Nasa: মহাকাশে ভাঙল স্যাটেলাইট, বুধেই পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা
Nasa News: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতরের তরফে বলা হয়েছে, ৬৬০ পাউন্ডের এই স্পেসক্রাফটটি বুধবারই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে।
নয়া দিল্লি: সৌর ঝড়ের পর এবার নয়া উদ্বেগ বিশ্বে। নাসার তরফে জানান হয়েছে নাসার পাঠানো স্যাটেলাইট Reuven Ramaty High Energy Solar Spectroscopic Imager (RHESSI) ভেঙে পড়তে চলেছে পৃথিবীতে। ২১ বছর আগে কক্ষপথে পাঠানো হয়েছিল এই স্যাটেলাইটটিকে।
২০০২ সালে সৌর ঝড় এবং করোনাল মাস ইজেকশনের বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে এই স্যাটেলাইটটিকে বসানো হয়। সূর্য থেকে সৌর রশ্মির বিকরণের তীব্রতা কতটা শক্তিশালী তা বোঝার জন্যই এই স্যাটেলাইটটিকে পাঠানো হয়েছিল। প্রথমে ঠিকঠাক কাজ করলেও ২০১৮ সালে আচমকাই নাসার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এই স্যাটেলাইটটির। এরপরই এই 'অবসরপ্রাপ্ত' স্যাটেলাইটটিকে ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নেন স্পেস এজেন্সি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতরের তরফে বলা হয়েছে, ৬৬০ পাউন্ডের এই স্পেসক্রাফটটি বুধবারই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে। ভারতীয় সময় সকাল ৭টায় পৃথিবীতে প্রবেশ করতে পারে ভাঙা স্যাটেলাইটের টুকরো।
যদিও নাসার তরফে বলা হয়েছে, বিশ্ববাসীর কোনও ক্ষতি হবে না এই ঘটনায়। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢোকার আগেই স্পেসক্র্যাফটটি অতিরিক্ত তাপে ধ্বংস হয়ে যাবে। কিছু অংশ হয়তো পৃথিবীতে ঢুকলেও ঢুকতে পারে বলে দাবি করেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।
সৌর রশ্মিতে উচ্চ-মাত্রার ইলেকট্রনের কী পরিমাণে রয়েছে, কতটা এনার্জি তাঁরা মহাকাশে বিকিরিত করছে, তা বোঝার জন্যই এই স্যাটেলাইট পাঠানো হয়েছিল। এই স্যাটেলাইটটি স্পেকট্রোমিটারের মাধ্যমে সূর্য থেকে আসা এক্স-রে এবং গামা-রে এনার্জি রেকরত্রড করা হয়।
আরও পড়ুন, কাজের চাপে গাছেরাও কাঁদে! বৃক্ষের আর্তনাদ রেকর্ড করলেন বিজ্ঞানীরা
RHESSI থেকে পাওয়া ডেটা সৌর শিখা এবং তাদের সম্পর্কিত করোনাল মাস ইজেকশন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ খবর দেওয়া হয়েছে। এই ইজেকশজনের মাধ্যমে কয়েক মিনিটের মধ্যে সূর্য বায়ুমণ্ডলে বিলিয়ন মেগাটন TNT এর সমতুল্য শক্তি ছেড়ে দেয় মহাকাশে। এর জেরে অনেকসময়ই বৈদ্যুতিক সিস্টেমের ব্যাঘাত সহ পৃথিবীতে প্রভাব ফেলতে পারে।
সৌর শিখাগুলি সূর্যেরই শক্তিশালী বিস্ফোরণ। বৈদ্যুতিক পাওয়ার গ্রিড, নেভিগেশন সংকেত, বেতার বার্তায় এর প্রভাব পড়বে। শুধু তাই নয়, এর জেরে মহাকাশযান এবং মহাকাশচারীরাও ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।