![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Mysterious Hole In Mars:মঙ্গলের গায়ের গর্ত কি নভোচরদের ভবিষ্যৎ আস্তানা? আশা বিজ্ঞানীদের
Science News:মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা 'নাসা'-র উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরায় যে ছবি ধরা পড়েছে তা থেকে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, মঙ্গলের বিলুপ্ত এক আগ্নেয়গিরি লাগোয়া একটি অংশে গর্তটির খোঁজ মিলেছে।
![Mysterious Hole In Mars:মঙ্গলের গায়ের গর্ত কি নভোচরদের ভবিষ্যৎ আস্তানা? আশা বিজ্ঞানীদের NASA Captured Mysterious Hole In Mars Which Might Shelter During Humans Crewed Mission Mysterious Hole In Mars:মঙ্গলের গায়ের গর্ত কি নভোচরদের ভবিষ্যৎ আস্তানা? আশা বিজ্ঞানীদের](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2024/06/10/a48f7f9166ee39f4ce88a7f27dc168461718015019355482_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: মঙ্গলের (Martian Hole) গায়ে গর্ত কীসের? মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা 'নাসা'-র উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরায় যে ছবি ধরা পড়েছে তা থেকে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, মঙ্গলের বিলুপ্ত এক আগ্নেয়গিরি লাগোয়া একটি অংশে গর্তটির খোঁজ মিলেছে। আশার কথা হল, ভবিষ্যতে কখনও এই গর্ত মহাকাশচারীরদের আস্তানাও হয়ে উঠতে পারে। কাজেই, হেলাফেলার বিষয় নয় মোটেও।
বিশদ...
নাসার 'Mars Reconnaissance Orbiter'-র শক্তিশালী 'হাই-রেজোলিউশন ইমেজিং সায়েন্স এক্সপেরিমেন্ট' ক্য়ামেরায় গর্তটির খুঁটিনাটি ধরা পড়েছে। আদতে, ২০২২ সালের ১৫ অগাস্টই এর খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। তবে নাসার শক্তিশালী ক্যামেরায় যে ভাবে গর্তের ছবি ধরা পড়েছে, তাতে আরও বেশি তথ্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। অনেকটা লম্বাটে খাদের মতো আকার এটির। বর্তমানে বিলুপ্ত, 'আর্সিয়া মন্স' আগ্নেয়গিরির একেবারে লাগোয়া এলাকায় খোঁজ মেলে এটির। তবে এবার যা ধরা পড়েছে, তা দেখে বিজ্ঞানীদের আশা, নভোচরদের ভবিষ্যৎ আশ্রয় হয়ে উঠতে পারে মঙ্গলের এই গর্ত। বিজ্ঞানীদের মতে, মঙ্গল বায়ুমণ্ডল অত্যন্ত পাতলা। তায়, সর্বজনীন ম্যাগনেটিক ফিল্ড বা চৌম্বক ক্ষেত্রও নেই। সব মিলিয়ে ফলে, পৃথিবী যে ভাবে তেজস্ক্রিয় বিকিরণের মোকাবিলা করে, সে ভাবে মঙ্গলগ্রহের পক্ষে মোকাবিলা সম্ভব নয়। তাই মঙ্গলপৃষ্ঠে যে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ পৌঁছয়, গড়ে তা পৃথিবীর নিরিখে ৪০-৫০ গুণ বেশি। সে দিক থেকে দেখলে এই গর্তটি নভোচরদের আস্তানা হওয়ার উপযুক্ত।
দ্বিতীয়ত, মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা, সে সম্পর্কেও এই গর্তগুলি দিশা দেখাতে পারে। বিজ্ঞানীদের অনেকের মতে, অতীতে হয়তো মঙ্গলগ্রহের বাসিন্দাদের জন্য 'সুরক্ষিত' আস্তানা ছিল এই গর্ত। ভাল করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে সেই প্রমাণ মিলতে পারে এখান থেকে, মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তবে যে ভাবে আগ্নেয়গিরির এক দিকে এই গর্তের হদিস পাওয়া গিয়েছে, তা থেকে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত আগ্নেয়গিরির সঙ্গে এই গর্তের নির্দিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। র্জ্যোতিপদার্থবির্জ্ঞানীদের মতে, বহু সময় দেখা যায় আগ্নেয়গিরির লাভা উদগীরণ মাটির তলা দিয়ে এসে অন্য খাতে বয়ে যাচ্ছে। পরে যখন আগ্নেয়গিরিটি বিলুপ্ত হয়ে যায়, তখন সেই খাত-ও খালি হয়ে পড়ে। কিন্তু মাটির তলায় বড়সড়, খালি টিউব রেখে যায়। শুধু মঙ্গল নয়, চাঁদ এবং পৃথিবীতেও আমরা এই ধরনের টিউব দেখতে পাই।
আর যা...
এই গর্ত ঠিক কতটা গভীর, তা নিয়ে এখনও রহস্য রয়েছে। এটাও স্পষ্ট নয় যে, এই ধরনের গর্তগুলির আর একটা মুখ বড়সড় কোনও গুহায় রয়েছে কিনা। যদি এরকম হয়, তা হলে মঙ্গলে মহাকাশচারীদের নিয়ে অবতরণের আদর্শ জায়গা হতে পারে এটি, বলছেন বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন:প্রথম কাঠের তৈরি কৃত্রিম উপগ্রহ, অসাধ্যসাধন করল জাপান, এবছরই উড়ান
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)