Science News:কী ভাবে বদলাচ্ছে আমাদের গ্রহের ভূ-প্রকৃতি? নজর রাখবে ইসরো-নাসার যৌথ উদ্যোগে তৈরি উপগ্রহ
NASA And India's Debut Climate Satellite: কী ভাবে বদলে যাচ্ছে আমাদের এই গ্রহের ভূ-প্রকৃতি? বুঝতে হলে নিয়মিত নজরদারি জরুরি। সেই জন্য হাতে হাত মিলিয়ে উপগ্রহ তৈরি করছে ইসরো ও নাসা।
কলকাতা: কী ভাবে বদলে যাচ্ছে আমাদের এই গ্রহের ভূ-প্রকৃতি (Geological Feature Of Earth)? বুঝতে হলে নিয়মিত নজরদারি জরুরি। সেই জন্য হাতে হাত মিলিয়ে উপগ্রহ তৈরি করছে ইসরো ও নাসা। নাম NASA-ISRO Synthetic Aperture Radar Satellite বা 'নিসার' (NISAR Satellite) উপগ্রহ। আগামী বছর তার উৎক্ষেপণের কথা। সব হিসেব মতো চললে, ২০২৪ সালে উৎক্ষেপণের (NISAR Satellite To Be Launched In 2024) পর থেকে লাগাতার ভূপৃষ্ঠে নজর রাখবে 'নিসার'।
কী করবে 'নিসার'?
প্রত্যেক ১২ দিনে উপগ্রহটি ভূ-পৃষ্ঠ ও পৃথিবীর বরফে ঢাকা এলাকাগুলির উপর নজরদারি চালাবে। 'নিসার'-এ দুটি আলাদা ধরনের Synthetic aperture radar থাকছে। দুটি আলাদা ওয়েভলেংথে পৃথিবীর উপর নজর রাখবে। এর মধ্যে একটি, L-band SAR তৈরি করছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। অন্যটি, S-band SAR নির্মাণের দায়িত্ব রয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় নাসার জেট প্রোপালশান ল্যাবরেটরিতে 'নিসার'-র প্রোজেক্ট সায়েন্টিস্ট পল রোজেন হালেই বলেন, 'উপগ্রহটিতে যে রেডার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, তা আমাদের গ্রহের সুদূরপ্রসী পরিবর্তন বুঝতে সাহায্য করবে। পৃথিবীর মাটি ও বরফস্তর কী ভাবে বদলাচ্ছে, তার বাস্তবিক ছবি তুলে ধরবে এটি।'
খুঁটিনাটি...
নাসা এই উপগ্রহ নিয়ে হালে যে বিবৃতি পেশ করেছে, সেটি অনুযায়ী পৃথিবীর বনভূমি ও জলাভূমির উপর নজর রাখবে 'নিসার'। জলবায়ু বিজ্ঞানীরাও এই দুটি বাস্তুতন্ত্রর প্রভাব সবিশেষ জানতে চান। জলবায়ু বিজ্ঞানীদের মতে, 'কার্বন সিঙ্ক' হিসেবে এই দুই বাস্তুতন্ত্রের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই এইগুলির দিকে নজর রাখার উপর বিশেষভাবে জোর দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তবে যে ভাবে কৃষিকাজের জন্য বনভূমি নষ্ট করা হচ্ছে বা নগরায়নের চাপে কমে আসছে জলাভূমি, তাতে আখেরে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন। বিজ্ঞানীদের মতে, বিশ্বের মোট কার্বন নির্গমনের ১১ শতাংশের নেপথ্য়েই রয়েছে এই ভূ-প্রকৃতিগত পরিবর্তন। ইসরোর 'নিসার' টিমের সহকারী প্রধান তথা ইকোসিস্টেম সায়েন্টিস্ট অনুপ দাসের মতে, 'নিসার আমাদের এই পরিস্থিতি বুঝে উঠতে সাহায্য় করবে।' এখনও পর্যন্ত যা স্থির রয়েছে, তাতে ইসরোর সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ হবে এই উপগ্রহের। অভিযান সফল হলে, ইসরোর মুকুটে আরও একটি পালক জুড়বে। এমনিতেই চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ইতিহাস রচনা করেছে ভারত। সূর্যের উপর নজরদারি চালাতেও রওনা দিয়েছে সৌরযান। পড়শি গ্রহ শুক্রের চক্কর কাটার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO। তার মধ্যে, কদিন আগে কলকাতায় এসে বড় ঘোষণা করেন ISRO প্রধান এস সোমনাথ। জানান, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে এক ভারতীয় নভোচারীকে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমেরিকার মহাকাশযানে চেপে এই কার্য সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন:বালির মধ্যে বিশালাকার পায়ের ছাপ! নয়া ডাইনোসরের খোঁজ?