Mangalyaan-2 : প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায় ISRO, এবার মঙ্গলে মঙ্গলযান-২ নামানোর তৎপরতা ভারতের
Science News: মঙ্গলযানের প্রথম অভিযান আগেই সংঘটিত হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় অভিযান তার থেকে অনেকটাই আলাদা হতে চলেছে।

নয়াদিল্লি : এবার নতুন মিশনে চোখ ভারতের। মঙ্গল গ্রহে মহাকাশযান অবতরণের জোরদার তৎপরতা চলছে। এই কৃতিত্ব অর্জন করে ফেললে ভারত হবে বিশ্বের চতুর্থ এমন দেশ। Mars Lander Mission (MLM) আবার Mangalyaan-2 নামেও পরিচিত। এই মিশনের অনুমোদন দিয়েছে মহাকাশ বিষয়ক কমিশন। এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে এই মিশন। Mars Lander Mission ভারতের মহাকাশ গবেষণার চেষ্টাকে প্রসারিত করার একটি বিস্তৃত অংশ হতে চলেছে।
এই উদ্যোগ নেওয়ার পিছনে যা লক্ষ্য রয়েছে তা হল, ভারত ২০৩৫ সালের মধ্যে মহাকাশে স্পেশ স্টেশন গড়তে চাইছে। ২০৪০-এর মধ্যে প্রথম কোনও ভারতীয়কে চাঁদে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি একাধিক চন্দ্রযান মিশনের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে ISRO-র। বহু উচ্চাকাঙ্খা সমৃদ্ধ এইসব লক্ষ্য অর্জনের জন্য ভারত Next Generation Launch Vehicle (NGLV)-ও গড়তে উদ্যোগী।
২০১৪ সালেই মঙ্গলগ্রহের কক্ষপথে ঢুকে গিয়েছিল মঙ্গলযান বা Mars Orbiter Mission (MOM)। সেই সাফল্যেই ভিত গড়ে যায় মঙ্গলযান-২-র। ISRO-র লক্ষ্য, অনুসন্ধানের কাজকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে। MOM তুলনামূলকভাবে কম খরচে আন্তঃগ্রহের মিশনে ভারতের ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। প্রথম এশিয়ান দেশ হিসেবে মঙ্গলগ্রহের কক্ষপথে পৌঁছানো এবং বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে প্রথম প্রচেষ্টায় তাতে সফল হওয়া সম্ভব হয়েছে ISRO-র প্রচেষ্টায়। এই মিশনের লক্ষ্য, মঙ্গল গ্রহের আরও পরিশীলিত বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান, মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠে একটি ল্যান্ডার এবং রোভার মোতায়েন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
মঙ্গলযানের প্রথম অভিযান আগেই সংঘটিত হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় অভিযান তার থেকে অনেকটাই আলাদা হতে চলেছে। গত বছর মে মাসেই জানা গিয়েছিল, মঙ্গলের মাটিতে পা রাখার জন্য আমেরিকা ও চিনের মতোই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নেবে ভারতের মহাকাশ গবেষণাকারী সংস্থা।
মঙ্গলযানের জন্য স্কাই ক্রেন, সুপারসনিক প্যারাসুট, হেলিকপ্টার ও রোভারের ব্যবস্থা করার কথা শোনা গিয়েছিল। এর আগে মঙ্গলের মাটিতে অবতরণের জন্য এই ধরনের প্রযুক্তি একমাত্র ব্যবহার করেছিল আমেরিকা ও চিন। এবার সেই দলেই নাম লেখাতে চলেছে ভারত। আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তরফে পার্সিভারেন্স রোভার পাঠানো হয়েছিল মঙ্গলে। এই রোভারটি চাঁদে অবতরণের সময় হেলিকপ্টার, প্যারাসুট ও স্কাই ক্রেনের এই কম্বো ব্যবস্থাটি ছিল। মঙ্গলযান ২-র (Mangalyaan-2 Mission) অবতরণের ক্ষেত্রেও তেমনটাই করা হবে বলে জানিয়েছিল ইসরো।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
