শ্যুটিং চলাকালীন একে অপরের প্রেমে পড়ে যান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ডিভা করিনা কপূর ও বলিউডের হটেস্ট হাঙ্ক সেফ আলি খান। এরপর, চার বছর তাঁরা ডেটিং করার পর ২০১২ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। একসঙ্গে একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন সেফ ও করিনা। যখন তাঁরা 'তশন'-এর সেটে প্রথমবার কাজ করেন, তখন কেরিয়ারে স্ট্রাগল করছিলেন করিনা। তখনই দুজনে একে অপরের ঘনিষ্ঠ হন। সেফ তাঁকে সেই সময় প্রচণ্ড সাপোর্ট দিয়েছিলেন।
2/8
একটি সাক্ষাৎকারে করিনা খোলসা করেন, কীভাবে তিনি সেফের প্রেমে পড়েছিলেন। অভিনেত্রী বলেন, যখন আমার মনে হচ্ছিল, যে আমি পড়ে যাচ্ছি, সেফ আমাকে ধরে ফেলে। আমার সঙ্গে ওর আগেই দেখা হয়েছিল। কিন্তু, 'তশন'-এর সময় অনেক কিছু বদলে যেতে শুরু করে। ও ভীষণ অ্যাক্টিভ ছিল। আমার মনে আছে লাদাখ ও জয়সলমেরে আমরা দুজনে একসঙ্গে বাইকে করে লং ড্রাইভে যেতাম। আমরা একে অপরের সঙ্গে প্রচুর কথা বলতাম। করিনা জানিয়েছেন, নিজেকে ভালবাসতে শিখিয়েছিল সেফ।
3/8
সেখানেই করিনা জানান, শ্যুটিংয়ের ফাঁকে সেফ তাঁকে প্রোপোজ করেন। কিন্তু, তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ, সেই সময় তাঁর মনে হয়েছিল যে সেফকে আরও ভাল করে চেনা দরকার।
4/8
মনসুর আলি খান পতৌদি যেখানে শর্মিলাকে প্রোপোজ করেছিলেন, ঠিক সেই জায়গায় করিনাকে প্রোপোজ করে তাঁর পুত্র সেফ।
5/8
করিনা জানান, সেফ তাঁকে প্যারিসে প্রেম নিবেদন করেন। তা ছিল তৃতীয়বার। এর আগে দুবার সেফের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সেফ। প্যারিসে, করিনার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে বিয়ের প্রস্তাব দেন সেফ।
6/8
শুধু প্রেম নিবেদন করাই নয়। ঠিক এরপরই করিনার নামে ট্যাটুও করে ফেলেন সেফ। প্রেম নিবেদন করার এই স্টাইল নিয়ে বলিউডে জোর চর্চা হয়েছিল।
7/8
প্রতিরাতে সেফ করিনাকে তাঁর বাড়িতে ছাড়তে যেতেন। কিছুদিন পর, করিনা সিদ্ধান্ত নেন, তিনি সেফের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের বিষয়টি মাকে জানাবেন। মাকে তিনি জানিয়ে দেবেন যে, সেফকে ছাড়া তিনি থাকতে পারবেন না। বাকি জীবন সেফের সঙ্গেই থাকতে চান তিনি। করিনা জানান, এরপর সেফ করিনার মাকে বলেছিলেন, আমি গোটা জীবন করিনার সঙ্গেই থাকতে চাই।
8/8
আজ, সেফ-করিনা দুজনই এক খুশিভরা দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছেন। সম্প্রতি, করিনা দ্বিতীয়বার মা হয়েছেন।