Kali Puja 2024: 'হোমের এই কলাটা আপনার বউমাকে দিন, ৪ মাস পর এসে বলেন...', নৈহাটির বড় মায়ের মাহাত্ম্য গায়ে কাঁটা দেবে !
Naihai Boro Ma Kali : একাধিক ঘটনা আমাদের শুনিয়েছিলেন পুজো কমিটির সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য। সেরকমই ঘটনা তুলে ধরা হল এই প্রতিবেদনে।
নৈহাটি : শুনলে গায়ে কাঁটা দিতে পারে ! এমন একের পর এক ঘটনা রয়েছে । মায়ের কাছে এসে মনোস্কামনা পূরণ হয়েছে ভক্তদের। তাই তো দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন ভক্তরা। নৈহাটির বড় মায়ের কাছে। মায়ের কাছে জানিয়েছেন নিজের মনের ইচ্ছা। বড় মা তাঁদের মনোবাঞ্চা পূরণও করেছেন। সেরকমই একাধিক ঘটনা গতবার আমাদের শুনিয়েছিলেন পুজো কমিটির সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য। সেরকমই ঘটনা তুলে ধরা হল এই প্রতিবেদনে।
ঘটনা ১-
তাপসবাবু জানান, সুরজিৎ ঘোষ বলে একটি ছেলে ও তাঁর মা এসে আমার কাছে কান্নাকাটি করছেন। যে, ছেলের ৭-৮ বছর হয়ে গেছে, কোনও বাচ্চা হয়নি। বড় মায়ের হোমের কলা খুব এফেক্টিভ। আমি বললাম দেখুন, আমি তো বলতে পারব না কী হবে। কিন্তু, এটুকু বলতে পারি, এই কলাটা আপনার বউমাকে দিন। খাক উনি। কিছু হতে পারে। বিশ্বাস করবেন না, চার মাস পর এসে বলছেন উনি অন্তঃসত্ত্বা। বাচ্চাও হল।
ঘটনা ২-
"২০১৮ সালে কালীপুজোর (Kali Puja) সময় মায়ের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। দেখলাম, দুই জন ভদ্র মহিলা এসে হাউহাউ করে কাঁদছেন। আমি বললাম, কী হল এত কাঁদছেন ? মা-কে দর্শন করুন। মায়ের কাছে চান। একজন বললেন, আমার একটা চাকরি আটকে আছে। মেট্রো রেলের চাকরি। আমি বললাম, মায়ের কাছে চান। পরের বছর আমি এই জায়গায় এখানে দাঁড়িয়ে থাকব। আপনি আমার সঙ্গে দেখা করবেন এবং চাকরি নিয়ে। আমি বলেছি এবং সেটা সত্যিও হয়েছে। সেই ভদ্র মহিলা পরের বছর এসে জানান, তাঁর চাকরি হয়ে গেছে।"
কীভাবে শুরু নৈহাটির বড় মায়ের পুজো ?
তাপসবাবুর কথায়, "এ পুজো শুরু করেছিলেন ভবেশ চক্রবর্তী। মন্দিরের পাশেই তাঁর বাড়ি। উনি এবং ওঁর বন্ধুরা নবদ্বীপ ঘুরতে গিয়েছিলেন। তিন-চার জন বন্ধু মিলে। নবদ্বীপে রাসপুজোয় অনেক বড় বড় মূর্তি হয়। সেইসব মূর্তি টেনে টেনে ভাসান দেওয়া হয়। উনি সেখানে গিয়ে এসব দেখেন। এরপর নৈহাটি ফিরলে, ওঁকে স্বপ্নে দেখা দেন মা। যে, আমাদের বাড়ির পুজোটা বড় করা যেতে পারে। সেটা বড় করা গেলে নৈহাটির বুকে একটা বড় উচ্চতার পুজো হবে। তখন ওঁর মনে হয়, এর উচ্চতা হবে ২২ ফুট এবং ১৪ হাত। তখন থেকেই এই পুজোর শুরু। ঠিক লক্ষ্মীপুজোর দিন, একটা কাঠামোর ওপরে, চাকা দেওয়া একটা ট্রলি তৈরি করেন। সেই ট্রলিতে মা-কে দাঁড় করানো হয়। সেরকম লক্ষ্মীপুজোর দিন কাঠামোর পুজো হয় এখানে। সেদিন থেকেই বাঁশ পড়ে যায় এবং মা-কে তৈরি করা হয়। ২০১২ সালে ওঁর ছেলের হাত থেকে আমাদের হাতে দায়িত্ব আসে। ২০১২ সালের পর থেকে নৈহাটির মানুষ আর বড় কালী বলেননি, বড় মা বলতে শুরু করেন।"