Ranji Trophy 2025-26: রঞ্জিতে করুণ নায়ারের দুরন্ত শতরান, মাত্র ৯০ ওভারেই শেষ হল রিয়ান পরাগদের ঐতিহাসিক ম্যাচ
Karun Nair: চাপে পড়া কর্ণাটক দলের হয়ে কার্যত একাই লড়াই করলেন করুণ নায়ার। খেললেন অপরাজিত ১৭৪ রানের ইনিংস।

নয়াদিল্লি: ইংল্যান্ড সফরে জাতীয় দলে বহুকাঙ্খিত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছিলেন। তবে সেই কামব্যাক মনের মতো হয়নি। আট ইনিংসে মাত্র একটি অর্ধশতরান হাঁকিয়েছিলেন করুণ নায়ার (Karjun Nair)। তারপরেই জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। তবে রঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy 2025-26) নিজের ঘরে ফিরে ফের একবার স্বমেজাজে করুণ নায়ার। রঞ্জি ট্রফির দ্বিতীয় ম্যাচেই দুরন্ত শতরান হাঁকালেন তিনি। অপরদিকে, মাত্র দুই দিনেই শেষ হয়ে গেল সার্ভিসেস বনাম অসমের (Assam vs Services) এক ইতিহাস সৃষ্টিকারী রঞ্জি ম্যাচ।
'বনবাস' কাটিয়ে বিদর্ভ থেকে ফের একবার কর্ণাটক দলে ফিরেছেন করুণ নায়ার। দল বদলালেও ঘরোয় ক্রিকেটে করুণের দাপট কমল না। গোয়ার বিরুদ্ধে প্রথম দিনশেষে শতরানের দোরগোড়ায় ৮৬ রানে অপরাজিত ছিলেন করুণ। দ্বিতীয় দিনে তাঁর ব্যাট থেকে এল চোখধাঁধানো শতরান। অর্জুন তেন্ডুলকর ও বাসুকী কৌশিকের দুরন্ত বোলিংয়ে যেখানে শ্রেয়স গোপাল বাদে আর কোনও কর্ণাটক ব্যাটার তেমন দাঁতই ফোটাতে পারলেন না, সেখানে নিজের জাত চেনালেন করুণ।
অপরপক্ষ থেকে যদি আরেকটু সাহায্য পেতেন, তাহলে কিন্তু দ্বিশতরান পূরণ করে ফেলতেই পারতেন করুণ। তবে তেমনটা হয়নি। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন কার্যত একাই লড়াই চালান করুণ। ১৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। অর্জুনরা তিনটি করে উইকেট নিয়ে কর্ণাটককে ৩৭১ রানে অল আউট করে দেন। জবাবে দিনশেষে গোয়ার স্কোর এক উইকেটের বিনিময়ে ২৮ রান। এই ইনিংসের মাধ্যমে কি নির্বাচকদের বার্তাই দিলেন করুণ? আবারও প্রমাণ করলেন তিনি ফুরিয়ে যাননি? অনেকেই মনে করছেন উত্তরটা হ্যাঁ।
অপরদিকে, রিয়ান পরাগদের অসমকে দুই দিনেই দুরমুশ করল সার্ভিসেস দল। গোটা ম্যাচে মাত্র ৯০ ওভার (৫৪০ বল) খেলা হল। বলের নিরিখে এর আগে এত কম বলে কোনও রঞ্জি ট্রফি ম্যাচ শেষ হয়নি। নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হল। ইতিহাসের কিন্তু এখানেই শেষ নয়। এই ম্যাচের প্রথম দিনই দুই বোলার হ্যাটট্রিক করেন। অসমের মোহিত জাঙরা এবং সার্ভিসেসের অর্জুন শর্মা, উভয়েই ম্যাচের প্রথম দিন হ্যাটট্রিক করেন। এই প্রথম কোনও রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে দুই ভিন্ন বোলার হ্যাটট্রিক নিলেন। শর্মা প্রথম ইনিংসে পাঁচটি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসেও চারটি সাফল্য পান। মোট নয় উইকেট নেওয়ায় তাঁকেই ম্যাচ সেরা ঘোষণা করা হয়। এই জয়ের সুবাদে দুই ম্যাচে মোট ১৩ পয়েন্ট পেয়ে গেল সার্ভিসেস।




















