Koneru Humpy: বিশ্ব ব়্যাপিড দাবায় দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন ভারতের কোনেরু হাম্পি
Koneru Humpy : দাবার কোর্টে ভারতের জয়জয়কার। কয়েকদিন আগে ডি গুকেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এবার চ্যাম্পিয়ন হলেন ভারতের মহিলা গ্র্যান্ড মাস্টার কোনেরু হাম্পি।
নয়াদিল্লি: চৌষট্টি খোপের লড়াইয়ে আরও একবার ভারতের জয়জয়কার। ডি গুকেশ কিছুদিন আগেই বিশ্বনাথ আনন্দের পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলেন ভারতের মহিলা দাবাড়ু কোনেরু হাম্পি। বিশ্ব ব়্যাপিড দাবায় খেতাব জিতে নিলেন ভারতের এই মহিলা গ্র্যান্ডমাস্টার। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার খেতাব জিতে নিলেন কোনেরু। ২০১৯ সালে এই টুর্নামেন্টে খেতাব জিতেছিলেন কোনেরু। এরপর থেকে পাঁচ বছরে খেতাব ঝুলিতে পুরতে পারেননি। দাবা অল্পিয়াডেও খেলতে পারেননি হাম্পি। এবার বিশ্ব র্যাপিড দাবায় ফের খেতাব জিতে নিলেন কোনেরু।
চিনের দাবাড়ু জু ওয়েনজুন এর আগে দুবার এই টুর্নামেন্টে খেতাব জিতেছিলেন। এবার বিশ্বের দ্বিতীয় মহিলা দাবাড়ু হিসেবে একাধিকবার বিশ্ব র্যাপিড দাবা চ্যাম্পিয়ন হলেন হাম্পি। ১১ রাউন্ডের লড়াইয়ে ভারতের এক নম্বর মহিলা গ্র্যান্ডমাস্টারের সংগ্রহ ৮.৫ পয়েন্ট।
গুকেশের সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির
সোশ্যাল মিডিয়ায় গুকেশের সঙ্গে সাক্ষাতের একাধিক ছবি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এই সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ আলোচনা চলে। এক তরুণ ডি গুকেশ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হব বল যে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিল, সেই ভিডিও যে তাঁরও নজর এড়ায়নি, সে কথা জানান মোদি। গুকেশের নিষ্ঠা ও নাছোড় মনোভাব প্রধানমন্ত্রীর নজর কেড়েছে। এছাড়া যোগ ও ধ্যানের মাহাত্ম্য নিয়ে দুইজনের মধ্যে আজকের আলোচনাটি হয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া গুকেশের বাবা-মাকে তাঁকে অনুপ্রারিত করা ও তাঁর পাশে থাকার জন্যও বাহবা জানান মোদি।
প্রধানমন্ত্রী আশা করছেন গুকেশের সাফল্য আরও বেশি করে তরুণদের ক্রীড়াকে পেশা হিসাবে বেছে নেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করবে। সবশেষে গুকেশের তরফে এক বিশেষ উপহারও পান প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি যে বোর্ডে ফাইনাল ম্যাচ জিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন, সেই বোর্ডটি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন গুকেশ। সেই বোর্ডটিতে তাঁর ও ফাইনালে তাঁর প্রতিপক্ষ ডিং লিরেন, উভয়েরই স্বাক্ষর রয়েছে।
ফাইনালের আগে পর্যন্ত গুকেশ ও ডিং - দুজনেরই ঝুলিতে ছিল ৬.৫ পয়েন্ট করে। ১৩ গেমের পর। ১৪তম গেমে সাদা ঘুঁটি নিয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন ডিং। যিনি খেতাবরক্ষার লড়াইয়ে নেমেছিলেন। একটা সময় পর্যন্ত মনে করা হচ্ছিল যে, ড্রয়েই সন্তুষ্ট থাকবেন ডিং। কিন্তু ৫৩তম চালে বড় ভুল করেন চিনের দাবাড়ু। শেষ পর্যন্ত গুকেশের চাপের কাছে নতিস্বীকার করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ৯১/৬ থেকে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর চতুর্থ দিনের শেষে ২২৮/৯, ম্য়াচ বাঁচাতে পারবে তো ভারত?