব্যবসা। এদিকে তার কাছেই নিজেকে খুনের সুপারি দিতে আসে পরেশ।

মৃত্যুর রফা হয় ৫০ হাজার টাকায়। মৃত্যুর আগে শেষ খাওয়া খেয়ে নিতে ফুটপাথের এক হোটেলে ঢোকে সে। সেখানেই পরেশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ইকবালের গুন্ডারা। কিন্তু গুলি গিয়ে লাগে অন্য এক ব্যক্তির গায়ে। চোখের সামনে অন্য এক ব্যক্তিকে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করতে দেখতে গিয়ে মৃত্যু কতটা ভয়ঙ্কর তা টের পায় পরেশ। তার মন বদলে যায়। এখন মরতে নয় বাঁচতে চায় সে। কী হবে এবার? জানতে গেলে চোখ রাখতে হবে ওয়েব প্ল্যাটফর্মে