এক্সপ্লোর
Sunita Williams Returns Home: মহাসাগরে সুনীতাদের স্বাগত জানাল ডলফিন, ১৭ ঘণ্টার স্পেস ম্যারাথন শেষে ক্যামেরাবন্দি বিশেষ মুহূর্ত
Sunita Williams News: ছবি: ভিডিও ফুটেজ থেকে সংগৃহীত।

ছবি: ভিডিও ফুটেজ থেকে সংগৃহীত।
1/19

অবশেষে প্রতীক্ষা, উদ্বেগের শেষ। মহাকাশ থেকে ঘরে ফিরলেন সুনীতা উইলিয়ামস, ব্যারি বুচ উইলমোর। ফিরলেন NASA-র আর এক মহাকাশচারী নিক হেগ এবং রাশিয়ার অলেকজান্ডার গরবুনভও।
2/19

গত বছর জুন মাসে আট দিনের অভিযানে মহাকাশে গিয়েছিলেন তাঁরা। তার পর নয় নয় করে সাড়ে ন’মাস কেটে যায়। এতদিনে ঘরে ফিরলেন।
3/19

সাধারণত ৩ থেকে ৩.৫ ঘণ্টার মধ্যেই মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে এসে পৌঁছনো যায়। কিন্তু সুনীতাদের ক্ষেত্রে কোনও ঝুঁকি নেয়নি SpaceX-এর Crew-9 মহাকাশযান।
4/19

ধাপে ধাপে এগোয় অভিযান। প্রথমে পৃথিবীর কক্ষপথ ছেড়ে নামে। তার পর ক্যাপসুল ও প্ল্যাটফর্ম আলাদা হয়। এর পর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ ঘটে।
5/19

সটান মহাসাগরে অবতরণ করানো হয়নি ক্যাপসুলটিকে। বরং প্যারাশুটে বেঁধে নিয়ন্ত্রিত ভাবে নামিয়ে আনা হয় নীল মহাসাগরের বুকে।
6/19

সরাসরি সম্প্রচার হওয়ায় সেই অভিনব মুহূর্তের সাক্ষী হয় গোটা বিশ্ব। নীল জলে তখন চারিদিক থেকে ডলফিনের দল ঘিরে ধরেছে সুনীতাদের।
7/19

আগে থেকেই সেখানে মোতায়েন ছিল SpaceX-এর একটি জাহাজ এবং কর্মীরা। দড়িতে বেঁধে প্রথমে ক্যাপসুলটিকে জাহাজে তোলা হয়। এর পর একে একে বের করে আনা হয় সকলকে।
8/19

গোটা বিশ্বের নজর সেই সময় ক্যাপসুলটির দরজার দিকে। তাঁদের স্বস্তি দিয়ে পিছলে বেরিয়ে আসেন সুনীতা, ব্যারি, নিক এবং অলেকজান্ডার।
9/19

দীর্ঘ সময় মহাকাশে কাটানোয় তাঁদের কারও নিজে থেকে উঠে দাঁড়ানো বা হাঁটার শক্তি ছিল না। এক এক করে চার মহাকাশচারীকে ধরে স্ট্রেচারে তোলা হয়।
10/19

হাসিমুখেই তাঁরা সকলকে অভিবাদন জানান। অনুরাগীদের উদ্দেশে থামসআপও দেখান সুনীতা।
11/19

তবে পৃথিবীতে ফিরলেও এখনই ঘরে ফেরা হবে না সুনীতাদের। বেশ কয়েক দিন কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে তাঁদের।
12/19

মহাকাশ থেকে অচেনা সংক্রমণ বয়ে আনার ঝুঁকি রয়েছে। সেই জন্যই প্রথমে নিভৃতবাসে রাখা হয় মহাকাশচারীদের। সেখানে ডাক্তারি পরীক্ষা হয়। সব দিক থেকে নিশ্চিন্ত হয়ে তবেই বাড়ি ফিরতে পারেন।
13/19

সব মিলিয়ে ২৮৬ দিন মহাকাশে ছিলেন সুনীতা ও ব্যারি। পৃথিবীর চারিদিকে ৪ হাজার ৫৭৭ বার চক্কর দিয়েছেন তাঁরা।
14/19

আট দিনের অভিযানে গিয়ে দীর্ঘ সাড়ে ন’মাস মহাকাশে, মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বাইরে থাকার ফলে এখনই নিজে থেকে হাঁটতে পারছেন না তাঁরা। স্বাভাবিক হতে বেশ কিছুটা সময় লাগতে পারে।
15/19

এতদিন মহাকাশে থাকার ফলে তাঁদের শরীরের তরলের সঞ্চালন ঊর্ধ্বমুখী হয়ে যায়। ফলে পা সরু হয়ে গিয়েছে সুনীতাদের, ফুলে গিয়েছে মুখ। তাই আগে সুস্থ হয়ে উঠতে হবে তাঁদের।
16/19

পৃথিবীতে পেশিশক্তির প্রয়োজন হলেও, মহাকাশে হয়নি, তাই পেশির সঙ্কোচন ঘটেছে, দুর্বল হয়ে পড়েছে পেশি।
17/19

মহাকাশে থাকাকালীন প্রতি মাসে ১-২ শতাংশ কের হাড়ের ক্ষয় হয়। তাই শারীরিক কসরত চালিয়ে যাওয়া জরুরি। হৃদযন্ত্রে তেমন চাপ না পড়লেও, আকারে ছোট হয়ে যায়। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সহজাত হতে আরো কিছুটা সময় লাগবে।
18/19

পাশাপাশি, ভারসাম্য তৈরি হতেও সময় লাগবে। বমিভাব, মাথাঘোরার সমস্যা হবে আগামীতে। তবে সেরে উঠতে খুব বেশি সময় লাগবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
19/19

কারণ মহাকাশে থাকাকালীনই পৃথিবী থেকে চিকিৎসকরা সুনীতাদের স্বাস্থ্যের উপর নজরদারি চালাচ্ছিলেন। কখন কী প্রয়োজন, নির্দেশ যাচ্ছিল পৃথিবী থেকেই। আপাতত তাঁরা নিরাপদে ফিরে আসায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন সকলেই।
Published at : 19 Mar 2025 07:17 AM (IST)
আরও দেখুন
Advertisement
Advertisement
POWERED BY
Advertisement
সেরা শিরোনাম
আইপিএল
খবর
খবর
আইপিএল
Advertisement
ট্রেন্ডিং
