Nitish Kumar Reddy: স্বপ্ন দেখতে জানলে হার মানে দারিদ্রও, উদাহরণ হয়ে রইলেন নীতীশ রেড্ডি

India vs Australia: অনূর্ধ্ব ১৪ পর্যায়ের সেই ছেলেই মেলবোর্নের নায়ক। নীতীশ প্রমাণ করলেন, স্বপ্ন দেখতে জানলে দারিদ্র তো দূর অস্ত, সব প্রতিকূলতাই তুচ্ছ। ছবি - বিসিসিআই এক্স ও নীতীশ রেড্ডির ইনস্টাগ্রাম

মেলবোর্নের নায়ক নীতীশ। - বিসিসিআই এক্স

নীতীশ রেড্ডি। শনিবারের পর থেকে যে নাম হয়তো কোনওদিন ভুলবেন না ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা।

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বক্সিং ডে টেস্টে ভারতের রক্ষাকর্তা হয়ে হাজির হলেন অন্ধ্র প্রদেশের তরুণ। ১০৫ রানের ইনিংস খেলে এখনও রয়েছেন ক্রিজে।

নীতীশের জীবন যেন রূপকথার মতো। তাঁর বাবা মুত্যালা হিন্দুস্তান জিঙ্কে চাকরি করতেন।

কিন্তু তাঁকে বদলি করে দেওয়া হচ্ছিল। এদিকে ছেলেকে ক্রিকেটার গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখাও ছাড়তে নারাজ ছিলেন মুত্যালা। তিনি চাকরিই ছেড়ে দেন।

সেই সময় অন্ধ্র প্রদেশের ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট ছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার এমএসকে প্রসাদ। যিনি এক সময় ভারতের নির্বাচকও ছিলেন।

প্রসাদ জানিয়েছেন, তাঁর কাছে এসে হাজির হয়েছিলেন মুত্যালা। অনুরোধ, তাঁর ছেলের খেলা একবার যেন দেখেন প্রসাদ।

খুদে নীতীশের ব্যাটিং দেখেই প্রসাদ বুঝে যান, এ ছেলে প্রতিভাবান। প্রয়োজন শুধু সঠিক পরিচর্যা।

কিন্তু রেড্ডি পরিবারে তখন নুন আনতে পান্তা ফুরনোর দশা। ছেলের জন্য ক্রিকেট সরঞ্জাম বা আধুনিক কোচিং সেন্টারের ব্যবস্থা করা মুত্যালার কাছে ছিল দুরূহ।

প্রসাদ বলেছেন, 'মুত্যালা আমাকে বলেন, ওঁর আর্থিক সঙ্কটের কথা। অন্ধ্র প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা তখন অনূর্ধ্ব ১৪ প্রতিভাদের জন্য আবাসিক শিবিরের ব্যবস্থা করছিল। সেখানেই নিখরচায় নীতীশের থাকা, খাওয়া ও পোশাকের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।'

অনূর্ধ্ব ১৪ পর্যায়ের সেই ছেলেই মেলবোর্নের নায়ক। নীতীশ প্রমাণ করলেন, স্বপ্ন দেখতে জানলে দারিদ্র তো দূর অস্ত, সব প্রতিকূলতাই তুচ্ছ। ছবি - বিসিসিআই এক্স ও নীতীশ রেড্ডির ইনস্টাগ্রাম