ISL: ঘরের মাঠে এগিয়ে থেকেও ওড়িশার বিরুদ্ধে হার ইস্টবেঙ্গলের
East Bengal vs Odisha FC: দশ জনে খেলা দলের খেলোয়াড়রা যখন ক্রমশ ক্লান্ত হয়ে পড়তে শুরু করেন, তখনই ৮১ মিনিটের মাথায় বুমৌসের গোল তাদের লড়াই শেষ করে দেয়।
কলকাতা: ম্যাচের অর্ধেকেরও বেশি সময় দশজনে খেললেও ইস্টবেঙ্গলের মরিয়া লড়াই দেখে তা মনে হয়নি। অন্তত এক পয়েন্ট নিয়ে বৃহস্পতিবার ঘরের মাঠ ছাড়ার জন্য যখন মরিয়া হয়ে ওঠে তারা, ঠিক তখনই বক্সের মাঝখান থেকে নেওয়া এক জোরালো শট তাদের জালে জড়িয়ে দিয়ে লাল-হলুদ সমর্থকদের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দেন হুগো বুমৌস। তাঁর জয়সূচক গোলেই ২-১-এ জিতে লিগ টেবলের তিন নম্বরে উঠে আসে কলিঙ্গবাহিনী।
এদিন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ম্যাচের ১২ মিনিটের মাথায় গোড়ালিতে গুরুতর চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন ফরাসি মিডিও মাদি তালাল। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ম্যাচের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড তথা লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন আহত সল ক্রেসপোর জায়গায় নামা জিকসন সিং-ও। পরপর এই দুই ধাক্কাতেও দমে না যাওয়া লাল-হলুদ বাহিনী দ্বিতীয়ার্ধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে ও লালচুঙনুঙ্গার গোলে এগিয়েও যায়। কিন্তু দু’মিনিটের মধ্যেই গোল শোধ করে দেন জেরি মাওমিংথাঙ্গা।
ম্যাচের ৭৫ মিনিট পর্যন্ত ওডিশাকে ঠেকিয়ে রেখে নিজেরাও একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু দশ জনে খেলা দলের খেলোয়াড়রা যখন ক্রমশ ক্লান্ত হয়ে পড়তে শুরু করেন, তখনই ৮১ মিনিটের মাথায় বুমৌসের গোল তাদের লড়াই শেষ করে দেয়। দশজনে খেলেও এ দিন ১১টি গোলের সুযোগ তৈরি করে ইস্টবেঙ্গল। চারটি শটও গোলে রাখে তারা।
প্রতিপক্ষের মাঝমাঠের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ১৩টি সুযোগ তৈরি করে ওডিশা। আটটি শটও লক্ষ্যে ছিল তাদের। কিন্তু লাল-হলুদ বাহিনীর গোলকিপার প্রভসুখন গিলের অনবদ্য হাফ ডজন সেভ দলকে যেমন লড়াইয়ের রসদ জোগায়, তেমনই তাঁর দলের সঙ্ঘবদ্ধ রক্ষণও ১২ ম্যাচে ২৫ গোল করা কলিঙ্গবাহিনীর কাজ বেশ কঠিন করে তোলে। নির্ধারিত সময়ের শেষ পাঁচ মিনিটের মধ্যেও সমতা ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ পায় হোম টিম। কিন্তু গোল লাইন সেভ করে দু’পয়েন্ট বাঁচিয়ে নেন ওডিশার ডিফেন্ডার মুর্তাদা ফল। তিন ম্যাচে অপরাজিত থাকার পর সাত নম্বর হারের ফলে ইস্টবেঙ্গল রয়ে গেল লিগ টেবলের ১১ নম্বরে।
এ দিন তিনটি পরিবর্তন করে প্রথম এগারো নামান ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোন। লালচুঙনুঙ্গা দলে ফেরেন, সল ক্রেসপোর জায়গায় আসেন জিকসন ও দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকসের জায়গায় ক্লেটন সিলভা শুরু থেকে খেলেন। ওডিশা এফসি অমেয় রানাওয়াডের জায়গায় রহিম আলিকে রেখে খেলা শুরু করে। দিয়েগো মরিসিওকে সামনে রেখে ৪-২-৩-১-এ দল সাজান তাদের কোচ সের্খিও লোবেরা। তথ্য়: আইএসএল মিডিয়া