Ranji Trophy: আম্পায়ারদের ভুলে ভোগান্তি বাংলার, সোমবার ইডেনে থ্রিলারের প্রার্থনা
Eden Gardens: সারাদিনে খেলা হল মাত্র ৯ ওভার। ছত্তীসগড়ের স্কোর ২৭/২। বাংলা শিবিরে ক্ষোভ বাড়ছে।
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: রবিবার ঘড়িতে তখন বিকেল ৩.৩৫। ইডেনে (Eden Gardens) শুরু হল বাংলা বনাম ছত্তীসগড় (BEN vs CSCS) ম্যাচের শেষ দিনের খেলা। পরের ৩৯ মিনিটে দু'উইকেট তুলে নিয়ে ছত্তীসগড়কে চাপে ফেলে দিল বাংলা। কিন্তু সারাদিনে খেলা হল মাত্র ৯ ওভার। ছত্তীসগড়ের স্কোর ২৭/২। বাংলা শিবিরে চাপা উৎকণ্ঠা রয়েছে। ছত্তীসগড়ের বিরুদ্ধে অন্তত ৩ পয়েন্ট না পেলে যে নক আউটেও স্বপ্নও কুয়াশায় ঢাকা পড়বে!
রবিবার রঞ্জি ম্যাচের (Ranji Trophy) তৃতীয় দিন সকালে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হল। মাঠ ঢাকা পড়ল কভারে। যদিও বৃষ্টি থেমে গেল। অবশ্য মন্দ আলোয় খেলা শুরু করলেন না আম্পায়াররা। বারবার লাইটমিটার নিয়ে মাঠে ঢুকে আলো পরীক্ষা করা হল। সন্তুষ্ট হলেন না আম্পায়ারদ্বয়। ম্যাচও থেমে রইল।
যদিও বাইরে থেকে দেখে মনে হচ্ছিল, খেলা শুরু করার মতো আলো রয়েছে। বিশেষ করে লাঞ্চের পর আলো অনেকটাই বাড়ল। বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারিকে দেখা গেল মাঠে ঢুকে আম্পায়াররা আলো পরীক্ষা করার সময় তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। আম্পায়ারদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতেও দেখা গেল বঙ্গ অধিনায়ককে। তাঁর শরীরী ভাষায় বিরক্তি যেন ফুটে বেরচ্ছিল।
আলোর উন্নতি হলেও খেলা শুরু করা গেল না কেন? জানা গেল, আম্পায়ারদের কাছে বাংলা শিবির থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, স্পিনারদের দিয়ে বোলিং করিয়ে ম্যাচ শুরু করা হোক। কিন্তু মাঠের দুই আম্পায়ার আনন্দ ওভালকার ও সৌরভ ধোতে জানান যে, প্রথম দিন পেসারদের বল করার জন্য কতটা আলো প্রয়োজন সেই মাপকাঠি লাইটমিটারে তুলে রাখলেও স্পিনারদের জন্য আলো কতটা থাকা উচিত, সেই রিডিং নিতে ভুলে গিয়েছেন তাঁরা। যে কারণে স্পিনারদের দিয়েও ম্যাচ শুরু করা যায়নি। যা নিয়ে বাংলা শিবিরে ক্ষোভ রয়েছে। বাংলা শিবির থেকে বলা হচ্ছে, দুপুরের দিকে স্পিনারদের দিয়ে ম্যাচ শুরু করার মতো পরিস্থিতি ছিল। রবিবার শেষ বেলায় কর্ণ লাল যেভাবে বল ঘোরাচ্ছিলেন, তাতে আরও ১০ ওভার বেশি খেলা হলেই ছত্তীসগড়কে আরও কোণঠাসা করে ফেলা যেত। তাতে তিন পয়েন্টের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যেত বাংলা।
যদিও পাল্টা প্রশ্নও উঠছে। বলা হচ্ছে, বাংলা কেন আরও আগে ইনিংস ডিক্লেয়ার করার পথে হাঁটল না। বাংলা শনিবারের ৩৮১/৮ স্কোরেই ডিক্লেয়ার করে দেয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আবহাওয়ার জন্য ওভার নষ্ট হচ্ছে দেখেও কেন আরও আগ্রাসী মনোভাব দেখাল না বাংলা? ছত্তীসগড়ের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে সরাসরি জয়ের জন্য ঝাঁপাতে কেন তিনশো তুলে ছেড়ে দেওয়া হল না? বাংলা শিবির থেকে দাবি করা হচ্ছে, প্রথম ইনিংসের লিড নিশ্চিত করাই ছিল প্রধান লক্ষ্য। কিন্তু গ্রুপে যেখানে মুম্বই, ছত্তীসগড়ের মতো দল অনেক বেশি পয়েন্ট নিয়ে বসে রয়েছে, সেখানে কেন আরও মরিয়া হল না বাংলা? এমনিতেও ছত্তীসগড়ের প্রথম ইনিংস শেষ না হলে এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে মনোজ-অনুষ্টুপ মজুমদারদের। বাজবলের যুগে বাংলার এত রক্ষণাত্মক মানসিকতা নিয়ে তাই প্রশ্ন উঠছেই।
সোমবার ম্যাচের শেষ দিনও সকালের দিকে কুয়াশার পূর্বাভাস রয়েছে। মেঘলা থাকবে আকাশ। ওভার নষ্ট হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। বাংলা শিবির অবশ্য প্রার্থনা করছে, অন্তত ৩০-৪০ ওভার খেলা হোক। তাতেই ছত্তীসগড়ের প্রথম ইনিংস মুড়িয়ে দিতে হবে। এই ম্যাচ থেকে ৩ পয়েন্টও বাংলার কাছে অক্সিজেন হতে পারে।
শেষ দিন থ্রিলারের প্রার্থনা শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলা শিবিরে।
আরও পড়ুন: পারিবারিক সমস্যাতেও লক্ষ্যে অটল, শামির তত্ত্বাবধানে বাংলায় তৈরি হচ্ছে নতুন পেস-অস্ত্র
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে