Euro Cup 2024: জার্মান আর্মাডাকে আটকে দিল স্যুইৎজারল্যান্ড, ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল ক্রুসদের
Germany vs Switzerland: এদিন ম্য়াচের শুরু থেকেই দুই ইউরোপিয় শক্তির লড়াইয়ে মূলত প্রাধান্য় পেয়েছিল গতিময় ফুটবল। কখনও জার্মানির বক্সে তো কখনও স্যুইৎজারল্যান্ডের বক্সে বল।
ফ্র্যাঙ্কফুর্ট: খাতায় কলমে এগিয়ে থেকেই মাঠে নেমেছিল আয়োজক দেশ জার্মানি। কিন্তু স্যুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে এইভাবে যে শেষ মুহূর্তের গোলে ম্য়াচ বাঁচাতে হবে তা কিন্তু স্বপ্নেও ভাবেননি টনি ক্রুস, কাইল হাভার্টসরা। গোটা ম্য়াচে একের পর এক আক্রমণ দুই দলের। প্রথমার্ধেই গোলহজম ম্য়ানুয়ের ন্য়য়ারের। যদিও শেষ পর্যন্ত ইনজুরি টাইমের বাঁশি বাজার একটু আগে ২০১৪ বিশ্বকাপজয়ী দলের হার বাঁচালেন নিকোলাস ফুলক্রুগ।
এদিন স্যুইসদের বিরুদ্ধে ৪-২-৩-১ ছকেই দল নামিয়েছিলেন জার্মানির কোচ নাগেলসম্য়ান। ইউরো কাপের ইতিহাসে সবচেয়ে কমবয়সি কোচ। তাঁর ফুটবলের প্রতি জ্ঞানও অনেক আধুনিক। কিন্তু জার্মানির যে পাওয়ার ফুটবল গোটা বিশ্ব দেখে অভ্যস্ত সেখানে বারে বারেই বাধা পেতে হল সুইসদের বিরুদ্ধে। দলের তারকা প্লেয়ার শাকিরিকে এদিন মাঠে নামান নি স্যুইস কোচ মুরাত ইয়াকিন। কিন্তু তাতেও কোনও সমস্যা হয়নি জার্মান আর্মাডকে আটকাতে।
এদিন ম্য়াচের শুরু থেকেই দুই ইউরোপিয় শক্তির লড়াইয়ে মূলত প্রাধান্য় পেয়েছিল গতিময় ফুটবল। কখনও জার্মানির বক্সে তো কখনও স্যুইৎজারল্যান্ডের বক্সে বল। খেলার শুরুর দিকে একবার সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন গুন্ডোয়ান। মুসিয়ালা উইং ধরে এসে বল ক্রস করেছিলেন। স্যুইৎজারল্যান্ডের গোলরক্ষক ছিলেন সামনে। কিন্তু গুন্ডোয়ান বল পায়ে লাগানোর আগেই প্রতিপক্ষ দলের ডিফেন্ডার তা উড়িয়ে দেন। শুরুর দিকে বেশ কয়েকটা কর্নার পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি জার্মানি। অবশেষে প্রথমার্ধে ২৮ মিনিটের মাথায় ম্য়াচের প্রথম গোল আসে স্যুইৎজারল্যান্ডের ড্যান এনডয়ের পা থেকে। প্রথমার্ধে গোল পাওয়ার পর নিজেদের ডিফেন্স আরও শক্ত করে নেয় ইয়াকিনের দল। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই মাঠ ছাড়ে স্যুইৎজারল্যান্ড।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরু হওয়ার পরও বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে হয়েছিল জার্মানির। মুশিয়ালা, উইর্ৎজ, অ্যান্ড্রিচকে বসিয়ে নতুন প্লেয়ার মাঠে নামার কোচ নাগলসম্য়ান। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। স্যুইৎজারল্যান্ডের ডি বক্সের ভেতরে ঢুকলেও গোলমুখ খুলতে পারছিলেন না কোনও জার্মান ফুটবলারই। গোটা ম্য়াচে ১৮টি শট করেছে জার্মানি। তার মধ্যে তিনটি ছিল অন টার্গেট। অন্যদিকে মাত্র ৪টি শটের মধ্যে তিনটি অন টার্গেট ছিল স্যুইৎজারল্যান্ডের। বল পজিশন ও সঠিক পাস দেওয়ার শতাংশের হারও বেশি ছিল জার্মানির। কিন্তু তীরে এসে বারবার তরী ডুবছিল। একটা সময় যখন মনে হচ্ছে এই ম্য়াচ হেরে যেতে বসেছে সাদা-কালো ব্রিগেড। ঠিক সেই সময় শেষ বাঁশি বাজার কিছুক্ষণ আগে সুপার সাব নিকোলাস ফুলক্রুগের গোলে ম্য়াচে হার বাঁচায় জার্মানি।