BCCI Update: ঋদ্ধিমানকে হুমকি, সাংবাদিককে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করল সৌরভের বোর্ড
Wriddhiman Saha: নিরপেক্ষ তদন্তের পর জনৈক সাংবাদিককে দোষী সাব্যস্ত করে বোর্ড। শাস্তিস্বরূপ, ওই সাংবাদিককে ২ বছরের জন্য নির্বাসিত করল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
কলকাতা: জাতীয় দলের (Team India) উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহাকে (Wriddhiman Saha) হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI) গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখতে গড়েছিল তদন্ত কমিটি। নিরপেক্ষ তদন্তের পর জনৈক সাংবাদিককে দোষী সাব্যস্ত করে বোর্ড। শাস্তিস্বরূপ, ওই সাংবাদিককে ২ বছরের জন্য নির্বাসিত করল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)।
আগেই ইঙ্গিত মিলেছিল। তাতেই সিলমোহর পড়ল বুধবার। ঋদ্ধিমান সাহাকে হুমকি দেওয়ায় জনৈক সাংবাদিকের ওপর দু'বছরের নিষেধাজ্ঞা চাপাল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতের দিকে ট্যুইটারে একটি হোয়্যাটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট পোস্ট করেছিলেন ঋদ্ধি। সঙ্গে লিখেছিলেন, 'ভারতীয় ক্রিকেটের প্রতি আমার যাবতীয় অবদানের পর তথাকথিত শ্রদ্ধেয় সাংবাদিকের থেকে এরকম বিষয়ের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই পর্যায় নেমে গিয়েছে সাংবাদিকতা।'
ঋদ্ধির পোস্ট করা স্ক্রিনশটে দেখা যায়, রাত ১০ টা ১৮ মিনিটে ঋদ্ধিকে পাঠানো একটি হোয়্যাটসঅ্যাপ মেসেজে লেখা ছিল, 'আমার সঙ্গে একটা ইন্টারভিউ কর। (তোমার জন্য) ভালো হবে।' এক মিনিট পরেই আরও একটি মেসেজ এসেছে। তাতে বলা হয়েছিল, 'ওরা (বোর্ড) একজন উইকেটকিপার বেছে নিয়েছে, যে সেরা উইকেটকিপার। তুমি ১১ জন সাংবাদিককে বেছে নেওয়ার চেষ্টা করছ, যাঁরা আমার কাছে সেরা নয়। এমন কাউকে বেছে নাও, যে তোমায় সবথেকে বেশি সাহায্য করতে পারবে।' রাত ১০ টা ৪৩ মিনিটের একটি মেসেজে বলা হয়েছিল, 'তুমি ফোন করলে না। আমি কখনও তোমার ইন্টারভিউ নেব না। আমি এত সহজে অপমান মেনে নিই না এবং এটা আমি মনে রাখব। এটা তোমার করা উচিত হয়নি।' তারই মধ্যে ওই সাংবাদিক ঋদ্ধিকে ফোনও করেছিলেন। ঋদ্ধির পোস্ট করা স্ক্রিনশটে সন্ধ্যা ৭ টা ৩০ মিনিটে হোয়্যাটসঅ্যাপ কলের বিষয়টি ধরা পড়েছে। যা মিসড কল হয়ে গিয়েছিল।
সেই ‘হুমকির’ স্ক্রিনশট পোস্ট করলেও কোনও সাংবাদিকের নাম প্রকাশ করেননি ঋদ্ধি। পরে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। জনসমক্ষে কারও নাম না জানালেও বোর্ডের পুরো বিষয়টি খুলে জানিয়েছেন বলে স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছিলেন ঋদ্ধি। তার কিছুক্ষণ পরেই ট্যুইটারে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে জনৈক ওই সাংবাদিক নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন।