Pressurized Rover on Moon: পৃথিবী ছাড়িয়ে চারচাকার দৌড় এবার চাঁদের মাটিতে, NASA-র থেকে বরাত পেল জাপান
Toyota Moon Rover: চাঁদের মাটিতে গবেষণা সংক্রান্ত কাজে এই গাড়ি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নয়াদিল্লি: চাঁদের বুকে গাড়ি ছোটানোর কথা আগেই জানানো হয়েছিল। এবার সেই কাজে হাত দিল জাপান। চাঁদের মাটিতে ছোটানোর উপযুক্ত গাড়ি তৈরি করছে তারা। গাড়ির নকশা থেকে নির্মাণ, গোটাটাই জাপান সামলাবে। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA এই মুহূর্তে Artemis অভিযানে নিয়ে ব্যস্ত। ওই অভিযানের জন্যই গাড়ি তৈরির বরাত পেয়েছে জাপান। চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। (Pressurized Rover on Moon)
চাঁদের মাটিতে গবেষণা সংক্রান্ত কাজে এই গাড়ি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চাঁদের মাটিতে অবতরণের পর ওই গাড়িতে চেপেই ইতিউতি বিচরণ করতে পারবেন নভোশ্চররা। বহু দূরের দূরত্ব অতিক্রম করা সম্ভব হবে গাড়িতে চেপে। এমনকি এখনও পর্যন্ত যে জায়গায় পৌঁছনো সম্ভব হয়নি, গাড়িটি হাতে পেলে, তা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। (Toyota Moon Rover)
অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে চাঁদে ছোটানোর গাড়িটি তৈরি করা হচ্ছে। নভোশ্চর পাঠানো হোক বা রোবট, দুই ক্ষেত্রেই গাড়িটি কাজে লাগবে বলে মত বিজ্ঞানীদের। এই গাড়িটি হাতে পেলে, চাঁদের মাটিতে গবেষণার পথ আরও প্রশস্ত হবে বলেও আশাবাদী তাঁরা। Artemis VII অভিযানের ক্ষেত্রে এই ঘোষণা শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
চাঁদের বুকে ছোটানো হবে যেহেতু, চারচাকার গাড়িটি সবদিক থেকেই আলাদা হতে চলেছে। এই গাড়িটি চাপযুক্ত, অর্থাৎ Pressurised Rover বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। এই গাড়িতে চাপলে ভিতরে স্পেসস্যুট পরে থাকতে হবে না নভোশ্চরদের। ভিতরে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম থাকবে। শুধু চাঁদের বুকে বিচরণ করাই নয়, দীর্ঘ সময় গাড়ির মধ্যেই থাকতে পারবেন নভোশ্চররা।
NASA এবং জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা JAXA এই যৌথ প্রকল্পে হাত মিলিয়েছে। চাঁদের বুকে ছোটানোর ওই গাড়িটি তৈরি করার বরাত পেয়েছে Toyota. গাড়িতে থাকবে রোবোটিক্স, ক্যামেরা, সেন্সর, বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম। চলন্ত ল্যাবরেটরি হিসেবেও কাজ করবে গাড়িটি। চাঁদের মাটিতে গাড়িটিকে কী ভাবে নামানো হবে, কী ভাবে কাজ করবে সেটি, ইতিমধ্যেই অ্যানিমেশনের মধ্যে তা দেখিয়েছে জাপান, যে ভিডিও রয়েছে NASA-র ওয়েবসাইটে।
Artemis VII অভিযানের আওতায়, চাঁদের মাটিতে চার নভোশ্চরকে নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে NASA-র। ২০৩২ সালের মার্চ মাসে এই অভিযানের সূচনা হওয়ার কথা। ভারী লঞ্চারের মাধ্যমে রকেটের উৎক্ষেপণ হবে। দীর্ঘসময় চাঁদের মাটিতে কাটাবেন নভোশ্চররা।চাঁদের মাটিতে প্রাপ্ত সম্পদকে কাজে লাগানো থেকে সেখানে মানুষের দীর্ঘমেয়াদি অবস্থানের লক্ষ্য়েই এই অভিযান।