Rahul Gandhi: কয়েক দশকের পরিশ্রমের ফল, সাফল্যের কৃতিত্ব বিজ্ঞানীদের, ISRO-কে অভিনন্দন রাহুলের
Chandrayaan 3 Landing: অভাবনীয় সাফল্যের জন্য ISRO-কে অভিনন্দন জানালেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী।
নয়াদিল্লি: অসম্ভবক সম্ভব করে দেখানোই শুধু নয়, মহাকাশ গবেষণায় ইতিহাস গড়ল ভারত। চাঁদের মাটিতে অবতরণ করল ভারতের চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযান। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, সন্ধে ৬টা বেজে ৪ মিনিটে চাঁদের মাটি ছোঁয় ল্যান্ডার 'বিক্রম'। (Chandrayaan 3 Landing) স্বপ্নপূরণের ওই মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে অভিভূত গোটা দেশ। অভাবনীয় এই সাফল্যের জন্য ISRO-কে অভিনন্দন জানালেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। (Rahul Gandhi)
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বুধবার সন্ধেয় চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে চন্দ্রযান-৩। করতালি, অভিনন্দনে ছেয়ে যায় চারিদিক। সেই সময়ই ট্যুইটারে (অধুনা X) ISRO-কে অভিনন্দন জানান রাহুল। তিনি লেখেন, 'আজ এই উচ্চতায় পৌঁছনোর জন্য যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে ISRO, তার জন্য গোটা টিমকে অভিনন্দন। পালকের মতো চাঁদের দুর্গম দক্ষিণ মেরু যে ছুঁতে পারল চন্দ্রযান-৩, তা দশকের পর দশক ধরে আপনাদের বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং উদ্ভাবনী শক্তির জন্যই সম্ভব হয়েছে। ১৯৬২ সাল থেকে ভারতের মহাকাশ গবেষণায় লাগাতার নতুন উচ্চতা ছুঁয়ে চলেছে ISRO এবং প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে'।
Congratulations to Team ISRO for today's pioneering feat.#Chandrayaan3’s soft landing on the uncharted lunar South Pole is the result of decades of tremendous ingenuity and hard work by our scientific community.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) August 23, 2023
Since 1962, India’s space program has continued to scale new…
চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের ল্য়ান্ডার 'বিক্রম' কখন চাঁদের মাটিতে নামবে, গত কয়েক দিন ধরেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল গোটা দেশ। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, বিকেল ৫টা বেজে ৪৫ মিনিটে অধোগমনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। আগে থেকে ঠিক করে রাখা সময়ে, সন্ধে ৬টা বেজে ৪ মিনিটে শেষ মেশ চাঁদের মাটিতে পদার্পণ করে ল্যান্ডার 'বিক্রম'। (Chandrayaan 3 Touches Moon)
চাঁদের মাটি ছোঁয়ার পর, পৃথিবীতে বার্তাও পাঠিয়েছে ল্যান্ডার 'বিক্রম'। ল্যান্ডার 'বিক্রম'কে উদ্ধৃত করে ISRO-র তরফে লেখা হয়, 'ভারত, গন্তব্যে পৌঁছে গিয়েছি আমি। লক্ষ্যপূরণ হল তোমারও'। ভারতবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছে ISRO-ও। (Lander Vikram)
২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ অভিযানে ঠিক শেষ মুহূর্তে বিপত্তি বাধে। পালকের মতো চাঁদের মাটি ছোঁয়ার পরিবর্তে, আছড়ে ভেঙে পড়ে চাঁদের বুকে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই, এবার ধীরস্থির গতিতে গোটা অভিযান এগিয়ে আনা হয়। ল্যান্ডার 'বিক্রম'ও আগের চেয়ে ঢের বেশি শক্তপোক্ত এবং মজবুত। শুধু তাই নয়, সেন্সরেও পরিবর্তন ঘটানো হয়েছিল। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর বন্ধুর, খানাখন্দে ভরা মাটি আদৌ অবতরণের উপযুক্ত কিনা, তা মাটি ছুঁয়েই টের পেয়ে যায় সেন্সর। উন্নত ক্যামেরার সাহায্যে বেছে নেয় অবতরণের উপযুক্ত ক্ষেত্র। সেই মতোই পালকের মতো মাটি ছোঁয়।