Weather Update: জলমগ্ন রাস্তা দিয়ে চলছে বোট! মেঘভাঙা বৃষ্টি, ধসে বিধ্বস্ত উত্তর-পূর্ব ভারত

Heavy Rainfall: তুরা থেকে গুয়াহাটি পর্যন্ত সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যান চলাচল। রাস্তায় নেমে গিয়েছে নৌকা।

জলমগ্ন রাস্তা, দুর্ভোগ, চরম নাকাল সাধারণ মানুষ

প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি। তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। বিভিন্ন জায়গায় জমে রয়েছে জল।

সেই সঙ্গে হড়পা বান, অর্থাৎ ফ্ল্যাশ ফ্লাডও হয়েছে বেশ কিছু অঞ্চলে। অসম, মণিপুর, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়- সর্বত্র পরিস্থিতি প্রায় এক।

এই পরিস্থিতিতে উত্তর-পূর্বের ৬ রাজ্যে অন্তত ৩২ জনের ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন মহিলা এবং শিশুরাও। গত ২ দিন ধরে নাগাড়ে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি চলছে এই ৬ রাজ্যে।

মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ধসে ভেসে গিয়েছে অসম ও মেঘালয়ের সংযোগকারী ১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ।

তুরা থেকে গুয়াহাটি পর্যন্ত সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যান চলাচল। রাস্তায় নেমে গিয়েছে নৌকা।

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে গভীর নিম্নচাপ। তার জেরেই এই বৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। টানা বৃষ্টির জেরে বেশ কিছু জায়গায় ভূমিধস হয়েছে।

ধস নামার ফলে ভেঙে পড়েছে বাড়িঘর। নাগাড়ে বর্ষণ চলছে, তার ফলে জলে ডুবেছে একাধিক এলাকা।

অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব কামেং জেলায় ভারী বৃষ্টির জেরে জাতীয় সড়ক ১৩- র উপর ব্যাপক ধস নেমেছে। জাতীয় সড়ক ১৩- র উপর বানা-সেপ্পা এলাকা দিয়ে ৭ যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল একটি গাড়ি। ধস এবং প্রবল বৃষ্টির কারণে জাতীয় সড়ক থেকে সোজা গিয়ে পড়েছে পাশের খাদে।

এই ঘটনা অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব কামেং জেলায়। শুক্রবার রাতে জাতীয় সড়ক ১৩ দিয়ে বানা থেকে সেপ্পার দিকে যাচ্ছিল ওই গাড়িটি। তখনই বাড়ে বৃষ্টির তীব্রতা। রাস্তায় নামে ধস। আর ঘটে যায় দুর্ঘটনা। পরবর্তীতে উদ্ধারকারী দল ৭ জনের দেহ উদ্ধার করেছে।

অরুণাচল প্রদেশের এই বানা-সেপ্পা এলাকা এমনিই ধসপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে বর্ষার সময়ে, জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস, এই সময় প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে এলাকায় ব্যাপক ভূমিধস হতে দেখা যায় প্রায় প্রতি বছরই। এবছরও প্রকৃতি তার চরম রূপ ধারণ করতেই, আতঙ্ক নেমে এসেছে অরুণাচল প্রদেশের এই এলাকায়।