IND vs ENG: লম্বা সফরে স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে রুটদের সঙ্গে ভারতে আসছেন বিশেষ রাঁধুনীও
IND vs ENG Test: পাকিস্তান সফরে গতবার যখন ইংল্য়ান্ড দল গিয়েছিল তখন পেটের সমস্যা সেই জাতীয় কোনও সমস্যার মুখে পড়তে হয়নি ক্রিকেটারদের। সিরিজও জিতেছিল ইংল্যান্ড।
লন্ডন: ভারত সফরে আসতে চলেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। এখানে পাঁচ ম্যাচের পূর্ণাঙ্গ টেস্ট সিরিজ খেলবেন স্টোকসরা। লম্বা সফর। ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এবার তাই ভারত সফরে নিজেদের জন্য বিশেষ রাঁধুনী নিয়ে আসছে ইংল্যান্ড শিবির। চলতি মাসের শেষের দিকে ভারত সফরে আসতে চলেছে ইংল্যান্ড শিবির। প্রায় দেড় বছর আগে পাকিস্তান সফরে যখন গিয়েছিল ইংল্যান্ড শিবির। তখন তিন সপ্তাহ সেখানে ছিল ইংল্যান্ড শিবির। তিনটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিল বেন্ডন ম্যাকালামের দল। ইংল্যান্ডের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ''প্লেয়াররা যাতে কোনওভাবে সফরে গিয়ে অসুস্থ না হয়, তার জন্যই রাঁধুনী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।''
পাকিস্তান সফরে গতবার যখন ইংল্য়ান্ড দল গিয়েছিল তখন পেটের সমস্যা সেই জাতীয় কোনও সমস্যার মুখে পড়তে হয়নি ক্রিকেটারদের। সিরিজও জিতেছিল ইংল্যান্ড। সেই কারণেই ভারত সফরেও রাঁধুনি নিয়ে আসছে তারা। এর আগে ভারত সফরে টিনের খাবার এনার্জিবার বা পিৎজ়ার উপর ভরসা রাখতে হত ইংলিশ ক্রিকেটারদের। সেখান থেকে টিমকে বের করে এনেছেন ওমর মেজিয়ান। পাকিস্তান সফরে তিনি টিমের রাঁধুনি ছিলেন। এ বারও তিনি ভারতে পা রাখবেন টিমের হয়ে। এই ওমরকে আবার ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের হেঁসেলেও দেখা যায়। তিনি প্লেয়ারদের জন্য লাঞ্চ বা ডিনারে তাঁদের মন মত খাবারের জোগান দেবেন। এতেই শেষ নয়, ম্যাচ চলাকালীন কী খাবেন ইংলিশ ক্রিকেটাররা, তাও ঠিক করে দেবেন তিনি।
এক সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, "সাত সপ্তাহের সফরে অসুস্থতা এড়াতে নিজেদের রাঁধুনি নিয়ে ভারতে আসবে ইংল্যান্ড দল। ক্রিকেটারদের খাওয়া দাওয়ার খেয়াল রাখতে ২৫ জানুয়ারি প্রথম টেস্ট শুরু হওয়ার আগেই তিনি হায়দরাবাদে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। ইংল্যান্ডের ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হোটেলের পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন পরিষেবা নিয়ে তাঁদের কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু তেল, মশলা এড়াতে অনেক ক্রিকেটারই শুধুমাত্র এনার্জি বার এবং পিৎজা খেয়ে থাকে। লম্বা সফরে সেটা যাতে না হয়, সেই কারণেই দলের সঙ্গে ব্যক্তিগত শেফ নিয়ে আসা হচ্ছে।''
সিরিজ জয় অস্ট্রেলিয়ার
গতকাল ৮২ রান এগিয়ে ছিল পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে লিড পাওয়ার পরও সেই লিড কাজে লাগাতে পারেনি শান মাসুদের দল। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্য়াট করতে নেমে মাত্র ১১৫ রানে অল আউট হয়ে যায় পাক শিবির। অস্ট্রেলিয়ার সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ছিল মাত্র ১৩০। যা ২ উইকেট খুঁইয়ে হেসেখেলে করে নিল অজি শিবির। কেরিয়ারের শেষ টেস্ট ইনিংসেও অর্ধশতরান হাঁকালেন ডেভিড ওয়ার্নার। ম্যাচের সেরা হলেন আমের জামাল। সিরিজ সেরা প্যাট কামিন্স। ১৯৯৫ সালে শেষবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট জিতেছিল পাক দল। ১৯৯৯ সালে শেষবার অজি দেশে টেস্ট ড্র করতে পেরেছিল তাঁরা। আজকের পর মোট ১৭টি টেস্ট টানা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হারতে হল পাকিস্তানকে।