ভারতের ইতিহাস বলছে দেহব্যবসাটা এখানকার অন্যতম প্রাচীনতম পেশা এবং বহু জায়গায় এটাকে ঐতিহ্য হিসেবেও দেখা হয়। অতীতে দেহব্যবসাকে অনেক ক্ষেত্রে মর্যাদার সঙ্গে দেখা হত। কিন্তু ইদানিং দেহব্যবসার সঙ্গে জড়িত সকলের অবস্থা খুবই খারাপ। দেহব্যবসা ভারতে আইনবিরুদ্ধ হলেও, বহু জায়গায় এখনও অনেক পরিবার আছে যাঁদের দিনযাপন হয় এই জীবিকার ওপর নির্ভর করে। এমন কয়েকটি জায়গার হাল হদিশ জানব আমরা এখানে
2/8
গুজরাতের ওয়াদিয়া, প্রাচীন কাল থেকে এখানে জীবিকা হিসেবে দেখা হয় দেহব্যবসাকে। এখানে পরিবারের পুরুষরাই মহিলাদের জন্যে খদ্দের নিয়ে আসে। এমনকি শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে বা গণবিবাহ দিয়েও এই প্রথা বন্ধ করা যায়নি। আইনসিদ্ধ নয় কিন্তু গুজরাতের ওই এলাকায় এই ব্যবসা রমরম করেই চলছে।
3/8
মুম্বইয়ের এই জায়গাটি তার আসল নামে নয়, ‘রেড স্ট্রিট অফ বম্বে’ নামেই বেশি পরিচিত। এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম যৌনপল্লী হিসেবে পরিচিত এই এলাকা। তবে একসঙ্গে এই জায়গাকেই বলা হয় সমস্ত বেআইনি, অবৈধ কাজের আখড়া।
4/8
প্রাচীন কাল থেকে বারাণসীর খ্যাতি দুটি বিষয়ে। এক যৌনপল্লী এবং সেখানকার নর্তকীদের নজরকাড়া নাচ। সেখানে এটা ‘তওয়াইফ’ প্রথা হিসেবেই প্রচলিত ও জনপ্রিয়। বহু ছবিতে এই জগতের অন্ধকার দিকটা তুলে ধরা হয়েছে, কিন্তু সবশেষে এখনও এই প্রথা বারাণসীতে রমরমিয়ে চলছে। বারাণসী রেল ষ্টেশন থেকে ১০ কিমি দূরে অবস্থিত উত্তরপ্রদেশের এই রেড লাইট এলাকা।
5/8
রাজধানী দিল্লির গার্স্টিন ব্যাসটিওন রোড, বহু পুরনো বহুতল রয়েছে এখানে। সরু গলির এপার-ওপারে দাঁড়িয়ে রয়েছে বাড়িগুলো। নীচে সাধারণ দোকান, ওপরতলা গুলোতে চলছে দেহব্যবসা। শোনা যায় সারা দেশ থেকে যত নাবালিকা, কিশোরী, তরুণী তুলে আনা হয়, তাঁদের বিক্রি করা হয় এখানে।
6/8
সোনাগাছি, কলকাতার এই যৌনপল্লী এশিয়ার বৃহত্তম যৌনপল্লী হিসেবে পরিচিত। এমনকি এই সোনাগাছি থেকেই মাত্র তিরিশ মিনিটের রাস্তা প্রেমচাঁদ বড়াল লেন বা হাড়কাটা গলিতে এখনও বাঈজি প্রথা চালু আছে। তবে এই জায়গার শুধু দেহব্যবসার জন্যে নয়, দুর্নীতির আখড়া হিসেবেও কুখ্যাতি আছে।
7/8
দেবদাসী, এই প্রথা এখনও কর্ণাটকের খুব ছোট অংশে প্রচলিত আছে। এই প্রথা অনুসারে একজন নারী তাঁর বাকি জীবনটা মন্দির ও দেবতার জন্যে উত্সর্গ করে দেন। নারীর সতীত্বকে নিলামে চাপানো হয় এই প্রথা অনুসারে। তারপর যে সেই মহিলাকে কিনে নেয়, সারাজীবন সেই ব্যক্তির দেবদাসী হিসেবে কাটাতে হয় ওই মহিলাকে।
8/8
উত্তরপ্রদেশের এই ছোট গ্রাম নাট পুরওয়াতে গত চারশো বছর ধরে দেহব্যবসা জীবিকা হিসেবে চলছে। রাজ্যের রাজধানী লখনউ থেকে আড়াই ঘণ্টার রাস্তা, এখানে সমস্ত শিশুরা তাদের মায়ের সঙ্গেই থাকে। তারা জানে না তাদের বাবার পরিচয়। ইদানিংকালে এলাকায় দু-একটা স্কুল চালু হলেও, দেহব্যবসা একইরকম ভাবে চলছে।