শখে-সাধে মদ্যপান, ধূমপান ও মাদকের ব্যবহারও তরুণদের পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে। এর সঙ্গে তরুণদের, বিশেষ করে, অল্পবয়সী মেয়েদের অকাল হৃদরোগের সম্পর্ক রয়েছে। নতুন এক গবেষণায় এমনই দাবি করা হয়েছে। হার্ট জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, যাঁরা এ ধরনের চার বা তার বেশি জিনিসের নেশা করেন, তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৯ গুণ বেশি।
2/8
বাড়ন্ত শরীরে এই বিষয়ে প্রভাব সংক্রান্ত গবেষণায় বলা হয়েছে, মাদক পদার্থ ব্যবহারের ফলে রোগীদের কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমে সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদি এই ক্ষতি সম্পর্কে দেশব্যাপী শিক্ষামূলক প্রচারের প্রয়োজন রয়েছে।লুইসিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটির অ্যান্টনি ওয়েইনে ওর এ কথা জানিয়েছেন।
3/8
ওই গবেষক জানিয়েছেন, দেহের কোষের দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া ও নিউরোকগনিটিভ ডিক্লাইনের সঙ্গে যুক্ত কোকেন ও মেটাম্ফেটামাইনের ব্যবহার। এক্ষেত্রে গ্রে ম্যাটারের হ্রাস গড়ের তুলনায় বেশি হয়।
4/8
গবেষণার জন্য গবেষকদল বেছে নিয়েছিল অকাল হৃদরোগ-যুক্ত ১৩৫,৭০৩ জনের সঙ্গে অতি আগাম হৃদরোগে আক্রান্ত ৭,৭১৬ জনকে। তাঁদের সঙ্গে তুলনা করে দেখা হয় এমন ১১১,২৪৫ জনের, যাঁদের অকাল হৃদরোগ হয়নি।
5/8
গবেষকদের সমীক্ষায় উঠে এসেছে, শখে গাঁজা, তামাক, ড্রাগ (অ্যাম্ফেটেমাইন ও কোকেন) যাঁরা নেন, তাঁরা অকাল ধমনী রোধের মতো সমস্যায় পড়তে পারেন। সেই সম্ভাবনা জোরাল।
6/8
গবেষকদল দেখতে পেয়েছেন, অকাল বা অতি আগাম হৃদরোগের আশঙ্কার সঙ্গে মাদক পদার্থের বিনোদনমূলক ব্যবহারের বেশ ভালো রকম সম্পর্ক রয়েছে।
7/8
হৃদরোগের সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়েবেটিস, হাই কোলেরেস্টেরলর মতো বিষয়গুলির যোগ রয়েছে। গবেষণায় এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হয়। এতে দেখা গিয়েছে যে, যারা ধূমপান করে, তাদের অকাল হৃদরোগের আশঙ্কা দ্বিগুণ হতে পারে। অন্যদিকে, সখে-সাধে মদ্যপানের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ বেশি।
8/8
কোকেন ব্যবহারকারীদের অকাল হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আড়াই গুণ বেশি। অ্যাম্ফেটেমাইন ব্যবহারের ক্ষেত্রে এর আশঙ্কা প্রায় তিন গুণ। সখে-সাধে যত বেশি এ ধরনের পদার্থ ব্যবহার করা হয়, তত বেশি অকাল হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে বলে গবেষণায় বলা হয়েছে।