(Source: Poll of Polls)
NOKIA 4G Network on Moon: হাতে হাতে ফোন পৌঁছে দেওয়া থেকে মহাকাশ অভিযান, চাঁদে মানুষ পাঠানোর কাজে যুক্ত হল NOKIA
NASA News: চাঁদের বুকে ফের মানুষ পাঠাতে চলেছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA.
নয়াদিল্লি: হাতে হাতে মোবাইল পৌঁছে দেওয়ার জন্যই পরিচয়। ব্যবসায় আগের সেই রমরমা যদিও নেই। তবে মহাকাশ বিজ্ঞানের দুনিয়ায় এবার পা রাখতে চলেছে ফিনল্যান্ডের বহুজাতিক সংস্থা NOKIA. আমেরিকার বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা Axiom Space-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে নভোশ্চরদের স্পেসস্যুট-কে 4G/LTE কমিউনিকেশন যোগ্য করে তুলতে চলেছে তাদের। (NOKIA 4G Network on Moon)
চাঁদের বুকে ফের মানুষ পাঠাতে চলেছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA. Artemis-3 অভিযানের আওতায় ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ওই অভিযানে নভোশ্চররা যে স্পেসস্যুট পরবেন, তা তৈরির বরাত পেয়েছে Axiom Space. সেই স্পেসস্যুটকে আরও উন্নত করে তুলতে Axiom Space-এর সঙ্গে হাত মেলাল NOKIA. (NASA News)
মহাকাশ অভিযানে বিশেষ পোশাক পরেন নভোশ্চররা, যা প্রযুক্তি নির্ভর হয়। ওই স্পেসস্যুটে কমিউনিকেশন সিস্টেমও থাকে। স্পেসস্যুটের হেলমেটে ওই প্রযুক্তি বসানো থাকে, যার মাধ্যমে পরস্পরের সঙ্গে কথা বলেন নভোশ্চররা। পৃথিবীতে কন্ট্রোল সেন্টার থেকে প্রাপ্ত নির্দেশ শুনে কাজ করেন। হেলমেটের মধ্যেই মাইক্রোফোন, ইয়ারফোন, রেডিও যোগাযোগের প্রযুক্তি বসানো থাকে।
আরও পড়ুন: Viral Video of 7 Suns: একসঙ্গে সাত সূর্যের আবির্ভাব আকাশে? ভাইরাল ভিডিও দেখে হতভম্ব সকলেই
Artemis-3 অভিযানের আগে ওই স্পেসস্যুটকে আরও উন্নততর করে তোলার চেষ্টা চলছে। সেই দায়িত্ব বর্তেছে Axiom Space-এর কাঁধে, যারা NOKIA-র দ্বারস্থ হয়েছে। জানা গিয়েছে, নতুন স্পেসস্যুটে উচ্চ গতিসম্পন্ন সেলুলার নেটওয়র্ক প্রযুক্তি বসানো থাকবে। ওই প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুত HD ভিডিও, টেলিমিট্রি ডেটা, ভয়স ওভার পৃথিবীতে পাঠাতে পারবেন নভোশ্চররা।
এই প্রযুক্তি হাতে পেলে, রিয়েল টাইমেই ছবি ও তথ্য পৃথিবীতে পাঠাতে পারবেন নভোশ্চররা। অর্থাৎ ছবি-ভিডিও বা অন্যান্য তথ্য হাতে পাওয়া মাত্রই পৃথিবীতে পৌঁছে দিতে পারবেন, দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে না। পাশাপাশি, ২৪ ঘণ্টা পৃথিবীতে কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখচে পারবেন।
Axiom Space-এর এক্সট্রা ভেহিকুলার অ্যাক্টিভিটি বিভাগের এগজিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট রাসেল রালস্টন জানিয়েছেন, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে নভোশ্চরদের সঙ্গে পৃথিবীবাসীর সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হবে। উচ্চমানের ছবি-ভিডিও পাওয়া যাবে বহু দূর থেকে। NOKIA-র সঙ্গে এই যুগলবন্দি নিয়ে আশাবাদী তারা।
তবে নভোশ্চরদের স্পেসস্যুটকে উন্নততর করে তোলাই নয় শুধু, চাঁদের মাটিতে প্রথম সেলুলার নেটওয়র্ক গড়ে তোলাও লক্ষ্য NOKIA-র। চলতি বছকেই Intutive Machine-এর IM-2 অভিযান হতে চলেছে। এই অভিযানের মাধ্যমে পৃথিবীর উপগ্রহে চন্দ্রযান পাঠাবে NASA. ওই অভিযানেও যুক্ত হচ্ছে NOKIA. চাঁদের মাটিতে সেলুলার যোগাযোগ গড়ে তুলবে তারা। বর্তমানে NOKIA Bell Labs-এ Lunar Surface Communications System (LSCS) তৈরির কাজ চলছে, যা নভোশ্চরদের স্পেসস্যুটে বসানো হবে। প্রতিকূল পরিবেশেও ওই প্রযুক্তি নির্বিঘ্নে কাজ করবে বলে জানানো হয়েছে।