Statio Shiva Shakti: চন্দ্রপৃষ্ঠে শিবশক্তি পয়েন্টের নামে সিলমোহর, এবার স্বীকৃতি দিল আন্তর্জাতিক মহল
Chandrayaan-3: IAU-র সদর দফতর প্যারিসে। ১৯ মার্চ চন্দ্রপৃষ্ঠের ওই বিশেষ জায়গাটির নাম 'Statio Shiva Shakti' করায় সিলমোহর দিয়েছে তারা।
নয়াদিল্লি: ভারতের তরফে সরকারি ভাবে ঘোষণা হয়েছিল আগেই। এবার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও মিলল। চাঁদের বুকে যে জায়গায় অবতরণ করেছিল ভারতের 'চন্দ্রযান-২', সেটির 'শিবশক্তি' নামকরণকে স্বীকৃতি দিল International Astronomical Union (IAU). পালকের মতো ভারত চাঁদের মাটি ছোঁয়ার প্রায় সাত মাস পর এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলল। চাঁদের মাটিতে যে জায়গাটিকে প্রথম বার স্পর্শ করেছিল ভারতের 'চন্দ্রযান-৩', সেটির আনুষ্ঠানিক নাম হল 'Statio Shiva Shakti'. (Statio Shiva Shakti)
'চন্দ্রযান-৩' যেখানে চাঁদের মাটি ছুঁয়েছিল, সেই জায়গার নাম হল Statio Shiva Shakti
IAU-র সদর দফতর প্যারিসে। ১৯ মার্চ চন্দ্রপৃষ্ঠের ওই বিশেষ জায়গাটির নাম 'Statio Shiva Shakti' করায় সিলমোহর দিয়েছে তারা। Gazetteer of Planetary Nomenclature এই তথ্য প্রকাশ করেছে। IAU-র তরফে মহাজগতের বিভিন্ন জায়গার নামকরণ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য় এই Gazetteer of Planetary Nomenclature সংগঠনই প্রকাশ করে। (Chandrayaan-3)
Gazetteer of Planetary Nomenclature জানিয়েছে, যৌগিক শব্দটি ভারতীয় পুরাণ থেকে এসেছে, শিব কথাটি ব্যবহার করা হয়েছে পৌরুষ বোঝাতে। এর সঙ্গে নারীশক্তিকে বোঝাতে শক্তি শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা প্রকৃতির দ্বৈত চরিত্রকে তুলে ধরে। 'চন্দ্রযান-৩' মহাকাশযানের ল্যান্ডার 'বিক্রম' যেখানে অবতরণ করেছিল, ওই জায়গাটির নাম সেই অনুযায়ীই 'শিবশক্তি' রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Worm Moon Eclipse: আকাশের সঙ্গে মাটির যোগ! দোল পূর্ণিমার চন্দ্রগ্রহণে বিজ্ঞান ও লোককথার সংযোগ
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) ২০২৩ সালের ১৪ জুলাই 'চন্দ্রযান-৩' মহাকাশযানের সফল উৎক্ষেপণ করে। এর পর ২৩ অগাস্ট পালকের মতো চাঁদের মাটি ছোঁয় সেটি। যেখানে চাঁদের মাটি ছোঁয় 'চন্দ্রযান-৩', ওই জায়গায় নাম 'শিবশক্তি পয়েন্ট' বলে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর পর ২৬ অগাস্ট বেঙ্গালুরুতে ISRO-র Telemetry Tracking and Command Network Mission Control Complex-এ গিয়ে ২৩ অগাস্ট দিনটিকে 'National Space Day' অর্থাৎ জাতীয় মহাকাশ দিবস ঘোষণা করেন তিনি।
ভারতের 'চন্দ্রযান-৩'ই প্রথম বার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে
শুধু তাই নয়, চাঁদের মাটিতে এর আগে 'চন্দ্রযান-২' যেখানে অবতরণ করেছিল, সেই জায়গাটির নামকরণ করা হয় 'তেরঙ্গা'। চন্দ্রাভিযানে ভারতের প্রতিটি পদক্ষেপকে স্মরণীয় করে রাখতেই এমন নামকরণ। ব্যর্থতা যে চূড়ান্ত নয়, চেষ্টার কোনও বিকল্প নেই, ওই নামকরণই উৎসাহ জোগাবে বলে জানান মোদি। ভারতের 'চন্দ্রযান-৩'ই প্রথম বার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে। পালকের মতো চাঁদের মাটি ছোঁয়া চতুর্থ দেশ ভারত, আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনের পরই।