Bangladesh Bowler Suspended: ডোপিংয়ের দায়ে ১০ মাসের জন্য নির্বাসিত বাংলাদেশি ফাস্ট বোলার
Bangladesh Bowler Doping: ডোপিংয়ের জন্য আইসিসি ১০ মাসের জন্য নির্বাসিত করার কথা সদ্য ঘোষণা করলেও, ২০২৩ সালের ২৮ মার্চেই বাংলাদেশি বোলার আবার মাঠে ফিরে আসতে পারবেন।
দুবাই: বাংলাদেশের হয়ে জাতীয় দলে খেলেছেন, সেই ফাস্ট বোলারই ডোপিংয়ের দায়ে ১০ মাসের জন্য নির্বাসিত হলেন। আইসিসির 'অ্যান্টি-ডোপিং কোড'র (Anti-Doping Code) ২.১ আর্টিকেলের বিধি ভঙ্গ করায় বাংলাদেশি ফাস্ট বোলার শহিদুল ইসলামকে (Shohidul Islam) নির্বাসিত করল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসি ।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিষেক
বাংলাদেশের জার্সিতে শহিদুল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি টি-টোয়েন্টি ম্য়াচ খেলেছেন। সেই ম্যাচে তিনি মহম্মদ রিজওয়ানকে আউটও করেছিলেন বটে। তবে সেই ম্যাচসমেত গোটা সিরিজেই টাইগারদের বিধ্বস্ত করেছিল পাকিস্তান। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ স্কোরলাইনে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল। সেই পাকিস্তান-বাংলাদেশ সিরিজ বাদেও, শহিদুল নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বাংলাদেশ দলের অঙ্গ ছিলেন।
ওই সিরিজগুলিতে অবশ্য তিনি কোনও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। এমনকী চলতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও তাঁকে বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চোট পাওয়ায় আর ক্যারিবিয়ান সফরে খেলা সম্ভব হয়নি তাঁর। শহিদুলের মূত্র নমুনায় ক্লোমিফিন পাওয়া যায়, যা ওয়াডা দ্বারা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। প্রতিযোগিত চলাকালীন তো বটেই, প্রতিযোগিতা বা ম্যাচ না থাকলেও এটির ব্যবহার নিষিদ্ধ ।
দোষ স্বীকার করেছেন বাংলাদেশি বোলার
আইসিসির তরফে জানানো হয় শহিদুল এক ওষুধের মাধ্যমে ক্লোমিফিন সেবন করেন। তাঁর থেরাপির জন্য নেওয়া সেই ওষুধ নেওয়ার বৈধ প্রেসক্রিপশনও শহিদুলের কাছে ছিল। আইসিসির সামনে বাংলাদেশি তারকা নিজের দোষ মেনে নেন এবং জানান ভবিষ্যতে এই নিষিদ্ধ ক্লোমিফিন তিনি আর কোনওভাবেই সেবন করবেন না। তাঁকে আইসিসি ১০ মাসের জন্য নির্বাসিত করার কথা সদ্য ঘোষণা করলেও, ২০২৩ সালের ২৮ মার্চেই তিনি আবার মাঠে ফিরে আসতে পারবেন। কারণ তাঁর উপর এ বছর ২৮ মে থেকেই এই ওষুধ নেওয়ার জন্য নির্বাসন লাগু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'এই দুঃসময়ও কেটে যাবে', অফফর্মের কোহলির পাশে বাবর আজম