Bengal Pro T20: বিশ্বকাপের রোগ যেন বেঙ্গল প্রো টি-২০-তে! ব্যাট হাতে দলকে জেতালেন অঙ্কুর, সুদীপ
Eden Gardens: টি-২০ ক্রিকেট মানেই যেন দর্শক মাঠে আসেন চার-ছক্কার খেলা দেখতে। গত আইপিএলে (IPL 2024) শুধু সেঞ্চুরিই হয়েছিল ১২টি। যা আইপিএলের ইতিহাসে রেকর্ড।
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: টি-২০ ক্রিকেট মানেই যেন দর্শক মাঠে আসেন চার-ছক্কার খেলা দেখতে। গত আইপিএলে (IPL 2024) শুধু সেঞ্চুরিই হয়েছিল ১২টি। যা আইপিএলের ইতিহাসে রেকর্ড। দলগত সর্বোচ্চ স্কোর, সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয় - আইপিএলে একের পর এক ব্যাটিং কীর্তি হয়েছে, ভেঙেছে।
বেঙ্গল প্রো টি-২০ (Bengal Pro T20) লিগের ছবিটা অবশ্য সম্পূর্ণ আলাদা। টুর্নামেন্টে মহিলাদের ম্যাচগুলি হচ্ছে সল্ট লেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে। পুরুষদের ম্যাচগুলি হচ্ছে ইডেন গার্ডেন্সে। দুই মাঠেই ছবিটা কম বেশি একই। যেখানে ব্যাট করতে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছে সব দল। যে ইডেনে গত আইপিএলে ২৬১ রান তুলেও পাঞ্জাব কিংসের কাছে হারতে হয়েছিল শাহরুখ খানের কলকাতা নাইট রাইডার্সকে, যে পরাজয় এমন জ্বালা ধরিয়েছিল গোটা কেকেআর শিবিরে যে, সারারাত প্রায় সকলেই না খেয়ে কাটিয়েছিলেন, সেই ইডেনেই বেঙ্গল প্রো টি-২০ টুর্নামেন্টে ৯ ম্যাচে সর্বোচ্চ রান ১৪১। হয়েছে দুবার। শনিবার প্রথম ম্যাচে উঠেছিল ১২৩ রান। শ্রাচী রাঢ় টাইগার্সের যে রান ছাপিয়ে জয় ছিনিয়ে নিল সার্ভোটেক শিলিগুড়ি স্ট্রাইকার্স। দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম ইনিংসে উঠেছিল ১২১। দ্বিতীয় ইনিংসে ১২২। সেঞ্চুরি দূরের কথা, শনিবার সার্ভোটেক শিলিগুড়ি স্ট্রাইকার্সের অঙ্কুর পালের ৪৩ বলে অপরাজিত ৬২ রানই এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর।
হল কী ইডেনের বাইশ গজের? কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়, বিভিন্ন দলের ক্রিকেটার, কোচ, আম্পায়ার বা মাঠকর্মীরা সরাসরি মুখ খুলছেন না। যদি বিতর্ক বাঁধে, সেই ভয়ে। তবে সবাই একমত, অতিরিক্ত ক্রিকেট আর বহু ব্যবহারে জীর্ণ পিচের জন্যই এই হাল। আমেরিকার নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে টি-২০ বিশ্বকাপের পিচ নিয়ে তুমুল বিতর্ক। ব্যাটে বলই আসছে না তো চার-ছক্কা হবে কীভাবে! কার্যত একই ছবি কলকাতার দুই মাঠেও।
শনিবার পুরুষদের বিভাগে দিনের প্রথম ম্যাচে রাঢ় টাইগার্সকে ৮ উইকেটে হারাল শিলিগুড়ি স্ট্রাইকার্স। তিন ম্যাচে দুই জয় - পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে শিলিগুড়ির দল। প্রথমে ব্যাট করে রাঢ় টাইগার্স ১২৩/৭ স্কোরে আটকে গেল। সূরয সিন্ধু জয়সওয়াল এবং বিকাশ ভাটি ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। ব্যাট হাতে অঙ্কুর পাল ৪৩ বলে ৬২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলকে ১২৮ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতিয়ে দেন। ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন অঙ্কুর। তিনিই ম্যাচের সেরা। সোমবার শিলিগুড়ির পরের ম্যাচ কলকাতা টাইগার্সের বিরুদ্ধে।
ইডেনে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মনোজ তিওয়ারির হারবার ডায়মন্ডসকে ৮ উইকেটে হারাল মুর্শিদাবাদ কিংস। প্রথমে ব্য়াট করে হারবার ডায়মন্ডস তোলে ১২১/৯। জবাবে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ২৬ বল বাকি তাকতে লক্ষ্যপূরণ মুর্শিদাবাদের। ৩৮ বলে ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন সুদীপ ঘরামি।
আরও পড়ুন: রোহিত-কোহলিদের থেকে শেখা মন্ত্রেই প্রতিপক্ষদের ঘায়েল করতে চান বাংলার পেসার