Tokyo Olympics 2020: অলিম্পিক্সে টেনিসে সোনা জেভেরেভের, ছুঁলেন স্টেফিকে
আলেকজান্ডার জেভেরেভ ছুঁয়ে ফেললেন স্টেফি গ্রাফকে। ৩৩ বছর পর জার্মানির কেউ অলিম্পিক্সে সোনা জিতলেন। এর আগে শেষবার জার্মানির হয়ে ১৯৮৮ সালে অলিম্পিক্সে সোনা জিতেছিলেন স্টেফি গ্রাফ।
টোকিও: টোকিও অলিম্পিক্সে পুরুষদের টেনিসে সোনা জিতলেন আলেকজান্ডার জেভেরেভ। জার্মানির এই টেনিস তারকা সোনা জয়ের সঙ্গে সঙ্গেই ছুঁয়ে ফেললেন স্টেফি গ্রাফকে। ৩৩ বছর পর জার্মানির কেউ অলিম্পিক্সে সোনা জিতলেন। এর আগে শেষবার জার্মানির হয়ে ১৯৮৮ সালে অলিম্পিক্সে সোনা জিতেছিলেন স্টেফি গ্রাফ। এরপর এবার সেই নজির এখন জেভেরেভের।
জার্মানির প্রথম পুরুষ টেনিস প্লেয়ার হিসেবে অলিম্পিক্সে সোনা জয়ের কৃতিত্ব গড়লেন জেভেরেভ। রাশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে সোনা জিতলেন জেভেরেভ। খেলার ফল জার্মান টেনিস তারকার পক্ষে ৬-৩, ৬-১। এর আগে নোভাক জকোভিচকে হারিয়ে দিয়েছিলেন অলিম্পিক্সে। সার্বিয়ান তারকাকে হারানোর পরই এবারের প্রতিযোগীতায় জেভেরভের ওপর বাজি রেখেছিলেন অনেকেই।
এদিকে এদিন বক্সিংয়ে একটি ঘটনার সাক্ষী থাকে টোকিও অলিম্পিক্স। অলিম্পিক্স অভিযান যে এরকম দুঃস্বপ্নের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে, ঘুণাক্ষরেও হয়তো ভাবেননি এডেন ওয়ালশ।
কোয়ার্টার ফাইনাল জয়ের আনন্দে রিংয়েই এমন লাফালেন যে, গোড়ালি মচকে প্রতিযোগিতা থেকেই ছিটকে গেলেন। ব্রোঞ্জ জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। আইরিশ বক্সারের সামনে সেমিফাইনাল জিতে সোনা বা রুপো জেতারও সুযোগ ছিল। কিন্তু উৎসবের আতিশয্যে সেই সুযোগ হাতছাড়া হল ওয়ালশের।
কেন? রবিবার পুরুষদের ওয়েল্টারওয়েট বিভাগের কোয়ার্টার ফাইনালে মরিশাসের মারভান ক্লেয়ারের মুখোমুখি হয়েছিলেন ওয়ালশ। সেই ম্যাচে তিনি জিতেও যান। বক্সিংয়ের নিয়ম অনুযায়ী, সেমিফাইনালে ওঠা মানেই ব্রোঞ্জ পদক নিশ্চিত। দুই সেমিফাইনালে পরাজিত হতে হলেও দুই বক্সার দুই ব্রোঞ্জ পদক নিয়ে ফিরতে পারেন। ফাইনাল ম্যাচ হয় সোনা ও রুপোর পদকের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য।
ওয়ালশ কোয়ার্টার ফাইনালে জিততেই তাঁর ব্রোঞ্জ জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। সেই আনন্দে রিংয়েই লাফ দেন তিনি। তবে তাতে তাঁর পা মচকে যায়। গোড়ালির চোট এতটাই গুরুতর যে, অলিম্পিক্স থেকেই ছিটকে গিয়েছেন ওয়ালশ। হুইলচেয়ারে করে স্টেডিয়াম ছাড়তে হয় তাঁকে। ফলে তাঁর আর সেমিফাইনালে নামা হচ্ছে না। সোনা বা রুপোর পদক প্রাপ্তির সুযোগও তাই শেষ।