Polia Baisakh Exclusive: নববর্ষ মানেই ছুটির দিন, সেদিন শুধুই খেলা, কেউ আমাকে আটকাতে পারত না
Polia Baisakh Special: আর পাঁচটা সাধারণ বাঙালি পরিবারের ছেলে-মেয়ের মতো সেলিব্রিটিদেরও নববর্ষ মানেই হাজারো স্মৃতি। কর্মব্যস্ত বাঙালির জীবনে এই বিশেষ দিনটির তাৎপর্য আজও অন্যরকম।
কলকাতা: মাঝে আর ২ টো দিন। এরপরই বাঙালির নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর পালা। কর্মব্যস্ত বাঙালির জীবনে এই বিশেষ দিনটির তাৎপর্য আজও অন্যরকম। কিন্তু সময় ও পরিস্থিতির চাপে তা আর উদযাপন করা হয়ে ওঠে না। আর পাঁচটা সাধারণ বাঙালি পরিবারের ছেলে-মেয়ের মতো সেলিব্রিটিদেরও নববর্ষ মানেই হাজারো স্মৃতি। সেই স্মৃতিতেই ডুব দিয়েছিলেন ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন ফুটবলার অর্ণব মণ্ডল, কথা বললেন এবিপি লাইভের সঙ্গে --
অর্ণবের নববর্ষ স্মৃতি
ছোট থেকেই খেলাপাগল ছেলে ছিলাম আমি। পড়াশুনার থেকে খেলাধূলোই বেশি ভাল লাগত আর পাঁচটা ছেলের মতোই। আর নববর্ষ তো ছুটির দিন। মনে আছে ছোটবেলা এই দিনটা এলেই আমাকে আর খুঁজে পাওয়া যেত না। মাঠে ক্রিকেট হোক বা ফুটবল শুধুই খেলা খেলা আর খেলা। সেদিন কেউ আমাকে আটকাতে পারত না। বাবা বাড়িতে এলে তাঁর হাতের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। কোনও প্যাকেট বাবার হাতে দেখলেই আমার ও দাদার মুখে হাসি ফুটত। এখন ওই সময়গুলো মিস করি।
নববর্ষে মিষ্টিমুখ
বাঙালি পরিবারে মিষ্টিমুখ হবে না তা আবার হয় না কি। আমাদের বাড়িতেও এই বিশেষ দিনে বাড়িতে মিষ্টি আসত। বাবা সন্ধেবেলার দোকান থেকে কী মিষ্টি নিয়ে এসেছেন, তার দিকেই আমাদের আগ্রহ থাকত। এছাড়াও বাডিতে সেদিন ভালমন্দ খাওয়ার রান্না হত। তখন অনেকে আসতও এই বিশেষ দিনটিতে।
ছেলেবেলার নববর্ষ ও এখনের নববর্ষ, কতটা আলাদা?
ফুটবলার হিসেবে যখন থেকে নিজের কেরিয়ার শুরু করলাম, তখন থেকেই আমি সবকিছু ভুলে শুধু ফুটবলেই ফোকাস করেছিলাম। খাওয়া দাওয়াতেও অনেক নিয়ম মেনে চলতে হত। কিন্তু এখন তো আর আগের মতো করে আনন্দ করতে পারি না। তবে চেষ্টা কির বাড়িতে সবাই মিলে এই দিনটি ভাল কিছু খাবার খেতে। এছাড়া কোভিডের জন্য় শেষ কয়েক বছরে বাইরে বেরোতেও পারছি না পরিবার নিয়ে। বাড়িতে ছোট ছেলে রয়েছে আমার, সাবধান থাকতেই হয়। তবে এখনও পুরনো বন্ধুরা মিলে সময় পেলে বেরিয়ে পড়ি সবাই মিলে।