IPL 2023: 'যাক কিছু ক্রীড়াব্যক্তিত্বরা তো সম্মান পেলেন', অভিমানী ট্যুইট সাক্ষী মালিকের
Sakshi Malik Post: শেষপর্যন্ত কৃষকনেতা নরেশ তিকায়েতের অনুনয়-বিনয়ে পদকের গঙ্গা-বিসর্জন আপাতত স্থগিত রাখলেন সাক্ষী মালিক, বজরঙ্গ পুনিয়া, বিনেশ ফোগাতরা।
নয়াদিল্লি: একদিকে চেন্নাই সুপার কিংসের (Chennai Super Kings) আইপিএল জয় ধোনিকে (Mahendra Singh Dhoni) নিয়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায় আবেগপূর্ণ পোস্ট। অন্যদিকে অলিম্পিক্সে পদক জয়ী কুস্তিগীরদের প্রতিবাদের ছবি। এখনও পর্যন্ত সুনীল ছেত্রী ছাড়া অন্য ক্রীড়াক্ষেত্রের কেউই কুস্তিগীরদের প্রতিবাদ নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। সোশ্য়াল মিডিয়ায় সিএসকেকে শুভেচ্ছা জানিয়েও খোঁচা দিলেন এবার কুস্তিগীরদের প্রতিবাদের অন্যতম মুখ সাক্ষী মালিক (Sakshi Malik)। রিও অলিম্পিক্সে কুস্তিতে (Wrestling) ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন সাক্ষী। নিজের সোশ্য়াল মিডিয়া পোস্টে সাক্ষী লিখেছেন, "অভিনন্দন এমএস ধোনিজি এবং সিএসকে। আমরা খুশি অন্তত কয়েকজন ক্রীড়াব্যক্তিত্ব তাঁদের প্রত্যাশিত শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা পেলেন। সুবিচারের জন্য আমাদের লড়াই কিন্তু চলবেই।''
Congratulations MS Dhoni ji and CSK. We are happy that at least some sportspersons are getting respect and love they deserve. For us, the fight for justice is still on 😊
— Sakshee Malikkh (@SakshiMalik) May 30, 2023
উল্লেখ্য, হরিদ্বারের হর কি পৌরিতে পৌঁছে গঙ্গায় পদক-বিসর্জনের জন্য জড়ো হয়েছিলেন আন্দোলনরত কুস্তিগিররা। যদিও শেষপর্যন্ত কৃষকনেতা নরেশ তিকায়েতের অনুনয়-বিনয়ে পদকের গঙ্গা-বিসর্জন আপাতত স্থগিত রাখলেন সাক্ষী মালিক, বজরঙ্গ পুনিয়া, বিনেশ ফোগাতরা। যদিও লড়াই যে তাঁরা থামাবেন না, বরং ভারতীয় কুস্তি সংস্থার প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিংহকে পদচ্যুত করার জন্য আরও জোরদারভাবে লড়াইয়ের আখড়ায় নামবেন, সেটাই বুঝিয়ে দিলেন কুস্তিগিররা।
মঙ্গলবার বিকেলে গঙ্গায় পদক-বিসর্জনের ভাবনা থেকে সরে এলেও এবার তাঁরা দাবি আদায়ের জন্য বেঁধে দিলেন চরম সময়সীমা। সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঁচ দিন সময় দিয়েছেন কুস্তিগিররা। সাক্ষী, বজরংদের বক্তব্য, আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ করতে হবে সরকারকে। সেই সময়সীমার মধ্যেও সরকারের তরফে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া হলে সেক্ষেত্রে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ভাববেন বলেই জানিয়েছেন। এদিন বিকেলে পদক গঙ্গায় বিসর্জনের জন্য হরিদ্বারের হরি কি পৌরিতে জড়ো হয়েছিলেন কুস্তিগিররা। কিন্তু দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাঁদের ঘাম-রক্ত ঝরিয়ে সম্মানিত করার স্মারক তথা পদক তাঁরা যেন এভাবে বিসর্জন না দেন, সেটা বোঝাতে সেখানে হাজির হন কৃষকনেতা নরেশ তিকায়েত। বোঝাতে গিয়ে বারবার বেগ পেতে হলেও শেষপর্যন্ত কুস্তিগিরদের বুঝিয়ে পদক গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া থেকে তাঁদের বিরত করতে সক্ষম হন তিনি।