Shubhanshu Shukla: ৬ বছর খাননি বাড়ির খাবার, ছিল আলাদা ক্যান্টিন! সহজ ছিল না শুভাংশুর মহাকাশে যাওয়ার প্রস্তুতি
Shubhanshu Shukla Update: ১৪ দিনের এই অভিযানের জন্য দীর্ঘ প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে চার নভশ্চরকে

কলকাতা: ১৯৮৪-র পর ২০২৫। রাকেশ শর্মার পর শুভাংশু শুক্লা। ৪১ বছর পর মহাকাশে পাড়ি দিলেন দ্বিতীয় ভারতীয়। আসুন ভারতের মানব মহাকাশ কর্মসূচি শুরু করি। জয় হিন্দ! জয় ভারত! স্পেস স্টেশনের পথে বার্তা দিলেন শুভাংশু। আনন্দের কান্নায় ভাঙলেন শুভাংশুর বাবা মা।
বুধবার ভারতীয় সময় বেলা ১২টা ১। নির্ধারিত সূচি মেনে শুভাংশু শুক্ল-সহ ৪ নভশ্চরকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে পাড়ি দিল স্পেস এক্সের মহাকাশযান ‘ড্রাগন ক্রাফ্ট’। ফের ইতিহাস তৈরি করল ভারত। ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্ল বলছেন, 'এটি কেবল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) আমার যাত্রার শুরু নয়, এটি ভারতের মানব মহাকাশ কর্মসূচিরও সূচনা। আমি চাই, আপনারা সকলে এই যাত্রার অংশ হোন। আপনাদের বুকও গর্বে ফুলে উঠুক... একসঙ্গে। আসুন, ভারতের মানব মহাকাশ কর্মসূচি শুরু করি। ধন্যবাদ। জয় হিন্দ! জয় ভারত!'
১৪ দিনের এই অভিযানের জন্য দীর্ঘ প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে চার নভশ্চরকে। যাতে মহাকাশে যাওয়ার আগে সংক্রমণজনিত কোনও রোগে অসুস্থ না পড়েন, সে জন্য গত এক মাস ধরে চার জনকেই থাকতে হয় নিভৃতবাসে। বিধিনিষেধ ছিল খাবারদাবারে। ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লর বাবা, শম্ভু দয়াল শুক্লা বলছেন, '২০১৯ সালে গগনযান অভিযানের জন্য যবে থেকে শুভাংশুকে বেছে নেওয়া হয়েছে, তবে থেকে ও ঘরের খাবার খায়নি। কখনও খেলে আধখানা রুটি বা আধবাটি ডাল। ওর ক্যান্টিন আলাদা, খাবার আলাদা। '
আরও একটা বুধবার। বুধের সেই মাহেন্দ্রক্ষণে ফের ইতিহাস তৈরি করল ভারত। ১৯৮৪-র পর ২০২৫। রাকেশ শর্মার ৪১ বছর পর মহাকাশে পাড়ি দিলেন আরেক ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্ল। যাবতীয় উৎকণ্ঠা আর আশঙ্কার মেঘ সরিয়ে, ৯ মাসের বন্দিদশা কাটিয়ে যেদিন পৃথিবীতে ফেরেন সুনীতা উইলিয়ামসরা, সেদিন ছিল ১৯ মার্চ, বুধবার। আরেকটি বুধবার ভারতীয় সময় বেলা ১২টা ১ মিনিটে ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশে উড়লেন শুভাংশুরা। শুভাংশু তাঁর বার্তায় বলেছেন, 'এটা একটা অসাধারণ যাত্রা। আমরা প্রতি সেকেন্ডে ৭.৫ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছি। আমার কাঁধে থাকে তিরঙ্গা আমাকে বলছে যে, আমি আপনাদের সকলের সঙ্গে আছি।'
অভিযানের নাম ‘অ্যাক্সিয়ম-৪’। বাহন স্পেসএক্সের ড্রাগন মহাকাশনযান! মহাকাশে পড়ি দেওয়ার কথা ছিল গত ২৯ মে। কিন্তু বাধা এসেছে, ৭ বার। কখনও খারাপ আবহাওয়া, কখনও প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে অভিযান পিছিয়েছে বার বার। সেই সব বাধা দূর করে শেষমেষ, বুধবার উড়ে গেল ড্রাগন স্পেসক্রাফট। এখন কেবল দিন গোনা।























