Ronaldinho: বাংলা থেকে ফুটবলার তুলে আনতে উদ্যোগী কিংবদন্তি রোনাল্ডিনহো
R10 Academy: বাংলা থেকে ফুটবলার তুলে আনার জন্য শুরু হল অভিনব উদ্যোগ। যে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িয়ে এক কিংবদন্তির নাম। রোনাল্ডিনহো (Ronaldinho)।
কলকাতা: বাংলা থেকে ফুটবলার তুলে আনার জন্য শুরু হল অভিনব উদ্যোগ। যে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িয়ে এক কিংবদন্তির নাম। রোনাল্ডিনহো (Ronaldinho)। রাজারহাটে মার্লিন রাইজে পথ চলা শুরু করল ব্রাজিলের কিংবদন্তির অ্যাকাডেমি।
শুক্রবার আর টেন অ্যাকাডেমির শিবিরের প্রথম দিন মুক্তি রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারের উঠতি ফুটবলারদের হাতে ফুটবলের সরঞ্জাম তুলে দিলেন বাংলা তথা জাতীয় দলের প্রাক্তন ফুটবলার মেহতাব হোসেন (Mehtab Hosain)। যিনি কলকাতায় রোনাল্ডিনহো অ্যাকাডেমির সহকারী কোচও।
বাংলার উঠতি ফুটবলারদের তুলে আনার এই প্রকল্পে যুক্ত হতে পেরে উচ্ছ্বসিত মেহতাব। বলেছেন, 'আগে জাতীয় দলে বাংলার চার-পাঁচজন ফুটবলার খেলত। এখন সেখানে সংখ্যাটা কার্যত শূন্যে দাঁড়িয়েছে। বেঙ্গালুরুর মতো শহরেও বিশ্বপমানের পরিকাঠামো-সহ ফুটবল অ্যাকাডেমি রয়েছে। বাংলা সেই জায়গায় পিছিয়ে ছিল। সেখানে রোনাল্ডিনহোর মতো কিংবদন্তি মার্লিন গ্রুপের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ফুটবল অ্যাকাডেমি করছেন, এটা আমাদের অন্যতম সেরা প্রাপ্তি।'
ক্যাম্পের শুরুতে প্রতিভাবান ফুটবলারদের জন্য নিখরচায় তিনদিনের শিবির আয়োজিত হয়েছে। যা শুরু হল শুক্রবার থেকে। ৪ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের জন্য বিনামূল্যে ফুটবল প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। অভাবী পরিবারের সাতজন খুদে ফুটবলারকে দেওয়া হবে স্কলারশিপ।
এটাই পূর্ব ভারতে ব্রাজিলের কিংবদন্তি রোনাল্ডিনহোর প্রথম অ্যাকাডেমি। বেঙ্গালুরুতেও একটি অ্যাকাডেমি রয়েছে রোনাল্ডিনহোর। অ্যাকাডেমির সমস্ত পরিকল্পনা ও ট্রেনিং পদ্ধতি স্বয়ং রোনাল্ডিনহোর তৈরি করা বলেই জানানো হয়েছে। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের জন্যও কোচিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে আর ১০ অ্যাকাডেমিতে।
রাজারহাটে মার্লিন রাইজে তৈরি হচ্ছে যুবরাজের স্বপ্নের অ্যাকাডেমিও। অ্যাকাডেমির জন্য সৌরভের সমর্থন চান যুবরাজ। সেই সঙ্গে সিএবি-র সঙ্গে গাঁটছড়াও বাঁধতে চান। যুবরাজ নিজেও আসবেন খুদেদের ক্রিকেটের পাঠ দিতে। কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, শীঘ্রই উদ্বোধন হবে অ্যাকাডেমির। যুবরাজ নিজে আসবেন উদ্বোধনে। এছাড়া সারা বছরই খুদে ক্রিকেটারদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যোগাযোগ রাখবেন।
আরও পড়ুন: ভারতীয় বোর্ড নির্বাসিত করেছিল, বিতর্কিত আম্পায়ার লাহৌরে দোকান চালাচ্ছেন