Sayani Das: পাঁচটি চ্যানেল পেরনোর ইতিহাস গড়েছিলেন, জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত করা হচ্ছে সায়নী দাসকে
Sayani Das Swimmer: অ্যাওয়ার্ড ছাড়াও সাম্মানিক অর্থ হিসেবে ১৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার সায়নীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। এর আগে এই জাতীয় পুরস্কার বাংলার সাঁতারু হিসেবে একমাত্র পেয়েছিলেন বুলা চৌধুরী।
কলকাতা: ভারতের প্রথম মহিলা সাঁতারু হিসেবে পাঁচটি চ্যানেল পেরিয়েছেন বাংলার তরুণী সাঁতারু (Swimmer) সায়নী দাস (Sayani Das)। এমনকী এশিয়া মহাদেশের মধ্যে প্রথম কোনও মহিলা সাঁতারু তিনি, যাঁর পাঁচটি চ্যানেল পেরানোর রেকর্ড গড়েছেন। এবার জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছেন কালনার মেয়ে। কিছুদিন আগেই বাংলার সবচেয়ে জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দের (ABP Ananda Sera Bangali) তরফে সেরা বাঙালির সম্মানেও সম্মানিত করা হয়েছিল সায়নীকে। আগামী ১৭ জানুয়ারি দিল্লিতে সায়নীর হাতে তেনজিং নোরগে ন্যাশনাল অ্যাডভেঞ্চার অ্যাওয়ার্ড তুলে দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ভারত সরকারের যুব বিষয়ক বিভাগ ও ক্রীড়া মন্ত্রক এই সম্মানে সম্মানিত করতে চলেছে সায়নীকে।
অ্যাওয়ার্ড ছাড়াও সাম্মানিক অর্থ হিসেবে ১৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার সায়নীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। এর আগে এই জাতীয় পুরস্কার বাংলার সাঁতারু হিসেবে একমাত্র পেয়েছিলেন বুলা চৌধুরী। গত বছর আগস্ট মাসে নর্থ আয়ারল্যান্ড থেকে স্কটল্যান্ড এর মধ্যে সাঁতার কেটে নর্থ চ্যানেল জয় করেছিলেন সায়নী। এর আগে ইংলিশ চ্যানেল, ক্যাটালিনা , মলোকাই, কুক প্রণালী ও এবার নর্থ চ্যানেল জয় করলেন সায়নী। এদিন নর্থ চ্যানেল পার করার পথে ১৩ঘণ্টা ২৩ মিনিটের মত সময় নিয়েছেন সায়নী। সপ্তসিন্ধু পেরনোর স্বপ্ন দেখা সায়নীর সামনে এবার সুগারু ও জিব্রাল্টার এই দুটো চ্যানেল পার করা বাকি রয়েছে। এবিপি লাইভের সঙ্গে ফোনে সাক্ষাতে সায়নী জানিয়েছিলেন, ''৭ বছর বয়স থেকেই আমি সাঁতারে ঢুকে পড়েছিলাম। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে গঙ্গায় ১০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছিলাম। World Open Water Swimming Association-র কিছু নিয়ম মেনে আমাদের চ্যানেলে নামতে হয়। সাতটা চ্যানেল পার করা মুখের কথা নয়। তিন মাস আগেই আমি কুক চ্যানেল পার করেছিলাম। মাঝে তিন মাস সময় পেয়েছিলাম এই চ্যানেল পার করার জন্য প্রস্তুতির। এরমধ্যেই শিরদাঁড়ার সমস্যা হচ্ছিল আমার। কিছুটা ব্যথা নিয়েই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিলাম।''
বাবা রাধাশ্যাম দাস প্রাইমারি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। যদিও নিজে অ্যাথলেটিক্সের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। কালনা সাব ডিভিশনের একটি ক্য়াম্পে কোচিংও করাতেন। সায়নীর দিদিও খেলাধূলোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বাড়িতে ছোট থেকেই খেলার পরিবেশ। এর আগে 'মাদার টেরিজা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড' পেয়েছেন সায়নী। এছাড়াও রাজ্য সরকারে তরফে এই সাঁতারুকে 'খেলশ্রী' সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে।