এক্সপ্লোর
Sand Walk: কেন বালিতে ঢুকে যায় পা, যে কারণে সমুদ্রসৈকতে হাঁটা কষ্টকর
Science News: বালির উপর দিয়ে হাঁটতে পছন্দ করি আমরা সবাই। সেই কারণেও বার বার ছুটে যাওয়া সমুদ্ররে কাছে। কিন্তু বালির উপর দিয়ে হাঁটা মোটেই সহজ নয়।
ছবি: পিক্সাবে।
1/10

উদীয়মান সূর্যকে সামনে রেখে হোক বা গোধূলিবেলায় সমুদ্রসৈকত ধরে হেঁটে যেতে কার না মন চায়! কিন্তু মনে মনে চাওয়া, আর বালির উপর পা ফেলে এগিয়ে যাওয়ার মধ্যে ফারাক রয়েছে। কারণ বালির উপর পা ফেলে এগিয়ে যাওয়া বড়ই কষ্টসাধ্য কাজ।
2/10

জমে থাকা বালির রাশি এমনিতেই বেশ নরম। তার উপর দিয়ে হাঁটতে গেলে গর্ত হয়ে ঢুকে যায় পা। সেই গর্ত থেকে টেনে তুলে পা ফেলে এগিয়ে যেতে তুলনামূলক ভাবে বেশি শক্তি লাগে।
3/10

শুধু কি তাই, পা ফেলামাত্র জমে থাকা বালুকারাশির আকারে বিকৃতি ঘটে। সমুদ্রসৈকত এমনিতেই অমসৃণ। তার উপর বালির টিলাও থাকে। ফলে পা ফেললে সাপোর্ট পাওয়া যায় না। তাই অনেক বেশি শক্তিক্ষয় হয়।
4/10

গবেষকরা জানিয়েছেন, বালির উপর হাঁটতে শুধু বেশি শক্তিক্ষয়ই হয় না, মানুষের চলনভঙ্গির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয় শরীরকে। গোড়ালি এবং পায়ের পাতার পেশিকেও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়।
5/10

একই কথা প্রযোজ্য পর্বতারোহণের ক্ষেত্রেও। সে ক্ষেত্রেও গাছের শিকড়, পাথর ডিঙিয়ে বা তার উপর দিয়ে হাঁটতে হয়। বিশ্রাম পায় না পা। অনেক বেশি শক্তিক্ষয় হয় এবং তাড়াতাড়ি হাঁফিয়ে উঠি আমরা।
6/10

সমতল জমি থেকে বালিতে নেমে মানুষের চলনভঙ্গিও পাল্টে যায়। বিলি, কাদা অথবা বরফের উপর দিয়ে হাঁটার সময় বড় বড় পা ফেলি আমরা। কোমর, হাঁটুও বেশি নড়াচড়া করে। তাতেই শক্তিক্ষয় হয় বেশি।
7/10

তবে বালির উপর দিয়ে হাঁটা এবং দৌড়নোর মধ্যে ফারাক রয়েছে। সমুদ্রসৈকতে হাঁটতে গেলে যে পরিমাণ শক্তিক্ষয় হয়, দৌড়লে তার চেয়ে কম শক্তিক্ষয় হয়। কারণ সে ক্ষেত্রে দ্রুত এগোতে যাকি আমরা। বালির উপর সে ভাবে চাপ দিই না। তবে সমতলে দৌড়নোর চেয়ে বালির উপর দিয়ে দৌড়নো কষ্টসাধ্যই।
8/10

এর সুরাহাও রয়েছে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, শুকনো বালির উপর দিয়ে হাঁটতে বেশি কষ্ট হয়। সমুদ্রের ঢেউ আছড়ে পড়ে যে অংশে, সেই ভিজে বালির উপর দিয়ে হাঁটা সহজ। কারণ ভিজে বালি বসে যায় অনেকটা, ফাঁপা থাকে না। ফলে সমতলের মতোই বোধ হয়।
9/10

বালি ভিজে না থাকলে আরও একটি উপায় রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বড় সাইজের জুতো পরতে পারেন। এতে অনেকটা জায়গা জুড়ে পা পরবে। তাতে সাপোর্টও পাওয়া যাবে বেশি। খেলোয়াড়দের অনেকেই বালির উপর শরীরচর্চা করতে পছন্দ করেন। তবে ঝুঁকিও রয়েছে। পড়ে গিয়ে চোট পাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
10/10

তাই এ বার থেকে সমুদ্রসৈকতে হেঁটে বেড়ানোর ইচ্ছে জাগলে, বিষয়টি ভেবে দেখেতে পারেন। মন হালকা হওয়ার পাশাপাশি শারীরিক কসরতও হয়ে যাবে।
Published at : 14 Mar 2023 08:03 PM (IST)
আরও দেখুন
সেরা শিরোনাম
জ্যোতিষ
জ্যোতিষ
খবর
ব্যবসা-বাণিজ্যের






















