Karun Nair: রঞ্জিতে দুরন্ত শতরানের পর নির্বাচকদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন করুণ নায়ার
Ajit Agarkar: ইংল্যান্ডে কাঙ্খিত পারফরম্যান্স করতে না পারায় করুণ নায়ারকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলেই জানিয়েছিলেন অজিত আগরকর।

সিডনি: বিগত বছর দু'য়েক ঘরোয়া ক্রিকেটে নিরন্তর পারফর্ম করে বহু বছর পর জাতীয় দলে ফিরেছিলেন। তবে ইংল্যান্ডে করুণ নায়ারের ব্যাট থেকে কাঙ্খিত রান আসেনি। তারপরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ে বাদ পড়েন তিনি। এবার সেই নিয়ে মুখ খুললেন করুণ নায়ার (Karun Nair)।
ইংল্যান্ডে আশানুরূপ রান না পাওয়ায় করুণকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন অজিত আগরকর। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেই সেই করুণ নায়ার কিন্তু ফের একবার দুরন্ত ছন্দে ব্যাটিং করছেন। গোয়ার বিরুদ্ধে মরশুমের দ্বিতীয় রঞ্জি ম্যাচেই ম্যাচ সেরা হলেন করুণ। খেললেন ১৭৪ রানের দুরন্ত ইনিংস। এই ইনিংসের মাধ্যমে যেন নির্বাচকদের বার্তা দিয়ে রাখলেন করুণ নায়ার।
দুরন্ত শতরানের পর করুণ নায়ার স্পষ্ট জানালেন এক সিরিজ়ের পরেই দল থেকে বাদ পড়াটা হতাশাজনক। তিনি বলেন, 'নিঃসন্দেহেই এটা খুবই হতাশাজনক। গত দুই বছরে আমি যেমন পারফর্ম করেছি, তারপর অন্তত এর থেকে ভাল ব্যবহার আশা করি। একটা সিরিজ়ের থেকে বেশিই সুযোগ পাওয়া উচিত ছিল। ভারতীয় দলের বেশ কয়েকজন আমার সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছে, তারা এ বিষয়ে নিজেদের মতামত জানিয়েছেন। এই বিষয়গুলি তো মাথাতে ঘোরাফেরা করেই। তবে আবার আরেকটা বিষয় হল আমার আমার কাজ করে যেতে হবে সেটা হল রান করা। বাকিরা যা যা খুশি মনে করুক তাতে যায় আসেনা।'
করুণ কিন্তু এখনও ভারতীয় দলে পুণরায় ফেরার আশা ছাড়েননি। 'সত্যি বলতে এরপের আমার লক্ষ্য আর কী হতে পারে? আমি শুধু দেশের হয়ে খেলতে চাই। সেটা যদি না হয়, তাহলে পরবর্তী লক্ষ্য় হল যে দলের হয়ে খেলছি সেই দলের হয়ে ম্যাচ জেতার চেষ্টা করা। সেটাই করব।' দাবি করেন তিনি।
শামির খোঁচা
প্রথম ম্যাচে সাত উইকেট নিয়েছিলেন। গুজরাতের বিরুদ্ধে রঞ্জির দ্বিতীয় ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেটসহ মোট আট উইকেট নিলেন মহম্মদ। এরপর কি জাতীয় দলে ফেরার রাস্তা মসৃণ হল? ম্যাচের জাতীয় দলে ব্রাত্য ক্রিকেটার বললেন, 'ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে আর কী বলব? যাই বলি বিতর্কের সৃষ্টি হয়। আমি আলাদা করে কী আর করতে পারি? সমাজমাধ্যমও বিতর্কের সৃষ্টি করে।' যোগ করেন, 'ম্যাচ জেতানোই আমার কাজ। উইকেট নিয়ে দলকে সাহায্য করি। দেশের হয়ে যখন খেলতাম তখনও সেটাই করতাম। এ বার ভাগ্যে যা আছে তাই হবে। আমি ভাগ্যে বিশ্বাসী। কপালে না থাকলে সেই কাজ হওয়া খুব কঠিন। দেশের হয়ে খেলতে কে না চায়? ঘরের মাঠে যত বেশি ম্যাচ পাওয়া যায় ততই ভাল। রাজ্যের হয়েই হোক অথবার দেশের হয়ে। আমি পুরোপুরি তৈরি।'



















