Amogh Lila Das BANNED : রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দের ভাবাদর্শের বিরুদ্ধ মন্তব্য ! বিতর্কে ইসকনের সন্ন্যাসী! কে এই অমোঘ লীলা?
ISKCON Monk Amogh Lila Das : ইঞ্জিনিয়ার থেকে সাধক হয়ে ওঠা অমোঘ লীলা দাস কে?
কলকাতা : সম্প্রতি স্বামী বিবেকানন্দ ও শ্রী রামকৃষ্ণর সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করে বিতর্কের শীর্ষে ইসকনের সন্ন্যাসী অমোঘ লীলা দাস (ISKCON Monk Amogh Lila Das)। জনগণকে হিন্দু ধর্মের মাহাত্ম্য প্রচারে ইসকনের (ISKCON) ভূমিকা বোঝাতে গিয়ে তিনি সরাসরি রামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দের ভাবধারা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। রামকৃষ্ণের ‘যত মত তত পথ’ বাণীর সমালোচনা করেন এই ব্যক্তি। তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ইসকন অফিসিয়াল বার্তা দিয়ে অমোঘ লীলাকে এক মাসের জন্য নিভৃতবাসে পাঠানোর কথা ঘোষণা করে।
অমোঘ লীলার কথায় যে রাস্তা দিয়ে ইচ্ছে যাওয়ার বেরিয়ে পড়ো, গন্তব্য একই হবে, এটা কখনই হয় না। যত মত তত পথ’-এর এই সমালোচনা মেনে নিতে পারেনি রামকৃষ্ণ অনুগামীরা । অমোঘ লীলার এই বক্তব্য নিয়ে ইসকন দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমাপ্রার্থনা করলেও, এই ব্যক্তিকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুসন্ধান বেড়েছে।
কে এই অমোঘ লীলা ?
জানা যাচ্ছে, অমোঘ লীলার জন্ম লখনউয়ের একটি ধর্মীয় পরিবারে। অনেক সাক্ষাত্কারে, তিনি বলেছেন যে তিনি অল্প বয়সে তাঁর আধ্যাত্মিক যাত্রা শুরু করেছিলেন। ২০০০ সালে যখন তিনি দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়েন, তখন তিনি ঈশ্বরের সন্ধানে বাড়ি ছেড়েছিলেন। তারপর তিনি আবার গৃহ জীবনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। সেইসঙ্গে সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। ২০০৪ সালে, তিনি স্নাতক হন। তারপরে তিনি আমেরিকার একটি বহুজাতিক সংস্থায় কাজ শুরু করেন।২০১০ সালে কর্পোরেট দুনিয়া ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তিনি প্রজেক্ট ম্যানেজারের পদে কাজ করছিলেন । ২৯ বছর বয়সে, তিনি ইসকনে যোগ দেন এবং কৃষ্ণ ব্রহ্মচারী হন। ইঞ্জিনিয়ার থেকে সাধক হয়ে ওঠা অমোঘ দাস লীলাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক লোক অনুসরণ করে।
রামকৃষ্ণ , বিবেকানন্দকে নিয়ে তিনি ঠিক কী বলেছেন ?
সম্প্রতি তাঁর একটি বক্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। রামকৃষ্ণের ‘যত মত তত পথ’ বাণীকে উদ্ধৃত করে এমন ব্যাখ্যা দিয়েছেন, যা নিয়ে বেজায় চটেছেন রামকৃষ্ণ ভক্তরা। শ্রীরামকৃষ্ণ যেভাবে মানুষকে ঈশ্বরলাভের বহু পথ সম্পর্কে জ্ঞাত করার চেষ্টা করেছিলেন, তারই সমালোচনা করেন এই ব্যক্তি।
স্বামী বিবেকানন্দকেও নিশানা করেন তিনি। বলেন, স্বামী বিবেকানন্দ যদি মাছ খান, তাহলে তিনি কিকরে একজন সিদ্ধপুরুষ? কারণ কোনও সিদ্ধপুরুষ কখনও মাছ খাবেন না, কারণ মাছও ব্যথা অনুভব করে। একজন সিদ্ধপুরুষের অন্তরে মমতা থাকে। শুধু তাই নয়, অমোঘ দাস লীলা এমনও বলেন যে স্বামী বিবেকানন্দের কিছু মতামত গ্রহণযোগ্য নয়।