Uruguay vs Colombia: ১০ জনে খেলেও উরুগুয়েকে হারিয়ে কোপার ফাইনালে আর্জেন্তিনার সামনে কলম্বিয়া
Uruguay vs Colombia Match Highlights: উরুগুয়ে তাদের সেরা প্লেয়ার লুইস সুয়ারেজ এদিন ৬৬ মিনিটের মাথায় মাঠে নামেন। কিন্তু গোল করতে পারেননি তিনি।
নর্থ ক্যারোলিনা: কোপা আমেরিকার (Copa Ameria) ফাইনালে জায়গা করে নিল কলম্বিয়া (Colombia)। উরুগুয়েকে হারিয়ে ফাইনালে উঠল তারা। ১-০ গোলে জয় ছিনিয়ে নিল কলম্বিয়া। জেমস রডিরগেজের পাস থেকে বল পেয়ে গোল করেন জেফারসন লারমা। গোলশোধ করতে পারেনি ১৫ বারের কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে। দ্বিতীয়ার্ধে লাল কার্ড দেখে কলম্বিয়ার ফুটবলার ড্যানিয়েল মুনেজ মাঠের বাইরে বেরিয়ে যান। ১০ জনে খেলে কলম্বিয়া। কিন্তু তবুও উরুগুয়ে জিততে পারেনি। উরুগুয়ে তাদের সেরা প্লেয়ার লুইস সুয়ারেজ এদিন ৬৬ মিনিটের মাথায় মাঠে নামেন। কিন্তু গোল করতে পারেননি তিনি।
প্রথমার্ধে ৩৯ মিনিটের মাথায় প্রথমে এগিয়ে যায় কলম্বিয়া। প্রথম থেকেই দু দল আক্রমণ ও প্রতি আক্রমণ বাড়াতে থাকে। দুটো দলই গোটা ম্য়াচে ১১টি করে শট মেরেছিল। কিন্তু গোলের মুখ একবার ছাড়া কোনওবারই খোলেনি। খেলার ৩৯ মিনিটের মাথায় গোলমুখ খুলতে পারে কলম্বিয়া। কর্নার থেকে শট মেরেছিলেন হাসেম রডরিগেজ। তার পাস থেকে হেডে গোল করেন জেফারসন লারমা। ড্যানিয়েল মুনোজ প্রথমার্ধের শেষে লাল কার্ড দেখেন।
দ্বিতীয়ার্ধে কলম্বিয়া ১০ জন হয়ে গেলে উরুগুয়ে আক্রমণ আরও বাড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু গোলমুখ খুলতে পারেনি তাদের কোনও ফুটবলাররা। কলম্বিয়ার শক্তিশালী রক্ষণ ভাঙা কঠিন ছিল উরুগুয়ের জন্য।
ইউরোর ফাইনালে ইংল্য়ান্ড
ইউরো কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিল ইংল্যান্ড। পিছিয়ে থেকেও ম্য়াচ জিতে যায় ইংল্য়ান্ড। এই প্রথম দেশের বাইরে কোনও বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলবে ইংল্যান্ড ফুটবল দল। অন্যদিকে, ৬ বার ইউরো কাপের সেমিফাইনাল খেলে ৫ বারই হারল নেদারল্যান্ডস।
ম্যাচের শুরু দেখে অবশ্য কল্পনা করা যায়নি যে, শেষটা এরকম হবে। ডর্টমুন্ডের বিভিবি স্টেডিয়ামের গ্যালারি যেন দু'ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল এদিন। একদিকে ইংল্যান্ডের সমর্থক। অন্যদিকে কমলা ঝড়। কিক অফের ৭ মিনিটের মাথায় গোল করে ডাচদের এগিয়ে দিয়েছিলেন জ়াভি সিমন্স। ইংল্যান্ড বক্সের বাইরে থেকে গোলার মতো শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন সিমন্স। নেদারল্যান্ডস এগিয়ে যায়। তবে সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। তার ৭ মিনিটের মধ্যে, ম্যাচের ১৪ মিনিটের মাথায় ইংরেজ অধিনায়ক হ্যারি কেনের শট বক্সের মধ্যে রুখতে গিয়ে ফাউল করে বসেন ডেঞ্জেল ডামফ্রিস। ভার প্রযুক্তির সাহায্যে রিপ্লে দেখে পেনাল্টি দেন রেফারি। গোল করতে ভুল করেননি হ্যারি কেন। ম্যাচে সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড। অতিরিক্ত সময়ের দিকে যাচ্ছে ম্যাচ, তখনই পরিবর্ত হিসাবে নামা অলি ওয়াটকিন্সের দুরন্ত গোলে ২-১ এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড।