Facts about Honey: মধু কি নিরামিষ নয়? কেন এত বিতর্ক?

Honey Vegetarian or Not: এক এক জনের এক এক মত। তত্ত্বও একাধিক। ছবি: ফ্রিপিক।

ছবি: ফ্রিপিক।

সকালে খালিপেটে গরম জলে লেবু-মধু মিশিয়ে পান করেন কেউ। কেউ আবার এমনই খান মধু। পুজোতেও মধুর প্রয়োজন পড়ে।

কিন্তু মধু কি আদৌ নিরামিষ? এই প্রশ্ন আজকের নয়। যে কারণে নিরামিষভোজী অনেকেই মধু এড়িয়ে চলেন।

মধুর আমদানি প্রকৃতি থেকেই। মৌমাছি মৌচাকে জমিয়ে রাখে। সেখান থেকে সংগ্রহ করেন মানুষ। এই প্রক্রিয়ার জেরেই মধুকে নিরামিষ বলে মানতে নারাজ অনেকে।

ফুল থেকে রস সংগ্রহ করে, নিজের লালার এনজাইমের সাহায্য়ে ফ্রুকটোজ এবং গ্লুকোজকে আলাদা করে মৌমাছি। এর পর দিনের পর দিম সেই পানীয়কে বাতাস করে তারা। এতে অতিরিক্ত জল উবে গিয়ে, ঘন ও আঠাল মধু পড়ে থাকে।

মৌচাক থেকে সেই ঘন তরলকেই মধু হিসেবে সংগ্রহ করেন মানুষজন। তার মধ্যে থেকে মোম এবং অন্যান্য কণা আলাদা করা হয়। মৌচাকের মধুকে ফুটিয়ে, প্যাস্চুরাইজ করে প্য়াথোজেন মুক্ত করা হয়। সেই মধুই দোকান থেকে কিনে আনি আমরা।

মৌমাছির শরীর থেকে যেহেতু বের করা হয় না, তাই মধুকে নিরামিষ বলেই ধরেন অনেকে। তাই নির্দ্বিধায় মধু ডায়েটে রাখেন তাঁরা।

অনেকে আবার মনে করেন, প্রয়োজনের তুলনায় অত্যধিক মধু উৎপাদন করে মৌমাছি। তাই ওই অতিরিক্ত মৌমাছি উৎপাদনের মধ্যে কোনও অন্যায় নেই।

মৌমাছিকে অনেকে পশু বলে মানতেও চান না। তাঁদের মতে, মৌমাছি, বোলতা আসলে পতঙ্গ। তারা পরাগ সঞ্চার না ঘটালে ফুলও ফুটবে না, ফলও ফলবে না। ফলে তাদের তৈরি মধু নিরামিষই।

কিন্তু সেই সব নিরামিষ ভোজী, যাঁরা নীতিবোধ নিয়ে কড়া, তাঁরা আবার মধুকে নিরামিষ বলে মানেন না। তাঁদের মতে, মধু মৌমাছির শরীর থেকে সংগ্রহ করা না হলেও, মৌমাছি পালনের প্রক্রিয়া নীতির পরিপন্থী।

এক্ষেত্রে যে যুক্তি দেওয়া হয়, তা হল, বাণিজ্যিক কারণে মৌমাছি পালন করা হয়। অর্থাৎ বাণিজ্যিক স্বার্থের জন্য মৌমাছিকে ব্যবহার করা হয়, যা পরোক্ষ ভাবে তাদের ক্ষতিসাধনেরই সমান।