(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Earth Hour 2024: ঘর অন্ধকার করে আলোর খোঁজ, শনিবার Earth Hour পালন করবে গোটা বিশ্ব
Earth Science News: World Wildlife Fund (WWF)-ই প্রথম Earth Hour পালনে উদ্যোগী হয়।
কলকাতা: জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে লাগাতার বিপদসঙ্কেত দিয়ে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। ঘন ঘন প্রাকৃতিক বিপর্যয়, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা, সবকিছুর নেপথ্যেই জলবায়ু পরিবর্তন রয়েছে বলে দাবি তাঁর। তবে অহরহ বিপদবাণী শোনা গেলেও, খুব একটা পরিবর্তন ঘটেছে বা ব্যাপক সচেতনতা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন না পরিবেশবিদরা। তবুও চেষ্টায় কোনও খামতি নেই। সেই চেষ্টা থেকেই প্রতি বছর পালিত হয় ‘Earth Hour’। এবছর ২৩ মার্চ রাত ৮.৩০টা থেকে ৯.৩০টা পর্যন্ত পালিত হবে Earth Hour 2024. (Science News)
World Wildlife Fund (WWF)-ই প্রথম Earth Hour পালনে উদ্যোগী হয়। এর আওতায়, প্রতিবছর এক ঘণ্টার জন্য আলো নিভিয়ে, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ-সহ বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের ব্যবহার বন্ধ রাখতে আহ্বান জানানো হয় বিশ্ববাসীকে। এবার ১৮তম Earth Hour পালন করবে পৃথিবীর ১৯০টি দেশ এবং অঞ্চল। বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ রেখে কিছু ক্ষণের জন্য হলেও পৃথিবীর সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করা হয় বছরের একটি দিন, কয়েক ঘণ্টার জন্য। (Earth Science News)
সাধারণত, প্রতি বছর মার্চ মাসের শেষ শনিবার Earth Hour পালিত হয়। এ বছর এক সপ্তাহ আগে, ২৩ মার্চ দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। গত বছর এই নিয়ে বাড়তি উৎসাহ চোখে পড়ে ভারতেও। ২০২৩ সালের ২৫ মার্চ ১৫০টির বেশি গুরুত্বপূর্ণ স্থান, সৌধ এবং সরকারি ভবনের আলো নিভিয়ে রাখা হয় এক ঘণ্টার জন্য। WWF-এর তরফে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ওই দিন ১৩টিরও বেশি সাইক্লোথনের আয়োজন করা হয়, গাড়ি-বাইক ছেড়ে সাইকেল চালানোয় যোগ দেন ২০০০-এর বেশি মানুষ।
২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়াতেই প্রথম Earth Hour পালিত হয়। আলো নিভিয়ে সেই প্রথম পৃথিবীর সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়। কালক্রমে এই রীতি ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর সর্বত্র। ২০০৮ সালের ২৯ মার্চই কাতারে কাতারে মানুষ যুক্ত হন এই প্রচেষ্টায়। দ্বিতীয় বছরেই লক্ষ লক্ষ মানুষ এক ঘণ্টার জন্য আলো নিভিয়ে পৃথিবীর মঙ্গল কামনা করেন।
কিন্তু বছরে মাত্র এক ঘণ্টা আলো নিভিয়ে রাখলেই কি গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন রোধ করা সম্ভব? জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারে রাশ টানা যাবে? এই প্রশ্নও উঠে আসে অহরহ। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই এক ঘণ্টাই বড় পরিবর্তন ডেকে আনতে পারে। এতে আত্মসমীক্ষার অবকাশ তৈরি হয়, নিজেদের আচরণে পৃথিবীর কী ক্ষতি করছি আমরা, তা নিয়ে আলাদা করে ভাবনাচিন্তার সময় মেলে। সার্বিক ভাবে পৃথিবীর কল্যাণে কী কী পদক্ষেপ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনার সুযোগ মেলে। পরিবেশবিদদের মতে, মাত্র এক ঘণ্টা হলেও, পরিবেশের প্রতি ব্যক্তিবিশেষের দায়বদ্ধতা প্রতিফলিত হয় ওই টুকু সময়েই। আর এই এক থেকেই অনেকের সমাবেশ ঘটে।