IND vs ENG: হাঁটুতে চোট জ্যাক লিচের, ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে চিন্তা বাড়ল স্টোকস বাহিনীর
IND vs ENG , 2nd Test: মাত্র ১৬ ওভার বল করে ৮৭ রান খরচ করেন তিনি। এমনকী ৪ ওভারের বেশি টানা স্পেলও করতে পারেননি লিচ।
হায়দরাবাদ: ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনেই ব্যাকফুটে ইংল্যান্ড (England Cricket) শিবির। এক তো প্রথম ইনিংসে ১৭৫ রানের লিড নিয়ে নিয়েছে রোহিত বাহিনী। তৃতীয় দিনে ভারতের তিন উইকেট ফেলতে হবে খুব তাড়াতাড়ি। ক্রিজে আছেন রবীন্দ্র জাডেজা ৮১ রান করে। তবে আরও বড় মাথাব্যথা বোধহয় স্টোকস বাহিনীর জন্য অপেক্ষা করে ছিল। ফিল্ডিং বাঁচাতে গিয়ে হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন লিচ। ইংল্য়ান্ড যে তিন স্পিনার নিয়ে প্রথম টেস্টে খেলতে নেমেছে, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ লিচ। কিন্তু চোটের জন্য় পুরোদমে বোলিং করতে পারেননি ইংল্যান্ডের এই স্পিনার। মাত্র ১৬ ওভার বল করে ৮৭ রান খরচ করেন তিনি। এমনকী ৪ ওভারের বেশি টানা স্পেলও করতে পারেননি লিচ। মাঝে মাঝেই মাঠের বাইরে বেরিয়ে শ্রুশ্রুষা নিচ্ছিলেন।
দ্বিতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের স্পিন বোলিং কোচ জিতেন প্যাটেল বলেন, ''প্রথম দিনের শেষেই ফাইন লেগে ফিল্ডিং করার সময় হাঁটুতে চোট লাগে ওর। দ্বিতীয় দিন ফের একবার চোট পেয়েছে। সে কারণেই অস্বস্তিতে রয়েছে জ্যাক লিচ। আপনারাও হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন, অনেক ক্ষেত্রেই বল ধরতে গিয়ে আটকে গিয়েছে। তারপরও ও যা বোলিং করেছে, প্রশংসা করার মতোই।''
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২৪৬ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭০ রান করেন বেন স্টোকস। বেন ডাকেট ৩৫ রান করেন। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে রবীন্দ্র জাডেজা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৩টি করে উইকেট নেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিনের শেষে চালকের আসনে রয়েছে টিম ইন্ডিয়া। খেলার এখনো আরও তিনদিন বাকি।
রবীন্দ্র জাডেজা (Ravindra Jadeja)। হায়দরাবাদে বল হাতে প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন তিন উইকেট। যার মধ্যে ছিল ইংল্যান্ডের সেরা ব্যাটার জো রুটের (Joe Root) উইকেটও। ব্যাট হাতেও সমান দাপট রাজপুত জাডেজার। সৌরাষ্ট্রের ক্রিকেটার ভারত-ইংল্যান্ড প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষে ৮১ রানে অপরাজিত। প্রথম ইনিংসে ভারত তুলেছে ৪২১/৭। জাডেজার সঙ্গে ক্রিজে রয়েছেন অক্ষর পটেল। ৩৫ রানে অপরাজিত তিনি। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের স্কোরের চেয়ে এখনই ১৭৫ রানে এগিয়ে গিয়েছে ভারত। চালকের আসনে টিম ইন্ডিয়াই। সব কিছু ঠিকঠাক চললে এই ম্যাচ বাঁচানোই এখন ইংল্যান্ড শিবিরের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।