Chandrayaan-3: ল্যান্ডারের সঙ্গে বিচ্ছেদ সম্পন্ন, এবার কীভাবে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে 'সঙ্গীহীন' প্রোপালশন মডিউল
Chandrayaan-3, Lander Vikram: কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এই প্রোপালশন মডিউল? ল্যান্ডারের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরও কীভাবে কাজ করবে এটি? এই প্রশ্ন অনেকেরই
নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবার আরেক সাফল্যর আস্বাদ পেল ইসরো (ISRO)। নির্দেশিত প্রোগ্রামিং মতোই বৃহস্পতিবার চন্দ্রযানের (Chandrayaan-3) প্রোপালশন মডিউল (Propulsion Module) থেকে নিজেকে বিছিন্ন করে নিয়েছে ল্যান্ডার বিক্রম (Vikram Lander)। এরপর চাঁদের (Moon) কক্ষপথের আরও নিচের দিকে নামবে সে। এই পুরো পথটাই তাকে একাই যাত্রা করতে হবে। অন্যদিকে, প্রোপালশন মডিউলকেও একা একাই ঘুরতে হবে চাঁদের কক্ষপথে। তবে 'ফিজিক্যালি' আলাদা হলেও, প্রোপালশন মডিউলের সঙ্গে তার যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে।
এই চন্দ্রাভিযানে প্রোপালশন মডিউলের ভূমিকা কতটা?
কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এই প্রোপালশন মডিউল? ল্যান্ডারের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরও কীভাবে কাজ করবে এটি? এই প্রশ্ন অনেকেরই। ইসরোর তরফে জানান হয়েছে, যখন ল্যান্ডার বিক্রম চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে, সেই সময় থেকেই মডিউওলের কাজ বেড়ে যাবে। আপাতত এটি চাঁদের কক্ষপথেই ঘুরবে। তবে এরপর থেকে প্রোপালশন মডিউল কাজ করবে 'রিলে স্যাটেলাইট' হিসেবে।
ল্যান্ডার বিক্রমে মোট ৭টি পে-লোড রয়েছে। চন্দ্রযান-৩ অভিযানে প্রতিটি পে-লোডের ভূমিকা অপরিসীম। এই প্রতিটি পে-লোড প্রথমে সিগন্যাল পাঠাবে রিলে স্যাটেলাইটে। এই রিলে স্যাটেলাইট সেই সিগন্যালগুলিকে ডিকোড করবে তারপর সেগুলি পাঠাবে ইসরোর কন্ট্রোল রুমের কাছে। আরও সরলীকরণ করে বললে, এই প্রোপালশন মডিউল বর্তমানে 'সেতু'র কাজ করবে ল্যান্ডার এবং ইসরোর যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে।
তাই ল্যান্ডারের থেকে বিছিন্নকরণের পরও এর কাজের গুরুত্ব এবঙ্গ পরিধি বাড়বে অনেকটাই।
ইসরোর এক বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, ল্যান্ডার এবং প্রোপালশন মডিউলকে এমনভাবেই তৈরি করা হয়েছে যাতে এটি ইসরো এবং চাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে ওঠে। চাঁদের মাটিতে একাই নামবে ল্যান্ডার। দক্ষিণ মেরুতেই ২৩ তারিখ অবতরণ করার কথা রয়েছে। যেখান থেকে ল্যান্ডারকে ছেড়ে দিয়েছে প্রোপালশন মডিউল, সেখান থেকেই চাঁদের কক্ষপথে ঘুরতে শুরু করবে এই মডিউল।
আরও পড়ুন, চন্দ্রযানের প্রোপালশন মডিউল থেকে আলাদা হল ল্যান্ডার, অপেক্ষা চন্দ্রপৃষ্ঠ ছুঁয়ে দেখার
এবারের ল্যান্ডারেও বেশ কিছু ডিজাইন পরিবর্তন করা হয়েছে। যেমন এই ল্যান্ডারে একটির বদলে চারটি থ্রাস্টার রাখা হয়েছে। যাতে অবতরণের ধকল সইয়ে নিয়ে পালকের মতো মাটি ছুঁতে পারে বিক্রম।
চন্দ্রযান-৩ এ আছে একাধিক ইলেকট্রনিক এবং যান্ত্রিক সাবসিস্টেম। চন্দ্রযান--২ এর ল্যান্ডিং সমস্যা থেকে শিক্ষা নিয়েই নেভিগেশন সেন্সর, প্রপালশন সিস্টেম, নির্দেশকেন্দ্র এবং নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রকে আরও উন্নত প্রযুক্তিতে সাজানো হয়েছে। ল্যান্ডার বিক্রমের পাশাপাশি রোভারকেও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে ডিজাইন করা হয়েছে।